v চীনের বিশ্ব কোষv চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগ
চীনে কেনিয়ার রাষ্ট্রদূতের অলিম্পিক শুভেচ্ছা
2008-08-13 20:27:38
    ক্রীড়া ক্ষেত্রে কেনিয়া হচ্ছে আফ্রিকার অন্যতম শক্তিশালী দেশ। ঐতিহ্যগতভাবেই দেশটি মাঝারি ও দূরপাল্লার দৌড়ে বেশ শক্তিশালী। ১৯৫৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত কেনিয়া ১১ বার গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক গেমসে অংশ নিয়েছে এবং ৬১টি পদক পেয়েছে। আপন্ন পেইচিং অলিম্পিক গেমস উপলক্ষে আমাদের বেতারের সংবাদদাতা চীনে কেনিয়ার রাষ্ট্রদূত ম্যাডাম রুথ সেরেতি সোলিতেই-এর একটি সাক্ষাত্কার নিয়েছেন।

    রাষ্ট্রদূত সোলিতেই পেইচিং অলিম্পিক গেমসের প্রতীক্ষায় রয়েছেন। তিনি বলেন, চার বছর পর পর অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক ক্রীড়া সম্মিলনী হিসেবে পেইচিং অলিম্পিক নিয়ে কেনিয়ার খেলোযাড়রা আস্থাশীল। তিনি আরো বলেন,

    কেনিয়ার খেলোয়াড়ারা দূরপাল্লার দৌড়সহ দৌঁড়ের বেশ কটি ইভেন্ট ও জাম্পিং প্রতিযোগিতায় ভালো করেছেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কেনিয়ার খেলোয়াড়রা সাঁতারেও বেশ সফল। আমি আশা করি, চলতি বছরের অলিম্পিক গেমসে কেনিয়ার খেলোয়াড়রা নিজেদের নৈপুণ্য তুলে ধরতে পারবেন।

    বরাবরই কেনিয়া মাঝারি ও দূরপাল্লা দৌঁড়ে বিশ্ব-বিখ্যাত। পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ২০ জন মাঝারি ও দূরপাল্লার অ্যাথলেটের মধ্যে ১২ জন কেনিয়ার। রাষ্ট্রদূত সোলিতেই দূরপাল্লার দৌঁড়ের ভক্ত। তিনি বলেন,

    একজন কেনিয়ান হিসেবে আমি দৌঁড় পছন্দ করি। কারণ দূরপাল্লার দৌঁড় হচ্ছে আমাদের কেনিয়ার ক্রীড়ার জন্য সবচেয়ে ভালো ইভেন্ট।

    সোলিতেই বলেন, কেনিয়ার মোট ৬০ জন অ্যাথলেট পেইচিং অলিম্পিক গেমসে অংশ নেয়ার অনুমতি পেয়েছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, তাঁরা অবশ্যই ভাল করবেন।

    একটি ক্রীড়া মহা সম্মিলনী হিসেবে সোলিতেই মনে করেন, পেইচিং অলিম্পিক গেমস কেনিয়ার জন্য বিশ্বের কাছে তার বিশেষ সংস্কৃতি পরিদর্শনের প্লাটফর্মে পরিণত হবে। তিনি বলেন,

    অলিম্পিক গেমস বিশ্বের বিভিন্ন দেশের খেলোয়াড়দের জন্য চীন এবং চীনা জনগণকে জানার একটি সুযোগ এনে দেবে। পাশাপাশি অলিম্পিক গেমস জনগণকে পারস্পরিক সমঝোতা বাড়ানোর সুযোগ করে দেয়। আমি আশা করি, পেইচিং অলিম্পিক গেমসের সময় আরো ভালোভাবে আমরা কেনিয়ার সংস্কৃতি প্রদর্শন করতে পারবো। যেমন আমাদের জীবন যাপন পদ্ধতি, ঐতিহ্যবাহী নাচগান, কাপড় ও খাবার প্রভৃতি। তিনি আন্তরিকভাবে অলিম্পিক প্রস্তুতির প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন,

    আমি ২০০৪ সালে পেইচিংয়ে এসেছি। তখন থেকে এখন পর্যন্ত আমি নিজের চোখে পেইচিং-এর বিশাল পরিবর্তন ও উন্নয়ন দেখেছি। আমরা দেখেছি, পেইচিং অনেক নতুন রেল পথ ও সড়ক নির্মাণ করেছে। চলতি বছরের প্রথম দিকে পেইচিংয়ের রাজধানী বিমান বন্দরের নতুন ৩ নম্বর টার্মিনাল ভবন নির্মিত হয়েছে।

    চীনের সঙ্গে কেনিয়ার সুদীর্ঘ বিনিময়ের ইতিহাস রয়েছে। কেনিয়া স্বাধীন হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দু'দেশের মধ্যে বরাবরই সুষ্ঠু মৈত্রী ও সহযোগিতা বজায় রয়েছে। ক্রীড়া ক্ষেত্র সম্পর্কিত দু'দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন,

    চীন কেনিয়ার জন্য কাসারানি জাতীয় স্টেডিয়াম নির্মাণ করেছে। এই স্টেডিয়াম কেনিয়া এবং চীনের মৈত্রীর প্রতীক। এটি কেনিয়ার খেলোয়াড়দের সুষ্ঠু প্রশিক্ষণ ভেন্যু। তা ছাড়া, দু'দেশের মধ্যে খেলোয়াড় ও প্রশিক্ষক বিনিময় চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। আমি মনে করি, এটা হচ্ছে পারস্পরিক কল্যাণমূলক চুক্তি। এর মধ্য দিয়ে দু'দেশের মধ্যে ক্রীড়া অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং মৈত্রী বাড়বে। এসব চুক্তি আমাদের দু'দেশের ক্রীড়া শিল্পের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করেছে।

    সোলিতেই মনে করেন, এবারের পেইচিং অলিম্পিক গেমস দু'দেশের বিনিময় জোরদারের একটি সুযোগ। তিনি বলেন,

    কেনিয়া এবং চীনের মধ্যে মোট ছয়'শরও বেশি মৈত্রীর ইতিহাস রয়েছে। অলিম্পিক গেমস দু'দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য একটি ভালো সুযোগ এবং আমাদের সংস্কৃতি প্রদর্শনেরও সুযোগ দিয়েছে। আমরা আশা করি, আরো বেশি চীনা জনগণ কেনিয়া ভ্রমণ করবেন।

     সাক্ষাত্কার শেষে রাষ্ট্রদূত পেইচিং অলিম্পিক গেমসের সফলতা কামনা করেন। (লিলি)

  • সাক্ষাত্কার
  • সর্বশেষ সংবাদ
  • অন-লাইন জরীপ
     
    © China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
    16A Shijingshan Road, Beijing, China