এবার শ্রীলংকার আটজন ক্রীড়াবিদ পেইচিং অলিম্পিক গেমসে অংশ নিয়েছেন। তারা ট্র্যাক এন্ড ফিল্ড , মুষ্টিযুদ্ধ , শ্যুটিং, ব্যাডমিন্টন , সাঁতার ও ভারোত্তোলন ইভেন্টে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এখন শুনুন চীন আন্তর্জাতিক বেতারের নিজস্ব সংবাদদাতাকে শ্রীলংকার সাঁতারু ডানিয়েল লীর দেয়া একটি বিশেষ সাক্ষাত্কার।
ডানিয়েল লী একজন সুদর্শন যুবক। তার উচ্চতা ১.৮৫ মিটার। তার মুখে সব সময় হাসি লেগে থাকে। তার মাতৃ ভাষা সিংহলী । কিন্তু সে ইংরেজি বলতে পছন্দ করে। কোনো কোনো সময় সে দু একটা চীনা শব্দ বলে। তিনি দীর্ঘকাল ধরে অষ্ট্রেলিয়ায় বসবাস করছেন। কিন্তু চীনাদের সঙ্গে তার রক্তের সম্পর্ক আছে।
হ্যাঁ চীন আমার জন্মস্থান । আমার দাদা চীন থেকে এসেছেন। মনে হয় আমি নিজের পরিবারে ফিরে এসেছি। এই অনুভব চমত্কার।
চীনাদের সঙ্গে রক্তের সম্পর্ক থাকার কারণে ডানিয়েল লী চীনকে বিশেষভাবে ভালবাসেন। তিনি চীনের কুংফুর দারুণ ভক্ত। এবার পেইচিং অলিম্পিক গেমসে অংশ গ্রহণ করতে পারা তার জন্য একটি স্বপ্ন।
অলিম্পিক গেমসে এটা আমার প্রথম সামিল। তা ছাড়া আমরা প্রথম বার পেইচিং ভ্রমণ ।
ডানিয়েল লী বলেন,পেইচিং অলিম্পিক গেমসে অংশ নেওয়ার জন্য অষ্ট্রেলিয়ায় তার তিন বছরের কঠোর প্রশিক্ষণ হয়েছে। সেমি ফাইনালে উন্নীত হবেন বলে তিনি আশা করেন।
পেইচিং অলিম্পিক গেমসে আমার লক্ষ্যমাত্রা হল ফাইনালে প্রবেশ করা। পদক অজর্ন করা আমার পক্ষে হয়তো একটু কঠিন। কিন্তু যদি আমি অপেক্ষাকৃত ভাল সাফল্য অর্জন করতে পারি তাহলে এই সাফল্যকে শ্রীলংকার সাঁতারের ইতিহাসে এক ধরনের সাফল্য বলে গণ্য করা হবে।
চীনের খাবারে অভ্যস্ত কি না , এ প্রসঙ্গে তিনি নিজেই চীনা লোকের কথা জোর দিয়ে বলেন। তিনি বলেন, তিনি এখানবার সকল জিনিস পছন্দ করেন। তিনি বলেন, আমি আসলে একজন চীনা। আমার নাম ডানিয়েন লী। চীনের সমস্ত খাবার আমার খুব পছন্দ। এখানে এসে "চীনের বর্ষ" উদযাপন করতে পেরে অত্যন্ত খুশী।
প্রতিযোগিতার পর , ডানিয়েন লী মহা প্রাচীর দেখতে যাবেন। তারপর তিনি পেইচিং শহরের বিভিন্ন জায়গা ঘুড়ে বেড়াবেন।
অলিম্পিক গেমসের পর আমি মহা প্রাচীর দেখতে যাবো। কারণ আমার বাবা এক বার বলেছিলেন, " একজন চীনা হয়েও যদি মহা প্রাচীর কোনো দিন না দেখতে যাও তাহলে তুমি একজন প্রকৃত চীনা নয়।" সুতরাং আমাকে চীনা একজন মানুষ বলে প্রমাণ করার জন্য আমাকে এখানে যেতেই হবে। |