সাধারণত চীন ও থাইল্যান্ডের সম্পর্ক জনগণ একটি কথায় ব্যাখ্যা করে থাকে। আর তা হলো চীন ও থাইল্যান্ডের জনগণ একটি পরিবারের মত। সুতরাং তাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক খুব দীর্ঘকালের ও ঘনিষ্ঠ। থাইল্যান্ডের অলিম্পিক কমিটির চেয়ারম্যান ছারুক আরিরাছকারান সম্প্রতি পেইচিংয়ে দেয়া এক সাক্ষাত্কারে বলেছেন, থাইল্যান্ডের জনগণের কাছে চীন অনেক দূরের দেশ নয়। থাইল্যান্ডের জনগণের চীনে আসা মানে নিজেদের আরেকটি বাড়িতে ফিরে আসার মতই।
৭৪ বছর বয়সী ছারুক থাইল্যান্ডের অলিম্পিক কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন ২৫ বছর ধরে তার ও চীনের মধ্যে বিশেষ করে পেইচিংয়ের মধ্যে ঘনিষ্ঠযোগাযোগ রয়েছে। ৩৫ বছর আগে ছারুক প্রথম চীন সফর করেছেন। এরপর তিনি ৩০ বারেরও বেশি পেইচিংয়ের সঙ্গে ক্রীড়া বিনিময় করেছেন। তিনি পেইচিং'র ৩৫ বছরের পরিবর্তন খুব কাছে থেকে দেখেছেন। তিনি বলেছেন,
থাইল্যান্ডের অলিম্পিক কমিটি ও চীনের অলিম্পিক কমিটির মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। এ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার সময় ৪০ বছরেরও বেশি । থাইল্যান্ড ও চীনের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার সময়ের চেয়েও বেশি । ৩৫ বছরের আগে আমি চীনে প্রথম এসেছি। তখন গাড়ি নেই। রাস্তায় শুধু সাইকেল । সড়কে লোক জনের পোশাকের রঙ খুব কম। এখন চীন একটি রঙিন দেশ।
ছারুক বলেছেন, পেইচিং একটি অপরিচিত নগর নয়। এটি আমার দ্বিতীয় বাড়ির মত। তিনি অন্যান্য সাধারণ পর্যটকের চেয়ে ভিন্ন। তিনি পেইচিংয়ের স্থানীয় অধিবাসীর মত পেইচিংয়ের জনগণের জীবন ধারার মানের ওপর গুরুত্ব দেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তিনি পেইচিং অলিম্পিক গেমসের প্রস্তুতির কাজেও গুরুত্ব দিয়েছেন। তাঁর নেতৃত্বাধীন থাইল্যান্ডের অলিম্পিক কমিটির প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ও থাইল্যান্ডের খেলোয়াড়রা পেইচিংয়ে থাকার সময়ে পেইচিং অলিম্পিক সাংগঠনিক কমিটির কাজে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন,
অলিম্পিক গ্রামের পরিবেশ চমত্কার। গ্রামের খাবার এবং অন্যান্য স্থাপনা খুব ভালো। আমাদের রাজকুমারী মহা চক্রি সিরিনধর্ন গ্রামে গিয়ে বিশেষভাবে খেলোয়াড়দেরকে দেখেছেন এবং অলিম্পিক গ্রামের পরিচালকের সঙ্গে অলিম্পিক গ্রাম পরিদর্শন করেছেন। তিনি খুব খুশি। তাছাড়া তিনি খেলোয়াড়দের রেস্তোরাও পরিদর্শন করেছেন।
ছারুক বলেছেন, অলিম্পিক গ্রাম খেলোয়াড়দের ২৪ ঘন্টা খাবারের সেবা দিচ্ছে। কয়েক 'শো ধরণের খাবার দেয়ার মাধ্যমে বিদেশী খেলোয়াড়দের উদ্বেগ দূর করা হয়েছে। তিনি বলেছেন, থাইল্যান্ডের ক্রীড়া প্রতিনিধি দল পেইচিংয়ের জীবন ও অলিম্পিক গ্রামের খাবারে মান সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করেছে।
অলিম্পিক গেমস চলাকালে ৭৪ বছর বয়সী ছারুক প্রতিদিন বিভিন্ন স্টেডিয়ামে থাইল্যান্ডের খেলোয়াড়দের প্রতিযোগিতা পরিদর্শন করেছেন। পেইচিংয়ে পরিবহন সীমিত করার কিছু ব্যবস্থা নেয়ার মাধ্যমে পরিবহন সমস্যার অনেকটাই সমাধান করতে পেরেছে। এর পাশাপাশি পেইচিংয়ের বাতাসের মান খুবই ভালো ছিল। তিনি বলেছেন, চীন পেইচিং অলিম্পিক গেমসের মাধ্যমে চীন বিশ্বের স্বীকৃতি পেয়েছে যে, চীনাদের ব্যাপক সুপ্ত শক্তি রয়েছে। পেইচিং অলিম্পিক গেমস এশিয় এলাকার গৌরবে পরিণত হয়েছে। |