ফেন্সিং প্রতিযোগিতায় তিনি একজন উত্কৃষ্ট ক্রীড়াবিদ এবং সাধারণ সময় তিনি একজন সুন্দরী ও বটে। তিনি হলেন পেইচিং অলিম্পিক গেমসের নারীদের ইপি ইভেন্টের চ্যাম্পিয়ন। দর্শকদের হৃদয়ে তাঁর খেলা ও সৌন্দর্য গভীরভাবে চিহ্ন অংকিত হয়েছে। এছাড়া, তিনি ষ্পষ্টভাবে চীনা ভাষাও বলতে পারেন। এতে তিনি চীনা দর্শকদের সঙ্গে আরো ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। আজকের অনুষ্ঠানে আমি আবাম ছালাউদ্দিন আপনাদেরকে জার্মানীর সেট সুন্দরী ফেন্সিং খেলোয়াড় ব্রিটা হাইডম্যান সম্পর্কে কিছু কথা জানাবো।
যদিও পেইচিং অলিম্পিক গেমসের নারীদের ইপি ফাইনালে চীনা ক্রীড়াবিদ ছিলনা, তবুও জার্মানীর ব্রিট্টা হাইডম্যান চীনা দর্শকদের উত্সাহব্যন্ঞ্জক করতালি পেয়েছেন।
হাইডম্যান ১.৮ মিটার লম্বা, চেহাড়া ভীষণ সুন্দর। তিনি দেখতে একজন ফ্যাশন মভেলের মত। কিন্তু তার নিজের পরিবেশনের প্ল্যাটফর্ম হল ফেন্সিং প্রতিযোগিতা। তিনি চীন সম্পর্কে অনেক জানেন। তিনি সুষ্ঠুভাবে চীনা ভাষাও বলতে পারেন। পেইচিং তার অনেক পরিচিত।
পেইচিং অলিম্পিক গেমসের আগে ২৬ বছর বয়সী হাইডম্যান জার্মানীর কোলং বিশ্ববিদ্যালের চীনা সংস্কৃতি বিষয়ে স্কলারশীপ নিয়ে ডিগ্রী লাভ করেন। ফেন্সিং অনুশীলন ছাড়াও তিনি চীনের ইতিহাস, সমাজ ও আইন বিষয়ে লেখাপড়া করেন। তিনি চীনা সংস্কৃতির ওপর স্নাতাকোত্তর ডিগ্রী নেয়ার চেষ্টা করবেন। তিনি বলেন, 'আমি ১৫ বছর বয়সের সময় পেইচিংয়ে তিন মাস ছিলাম। আমি পেইচিংয়ের ২৫ নম্বর মাধ্যমিক স্কুলে লেখাপড়া করেছি।'
হাইডম্যান চীনা ভাষার নাম হল সিয়াও ইউয়ে। তিনি চীনকে নিজের দ্বিতীয় মাতৃভূমি হিসেবে দেখেন। তিনি ১১ বছর বয়সের সময় বাবা মার সঙ্গে চীনের হংকং ও কুইলিন ভ্রমণ করেছিলেন। চীনের সংস্কৃতি তাঁকে গভীরভাবে আকর্ষণ করে।
হাইডম্যান সাংবাদিককে বলেন, জার্মানীর স্কুলগুলো বিশেষভাবে তাদের মাধ্যমিক স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের বিদেশে লেখাপড়া করতে উত্সাহ দেয়। সে কারণে তখন বেশির ভাগ ছাত্রছাত্রীরাই ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিল। কিন্তু তিনি চীনে এসেছিলেন। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, 'চীনা মানুষ অনেক বন্ধুবত্সল। চীনের খাবার অনেক সুস্বাদু। চীনের সংস্কৃতি অনেক মজার ও তাদের ইতিহাস সুদীর্ঘ কালের। সেজন্য আমি চীনে এসেছিলাম।'
১৩ আগষ্ট নারীদের ইপি সেমিফাইনালে হাইডম্যান চীনের খেলোয়াড় লি নাকে হারিয়ে দিয়ে ফাইনালে ওঠেন। আসলে এই দু'জন মেয়েই ১০ বছর আগের পরিচিত। আগের বন্ধুরা, তারা এখন প্রতিযোগিতার প্রতিদ্বন্দ্বী ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছে। এরপর হাইডম্যান বলেন, 'আমি একজন ফেন্সিং খেলোয়াড় হিসেবে প্রথম বারের মত চীনে আসার সময় চীনের জাতীয় ফেন্সিং দলের সঙ্গে অনুশীলন করেছিলাম। সেখান থেকে আমি লি না'র সঙ্গে পরিচিত হই।'
হাইডম্যান বলেন, চীন হল তাঁর দ্বিতীয় জন্মভূমি। নিজের দ্বিতীয় জন্মভূমিতে স্বর্ণপদক জিতে তিনি অনেক গর্ব অনূভব করেন। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, 'অলিম্পিক গেমসের স্বর্ণপদক লাভ করা হল ক্রীড়াবিদদের জন্য একটি বিরাট সাফল্য অনেক আনন্দের। পেইচিংয়ে স্বর্ণপদক লাভ করা আমার জন্য একটি বিশেষ দিক। ২০০১ সালের বিশ্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের গেমসে আমি চ্যাম্পিয়ন ছিলাম। এখন আমি পুনরায় পেইচিংয়ে সাফল্য লাভ করেছি।'
হাইডম্যান একজন উত্কুষ্ট ফেন্সিং খেলোয়াড় এবং তিনি চীন সম্পর্কে অনেক বেশি জানেন। হাইডম্যান চীনকে অনেক বেশভালবাসেন। চীনে অলিম্পিক গেমসের স্বর্ণপদক লাভ করা হল হাইডম্যান জন্য গর্বের।
ছাই ইউয়ে |