পেইচিং অলিম্পিক চলাকালে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ পেইচিং সম্পর্কে আরো বেশি জানতে পেরেছে। এর সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মানুষও এই আনন্দ মেলার মাধ্যমে নিজ নিজ দেশের বৈশিষ্টও অন্যদের সামনে তুলে ধরতে চায়। যেমন সম্প্রতি ভারতের সেন্ট্রল কটেজ ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন অব ইন্ডিয়া লিমিটেড পেইচিংয়ে ভারতীয় দূতাবাসের সাস্কৃতিক কেন্দ্রে একটি হস্তশিল্প প্রদর্শনী আয়োজন করেছিল। এ প্রদর্শনীতে ভারতের বিচিত্র ও বিশিষ্ট হস্তশিল্প এবং বয়নশিল্প প্রদর্শিত হয়। ভারতের সেন্ট্রাল কটেজ ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন অব ইন্ডিয়া লিমিটেড দেশের হস্তশিল্প উন্নয়নে বহু দিন ধরে ব্যাপক চেষ্টা চালিয়ে আসছে। এই কম্পানি'র ডিজাইন ও উত্পাদন উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক এস.কে.দাস আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। এখন শুনুন তার সাক্ষাত্কারটি।
এই প্রদর্শনী অনেক চীনা ও বিদেশীদের দৃষ্টি আকষর্ণ করেছে। কাগজে এই প্রদর্শনী'র খবর পেয়ে মাদাম খাং খাই দেখতে এসেছেন। তিনি বলেন:
"ভারত হল বিশ্বের প্রাচীণ সভ্যতার দেশগুলোর মধ্যে একটি। এ জন্য আমার মনে হয় এসব হস্তশিল্পে ভারতের সুদীর্ঘ ইতিহাস প্রতিফলিত হতে পারে। যদিও এখনো আমি ভারতে যেতে পারিনি, কিন্তু ভারতের এসব জিনিস দেখে আমার খুব ভাল লাগছে।"
মাদাম খাং খাই আরো বলেন, ভারতের হস্তশিল্পের প্রতি তার আকর্ষণের আরেকটি কারণ হলো এর সঙ্গে চীনের হস্তশিল্পের অনেক মিল আছে। তিনি বলেন:
"যেমন ঐ কাঠের হাতির ভাস্কর্য । এটি সুগন্ধী চন্দন কাঠ দিয়ে তৈরী হয়। ঠিক যেন চীনের থান সিয়াং কাঠের মতো। গন্ধেও মিল আছে। চীনে থান সিয়াং কাঠ দিয়ে পাখা তৈরী করা হয়। সেই প্রযুক্তিও একই ধরনের। যেমন এই হাতি'র ভেতরে আরেকটি ছোট হাতি আছে, খুব সন্দুর দেখতে। ভারতের ভাস্কর্যের সঙ্গে চীনের অনেক মিল আছে। পাশাপাশি তার নিজের বৈশিষ্ট রয়েছে, যা আমি খুব পছন্দ করি।
এসব হস্তশিল্প শুধু চীনাদেরকে আকর্ষণ করে তা নয়। কানাডিয়ান ইন ম্যাককেই এই প্রদর্শনী দেখে খুব মুগ্ধ। তিনি বলেন:
"আমি অনেক বার ভারতে গিয়েছি। ভারতের হস্তশিল্পে আমি খুবই আগ্রহী। বিশেষ করে তাদের উটের হাড়ের ভাস্কর্য। খুবই সুন্দর এবং রুচিশীল। আমি মনে করি যে কেউ এমন সুন্দর জিনিস দেখলে বাসায় রাখার ইচ্ছা হবে।"
|