আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির চেয়ারম্যান জ্যাগ রগে বলেছেন , পেইচিং অলিম্পিক গেমস হলো একটি সত্যিকার অর্থেইও অতুলনীয় অলিম্পিক গেমস । এ অতুলনীয় অলিম্পিক গেমস ২০০৮ সালের ২৪ আগষ্ট সন্ধ্যায় পেইচিংয়ে সাফল্যের সঙ্গে শেষ হয়েছে । এবারের অলিম্পিকে মোট ৩৮টি নতুন বিশ্ব রেকর্ড ও ১০২টি অলিম্পিক রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে । অলিম্পিক গেমসের ইতিহাসে পেইচিং অলিম্পিক গেমসে সবচেয়ে বেশি দেশ ও অঞ্চল পদক পেয়েছে এবং স্বাগতিক দেশ চীন সবচেয়ে বেশি সোনা জিতেছে । এ সাফল্যজনক অলিম্পিক গেমস আরো বেশি ছেলেমেয়েদের অলিম্পিক আন্দোলনে অংশ নিতে উত্সাহিত করবে । আট বছর বয়সের খান ওয়ে লিন বলে , পেইচিং অলিম্পিকের জন্য আমি গর্ববোধ করি । বড় হয়ে আমি একজন খেলোয়াড় হতে চাই ।
পেইচিং অলিম্পিক গেমসে বিভিন্ন দেশের খেলোয়াড়রা গায়ের ঘাম ও চোখের পানি ফেলেছে বটে তবে তারা চেষ্টার কোনো ত্রুটি করে নি , পেইচিং তাদের মনে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে । ঠিক যেমন চেয়ারম্যান জ্যাগ রগে বলেছেন , বিভিন্ন দেশের খেলোয়াড়রা অলিম্পিক চেতনার প্রতিনিধিত্বকারী , তারা এ চেতনা নিজের দেশে নিয়ে যাবেন । অলিম্পিক গেমস চলাকালে দশ হাজার কিলোমিটার দূরের রাশিয়া ও জর্জিয়ার মধ্যে যখন সশস্ত্র সংঘর্ষ চলছিল , এ দু'টি দেশের দুজন শুটিং খেলোয়াড় পেইচিংয়ে পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে আলিঙ্গন করেছেন । এ মনমুগ্ধকর মুহুর্ত উপস্থিত সকলকে মুগ্ধ করেছে । জর্জিয়ার শুটিং খেলোয়াড় নীনো সালুকভাজে বলেন , ( রেকর্ডিং ৪ ) ক্রীড়াজগতে আমরা সবাই বন্ধু , কোনো কিছু আমাদের বন্ধুত্বের ক্ষতি করতে পারে না ।
পেইচিং অলিম্পিক গেমসের স্বেচ্ছাসেবকরা গেমসের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ । জাতীয় স্টেডিয়াম--বার্ড নেস্টে সেবার কাজ করা কো লেই তাদের মধ্যে একজন । কো লেই বলেন , বার্ড নেস্টের একজন স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে আমি নিজের চোখে দেখেছি বিভিন্ন দেশের খেলোয়াড়রা নিজ দেশের জন্য বেশি পদক পাওয়ার লক্ষ্যে জোর চেষ্টা চালিয়েছেন । এখন অলিম্পিক গেমস নিরাপদ ও আনন্দের সঙ্গে সমাপ্ত হয়েছে , এজন্য আমি আনন্দবোধ করছি ।
পেইচিং অলিম্পিক গেমসের সাংবাদিকরা অলিম্পিকের খবর সারা বিশ্বে প্রচারের জন্য নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়েছেন । তাদের মাধ্যমে বিশ্ব একটি অকপট চীন ও পেইচিং দেখেছেন । পতুর্গালের সাংবাদিক রুই গুয়েসদেস বলেন , আমি আমার বন্ধুদের বলবো , নিজের চোখে চীন দেখার জন্য আপনারা সবাই চীনে আসবেন । আপনি যা দেখবেন , তা' চিরদিন মনে থাকবে ।
চীনের ১৩০ কোটি মানুষ অলিম্পিক গেমসের জন্য দীর্ঘ সাত বছর অপেক্ষা করেছিলেন । এখন পেইচিং অলিম্পিক গেমসে শেষ হয়েছে , পেইচিং অলিম্পিক গেমসের কথা চিরদিন তাদের মনে থাকবে । একজন দর্শক বলেন , পেইচিং অলিম্পিক গেমস শেষ হয়েছে , এ গেমস থেকে আমি মাতৃভূমির শক্তি ও সামর্থ্য দেখেছি । আমি নিজ দেশের জন্য গর্ববোধ করি ।
আরেকজন দর্শক বলেন , পেইচিং এবার যে সাফল্যের সঙ্গে অলিম্পিক গেমস আয়োজন করেছে , তাতে সারা বিশ্বে চীনের শক্তিকে অনুভব করেছে । আমি আশা করি , চীনে দ্বিতীয়বার অলিম্পিক গেমস অনুষ্ঠিত হবে ।
পেইচিং অলিম্পিক গেমসের সমাপনী অনুষ্ঠানে বলা হয়েছে , অলিম্পিক গেমসের মাধ্যমে বিশ্ববাসী চীন সম্পর্কে আরো বেশি জানতে পেরেছেন এবং চীনারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ সম্পর্কে অনেক তথ্য পেয়েছে। বন্ধুরাআমরা পেইচিংকে ভালোবাসি , ২০১২ সালে লন্ডনে আবার দেখা হবে ।
|