বন্ধুরা, ২০১০ সালে লন্ডন অলিম্পিক গেমসে সফ্টবল আনুষ্ঠানিক ইভেন্ট থাকবে না। সেজন্য পেইচিং অলিম্পিক গেমস হবে চীনের নারী সফ্টবল দলের সর্বশ্রেষ্ঠ সাফল্য লাভের একটি সুযোগ। চীনের জাতীয় ক্রীড়া ব্যুরো বিশেষ করে চীনের সফ্টবল দলের জন্য একজন ডক্টরেটকে নেতৃত্বের দায়িত্ব দিয়েছে। তাহলে একজন পুরুষ ডক্টরেট ধারা ইয়াং স্যু নারী সফ্টবল দলে কীভাবে কাজ করবেন? আজকের অনুষ্ঠানে আমি আপনাদেরকে এ সম্পর্কিত কিছু কথা জানাবো।
ইয়া স্যু পেইচিং ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মানুষের শরীর চর্চা বিজ্ঞান বিষয়ের ওপর ডক্টরেট ডিগ্রীধারী। তিনি ২০০৭ সালের জুলাই থেকে চীনের নারী সফ্টবল দলের দলনেতার দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি সাংবাদিকের বলেন, ক্রীড়া গবেষণা ক্ষেত্রে তিনি অভিজ্ঞ। সেজন্য চীনের জাতীয় ক্রীড়া ব্যুরো তাঁকে চীনের সফ্টবল দলের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনের সুযোগ দিয়েছেন। তিনি বলেন, 'আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে মানুষের শরীর চর্চা বিজ্ঞান নিয়ে অধ্যয়ন করেছি। মানুষের শরীর চর্চা বিজ্ঞানের সঙ্গে ক্রীড়ার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। সেজন্য সফ্টবল দলের কাজটি আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখা বিজ্ঞানের সঙ্গে সম্পৃক্ত।'
ইয়াং স্যু সফ্টবল দলে এক বছরে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি সবসময় নারীদেরকে মানুষের শরীর চর্চা জ্ঞান জানান। তিনি নারীদেরকে জানান, মানুষের কেন ক্লান্তি লাগে, মাংসপেশি কেন ব্যথা লাগে, কীভাবে স্বাস্থ্য ও মাংসপেশির মান উন্নয়ন করা এবং কীভাবে ক্রীড়া আঘাত এড়ানো পাওয়া যায়? এছাড়া, তিনি ক্রীড়াবিদের খাদ্য পুষ্টি সম্পর্কেও ভালভাবে গবেষণা করেছেন। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, 'আমার কাজ হল মেয়েদেরকে তাদের মাংপেশির শ্রেষ্ঠ মান বজায় রাখা ও ভালভাবে খাওয়ানো। অনুশীলন প্রক্রিয়ায় আমি নিজের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার অ--- ক্রীড়াবিদদের সঙ্গে যোগাযোগ করি।'
'বিজ্ঞান ভিত্তিক অলিম্পিক গেমস' হল পেইচিং অলিম্পিক গেমস ২০০৮'র তিনটি ধারণার একটি। ইয়াং স্যু প্রতিদিন বিবেচনা করেন, কীভাবে আধুনিক জ্ঞান অনুশীলন ও প্রতিযোগিতায় ব্যবহার করবেন? তিনি আশা করেন, নিজের চেষ্টার মাধ্যমে চীনের নারী সফ্টবল উন্নত হবে ও সাফল্য আসবে। তিনি বলেন, 'প্রতিযোগিতার বেশির ভাগই হল দেশীও অর্থনীতি ও বিজ্ঞান ভিত্তিক প্রতিযোগিতা। এরমধ্যে বিজ্ঞান ভিত্তিক প্রতিযোগিতার সঙ্গে ক্রীড়া ক্ষেত্রের সম্পর্ক।'
ইয়াং স্যু চীনের নারী সফ্টবল দলে আসার সময় এ দলটি সমন্বিত ছিল। তিনি বলেন, কীভাবে যে নারী দলের সঙ্গে সামন্ঞ্জস্য স্থাপনা করবো তা একটি কঠিন সমস্যা ছিল। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা দিয়ে ইয়াং স্যু দ্রুতভাবে এই সমস্যা নিরসনের পদ্ধতি খুঁজে বেড় করেছেন। এটি হল মেয়েদের সঙ্গে সুষ্ঠুভাবে যোগাযোগের জন্য উত্স। এরফলে মেয়েরা ধীরে ধীরে তাঁকে তাদের বুন্ধু হিসেবে দেখতে শুরু করেছে। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, 'আমি মেয়েদের প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলোকে বিবেচনা করি। এটি হল তাঁদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি। আমি আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে যুবক ছাত্রছাত্রীদের প্রশিক্ষণ দিতাম। আমি মনে করি, সফ্টবল ক্রীড়াবিদদের পরিচলনার পদ্ধতির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের পদ্ধতির অনেক মিল রয়েছে। সে ব্যাপারে আমার অনেক অভিজ্ঞতা রয়েছে।'
ইয়াং স্যু বলেন, চীন দু'বার অলিম্পিক গেমসের সফ্টবলে চতুর্থ হয়ে ছিল। তিনি আশা করেন, এবারের পেইচিং অলিম্পিক গেমসে চীনের নারী সফ্টবল দল স্বদেশে একটি পদক লাভ করবে। বর্তমানে মেয়েদের নৈপুন্যের অবস্থা বেশ ভাল। গত অক্টোবর মাসে পেইচিংয়ে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সফ্টবল চ্যাম্পিয়নশীপে চীন স্বর্ণপদক লাভ করে। কিন্তু মেয়েদের চাপ কমানোর জন্য ইয়াং স্যু তাঁদেরকে বলেন, সাফল্যের জন্য চাপ বহন করবেন না। তিনি জোর দিয়ে বলেন, অলিম্পিক গেমস হল এ দলের মেয়েরা নিজেদের গ্ল্যামার পরিদর্শনের মঞ্চ। তিনি আরো বলেন, 'অলিম্পিক গেমসে অংশ নেয়ার অর্থ সাফল্য লাভ করা নয়, কিন্তু নিজের স্বাভাবিক মান প্রদর্শন করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব । নিজের গুণগত মান প্রদর্শন করতে পারলে আপনি সবচেয়ে সুন্দর হবেন।'
ছাই ইউয়ে |