চরমপন্থি ও ষড়যন্ত্রকারী ব্যক্তি অ্যাদ্রিয়ান জেন্সের নোংরা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে
2021-03-24 16:15:23

গত সোমবার চাইনিজ একাডেমি অফ সোস্যাল সায়েন্সেস, চায়না ফরেন অ্যাফেয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়, শাংহাই একাডেমি অফ সোস্যাল সায়েন্সেস এবং সিনচিয়াং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা সিনচিয়াংয়ের উরুমছিতে ‘একাডেমিক সন্ত্রাসী অ্যাদ্রিয়ান জেন্সের মিথ্যাচার ও ঘটনা’ শীর্ষক এক সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন। তারা ‘একাডেমিক সন্ত্রাসী অ্যাদ্রিয়ান জেন্সের’ রচিত চীনবিরোধী সিনচিয়াং সম্পর্কিত প্রতিবেদনের চুলচেরা বিশ্লেষণ ও মিথ্যাচারের সমালোচনা করেন।

 

চায়না ফরেন অ্যাফেয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক লি হাই তুং এ সেমিনারে বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, যুক্তরাষ্ট্র ও কিছু পশ্চিমা দেশ চীনকে চাপ দিতে এবং চীনের সার্বভৌমত্ব, সুরক্ষা ও উন্নয়নের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ করার জন্য বিভিন্ন পথ ব্যবহার করেছে। পশ্চিমা সমাজ, বিশেষত যুক্তরাষ্ট্র চীনের সিনচিয়াং প্রশাসনের সাফল্য উপেক্ষা করেছে, ইচ্ছাকৃতভাবে চীনের সিনচিয়াংয়ের জাতিগত ও ধর্মীয় ইস্যুগুলো বাড়িয়ে বলেছে, সিনচিয়াংয়ের জনগণ ও স্থানীয় আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিয়ে অপবাদ দিয়েছে, এমনকি গণহত্যার অপবাদ চীনের ওপর চাপিয়ে দিয়েছে। সিনচিয়াং ইস্যুতে হস্তক্ষেপের প্রক্রিয়ায় অ্যাদ্রিয়ান জেন্স পশ্চিমা সমাজে ক্রমাগত সিনচিয়াং ইস্যু নিয়ে ভুল তথ্য ছড়িয়েছে, পশ্চিমা দেশগুলোতে চীনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া এবং রাজনৈতিক আক্রমণ চালানোর ক্ষেত্রে প্রধান অপরাধী জেন্স।

 

চাইনিজ একাডেমি অফ সোস্যাল সায়েন্সেসের চীন ফ্রন্টিয়ার রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সহযোগী গবেষক ওয়াং ইয়ু বলেন, সিনচিয়াংয়ের জাতিগত সংখ্যালঘুরা স্বেচ্ছায় অন্য স্থানে কাজ করতে যায়; তবে অ্যাদ্রিয়ান জেন্স বিনা কারণে একে উল্লেখ করেছে ‘বাধ্যতামূলক শ্রম’। অ্যাদ্রিয়ান জেন্স সম্ভাব্য যুক্তির সাথে প্রয়োজনীয় কু-যুক্তি প্রতিস্থাপন করতে অভ্যস্ত। তিনি প্রায়শই ‘সম্ভাবনা’, ‘অনুমানের’ মতো শব্দ ব্যবহার করেছেন, কঠোর একাডেমিক গবেষণাকে এলোমেলো ধারণায় পরিণত করেছেন। এ ছাড়া, তিনি অনুমান করেন যে, সিনচিয়াংয়ের জাতিগত সংখ্যালঘুদের স্বাধীনতা সীমাবদ্ধ। তিনি ধারণা করেন, রাস্তার ট্র্যাফিক পরিচালনার ক্যামেরাগুলো জনগণের স্বাধীনতা হরণ করছে।

 

সিনচিয়াং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জুলিয়াতী সিমায়ি সিনচিয়াংয়ে জনসংখ্যার কর্মসংস্থান নিয়ে গভীর ও বিস্তারিত গবেষণা করেছেন। তিনি সিনচিয়াংয়ের তুলা উত্পাদন, বিশেষত বাছাই প্রক্রিয়াতে জাতিগত সংখ্যালঘুদের বাধ্য করা সম্পর্কে অ্যাদ্রিয়ান জেন্সের ত্রুটির সমালোচনা করেছেন। তিনি সিনচিয়াংয়ের উচ্চতর তুলা উত্পাদন শিল্পের তথ্য ও বাস্তব সত্যতা তুলে ধরেছেন।

 

তিনি সিনচিয়াংয়ের ইয়েচেং কাউন্টি ও কাশগারে জরিপ চালান এবং মাঠ পর্যায়ে সাক্ষাত্কার নেন। এরপর ২০১৮ সালে সেই জরিপ ও গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়।

তিনি উল্লেখ করেন, স্থানীয় ৯২.৮ শতাংশ গ্রামবাসী আশা করেন, তারা অন্য প্রদেশে গিয়ে কাজ করার সুযোগ পাবেন এবং ৮৭.২ শতাংশ গ্রামবাসী অন্য প্রদেশে কাজ করা এবং নিজ এলাকায় কৃষিকাজ করা—এই দু’টির মধ্যে বাইরে যাওয়াকে বাছাই করেন।

 

৮৪.২ শতাংশ জাতিগত সংখ্যালঘু গ্রামবাসী বলেন, অন্য প্রদেশে কাজ করার সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো- তারা বেশি অর্থ উপার্জন করতে পারেন। আর ১৫.৮ শতাংশ গ্রামবাসী বলেন, তারা অন্য প্রদেশে কাজ করলে আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি, অন্যান্য জাতির অভিবাসী শ্রমিকদের সঙ্গে তাদের বিনিময় বৃদ্ধি পায়।

 

সিনচিয়াংয়ের তথাকথিত ‘বাধ্যতামূলক শ্রম’ সম্পর্কে অ্যাদ্রিয়ান জেন্সের অপপ্রচারের বাইরের সত্যটি হলো- সিনচিয়াংয়ের মানুষ কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে দুর্দান্ত চেষ্টা চালিয়েছে এবং দুর্দান্ত সাফল্য অর্জন করেছে। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে একটি উন্নত জীবন গঠন করা, মর্যাদার সঙ্গে কাজ করা এবং একটি সুন্দর সিনচিয়াং গড়ে তোলার জন্য সিনচিয়াংয়ের সব নৃগোষ্ঠীর লোকজন দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ।

(জিনিয়া/তৌহিদ/শুয়েই)