মহামারী মোকাবিলায় বৈশ্বিক ঐক্যের বিকল্প নেই: সিআরআই সম্পাদকীয়
2021-12-27 20:56:15


ডিসেম্বর ২৭: সম্প্রতি চীন আন্তর্জাতিক বেতার (সিআরআই) “করোনা মহামারীকে আমরা কীভাবে মোকাবিলা করতে পারি?” শীর্ষক একটি সম্পাদকীয় প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়, সারা বিশ্বে ১০০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে ইতোমধ্যে করোনাভাইরাসের ওমিক্রন প্রজাতি দেখা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে আবারও একদিনে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বশেষ পরিসংখ্যান মতে, মধ্য ইউরোপ সময় ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত, সারা বিশ্বে ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২৭০ কোটি ছাড়িয়েছে, মৃতুর সংখ্যা ৫৩.৭ লাখ ছাড়িয়েছে। 


করোনা মহামারী মানবজাতির জীবনের নিরাপত্তা, সামাজিক ব্যবস্থা, উন্নয়নের ধারনাসহ নানা খাতে গভীর প্রভাব ফেলেছে। মহামারী শুরুর পর থেকে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ একে পরাজিত করার পথ খুঁজে আসছে। বিশ্ববাসী ক্রমশ ভালোকরে বুঝতে পারছে, মহামারীর মুখে একতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এর কোনো বিকল্প নেই। 


জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস জানান, করোনা মহামারী মোকাবিলার একমাত্র উপায় হচ্ছে বিশ্বব্যাপী টিকাদান করা। পাশাপাশি, সবদেশের মধ্যে একতা ও সমন্বয় জোরদার করতে হবে।

 

চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং জাতিসংঘের ৭৬তম সাধারণ অধিবেশনে এক গুরুত্বপূর্ণ ভাষণে জানান, মহামারীকে পরাজিত করার একমাত্র অস্ত্র হচ্ছে টিকা। টিকাকে বৈশ্বিক গণপণ্যে পরিণত করতে হবে। উন্নয়নশীল দেশে টিকার সহজলভ্যতা এবং বিশ্বব্যাপী টিকার ন্যায়ঙ্গগত বিতরণ নিশ্চিত করতে হবে। 


চীন তাঁর প্রতিশ্রুতি বাস্তব কার্যক্রমের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করছে। গত ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত, চীন ১২০টিরও বেশি দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাকে ১৮৫ কোটি ডোজ টিকা সরবরাহ করেছে। 


২০২২ সাল আমাদের দরজায় কড়া নাড়ছে। তবে এখনো নিশ্চিত নয়, আমরা মহামারীকে কখন বিদায় জানাতে পারবো? বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, যদি করোনা ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া নিয়ন্ত্রণ অব্যাহত থাকে, এমতাবস্থায় মহামারী ২০২২ সালে শেষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 


যদি মনে আলো থাকে, তাহলে ভবিষ্যতে আমরা অবশ্যই উষ্ণতা এবং আলো পাব। কঠিন সময় অবশ্যই অতিক্রান্ত হবে। তবে সেজন্য বিশ্ববাসীকে হাতে হাত রেখে যত দ্রুত সম্ভব মহামারীকে বিদায় জানাতে কাজ করতে হবে। এমনটিই সিআরআই’র সম্পাদকীয়তে বলা হয়। 

(আকাশ/এনাম/রুবি)