২৪ আগস্ট সন্ধ্যায় ১৬ দিনব্যাপী পেইচিং অলিম্পিক গেমস শেষ হয়েছে। এ ১৬ দিনে বিভিন্ন দেশের খেলোয়াড়দের মনে গভীরভাবে রেখাপাত করেছে। ফিলিপাইনের কয়েকজন উসু খেলোয়াড় চীন ত্যাগের আগে বলেছেন, তারা পেইচিং অলিম্পিক গেমসের মত মহা ক্রীড়া সম্মিলনী দেখেন নি। আজকের পেইচিং অলিম্পিক ২০০৮ অনুষ্ঠানে এ সম্পর্কে বলছি আমি আপনাদের বন্ধু লি লু।
এবারের অলিম্পিক গেমসের খেলোয়াড়দের মধ্যে ফিলিপাইনের ক্রীড়া প্রতিনিধি দলের সদস্য ছিল কম। যদিও তারা ততটা সাফল্য অর্জন করেন নি। তবে তারা অলিম্পিক গেমসে যোগ দেয়ার আনন্দকে উপভোগ করেছেন। প্রতিনিধি দলের বেশ কিছু খেলোয়াড় ও কর্মকর্তারা বলেছেন, পেইচিং অলিম্পিক গেমস এক সুন্দর অলিম্পিক গেমস। চমত্কার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, নির্মল নগর , পরিবহন সুবিধা, সর্বাধুনিক স্টেডিয়াম ও সুশৃংখল সাংগঠনিক কাজসহ বিভিন্ন দিক তাদের মনে গভীরভাবে রেখাপাত করেছে। খেলোয়াড় ম্যারি জেন এস্টিমার পঞ্চম বারের মত পেইচিংয়ে এসেছেন। তিনি বলেছেন, (১)
এবারের অলিম্পিক গেমস সত্যিই চমত্কার, সাফল্যের সঙ্গে অলিম্পিক গেমস অনুষ্ঠিত হয়েছে। পেইচিং খুব নির্মল ও সুন্দর। সুষ্ঠু পরিবহন ব্যবস্থা আমাদেরকে অনেক সুবিধা দিয়েছে।
আনুষ্ঠানিক প্রতিযোগিতা ছাড়াও, পেইচিং অলিম্পিক গেমস সুন্দর সুন্দর অনানুষ্ঠানিক প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করেছে। উসু তাদের মধ্যে একটি। প্রাচীন চীনের উসু প্রথম বারের মত অলিম্পিক গেমসে অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। বেনজি রিভেরা হচ্ছেন ফিলিপাইনের একজন উসু ইভেন্টের খেলোয়াড়। এবারের প্রতিযোগিতায় তিনি ব্রোঞ্জপদক জিতেছেন। তিনি মনে করেন, এ পদক প্রাপ্তির বিশেষ তাত্পর্য রয়েছে। এটি উসু বিশ্ব কাপ ও উসু বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশীপে পদক পাওয়ার তাত্পর্যের চেয়ে ভিন্নতর। তিনি বলেছেন, (২)
আমি পদক পেয়ে খুবই খুশি। আমি আমার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছি। এ পদক অন্যান্য প্রতিযোগিতায় পাওয়ার পদকের চেয়ে একেবারেই আলাদা। অলিম্পিক গেমসে পদক জিতেছি। এটি সত্যিই অসাধারণ।
বেনজি রিভেরা থাকায় ফিলিপাইনের উসু দল এবারের অলিম্পিক গেমসের উসু প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ নৈপুণ্য প্রদর্শন করেছে। তারা একটি স্বর্ণপদক, একটি রৌপ্যপদক ও দুটি ব্রোঞ্জপদক জিতেছেন। এতে দলের প্রশিক্ষকগণ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন, খেলোয়াড়রাও খুব খুশি। প্রতিযোগিতা শেষে তারা পেইচিং নগরে ঘুরে বেড়িয়েছেন। বেনজি ষষ্ঠ বারের মত পেইচিংয়ে এসেছেন। তিনি বলেছেন, প্রতি বারেই তিনি পেইচিংয়ের নতুন পরিবর্তন দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন। তার মতে পেইচিং একটি দ্রুত পরিবর্তিত নগর। তিনি বলেছেন, (৩)
আগের চেয়ে পেইচিংয়ের পরিবহন ব্যবস্থা এবার আরো সুষ্ঠু ছিল। নতুন স্টেডিয়াম খুব সুন্দর। আমি মনে করি, পেইচিং ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করেছে। পেইচিং বিশ্বকে তার সাফল্যের ধারাকে প্রদর্শন করেছে।
"এক বিশ্ব, এক স্বপ্ন" পেইচিং অলিম্পিক গেমসের শ্লোগান। মারিয়ানে মারিয়ানো বেনজির বন্ধু। তিনি এবারের উসু নারী ফ্রি স্পেয়ারিং ৬০ কিলোগ্রাম পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান লাভ করেন। তিনি খুব খুশি। তিনি বলেছেন, (৪)
আমার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়েছে। আর আমার স্বপ্নের পেইচিং অলিম্পিক গেমস বাস্তবায়িত হয়েছে সার্বিক সুন্দরতার প্রতীক হিসেবে। বিশ্বের সবার স্বপ্নও সত্যিই পুরণ হয়েছে। এবারের অলিম্পিক গেমসের সব কিছুই ছিল পরিকল্পিতও নিখুঁত। এমনকি সম্পূর্ণ। ফিলিপাইনের একজন খেলোয়াড় হিসেবে পেইচিং অলিম্পিক গেমসে যোগ দিতে পারাটা আমার জীবনের একটি বিশেষ অভিজ্ঞতা। |