বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা যুব শিবিরে থাকা চার শোরও বেশি দর্শক ইতোমধ্যেই পেইচিং অলিম্পিক গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও কিছু প্রতিযোগিতা দেখেছে এবং পেইচিংয়ের বিখ্যাত জায়গা পরিদর্শন করেছে। আজকের পেইচিং অলিম্পিক ২০০৮ অনুষ্ঠানে অলিম্পিক যুব শিবিরে থাকা সদস্যদের চোখে পেইচিং সম্পর্কে আপনাদেরকে কিছু কথা বলবো।
আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির উদ্যোগে বিশ শতাব্দীর ৬০-এর দশক থেকে অলিম্পিক যুব শিবির যুবকযুবতীদের বিনিময়ের ব্যাপক তত্পরতায় ব্যপৃত রয়েছে। পেইচিং অলিম্পিক গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগে পেইচিং অলিম্পিক যুব শিবির ১০১ মাধ্যমিক স্কুলে চালু হয়েছে। বিশ্বের২০৪টি দেশ ও অঞ্চলের ৪৮০জনেরও বেশি যুবকযুবতী শিবিরের তত্পরতায় যোগ দিচ্ছে।
রোমানিয়া থেকে আসা ১৬ বয়সী মারিনা গাব্রিয়েলা ভাসিল প্রথম বারের মত চীনে এসেছেন। সে বলেছে, আমি বিভিন্ন পর্যায়ের বাছাইয়ের মাধ্যমে যুব শিবিরে যোগ দেয়ার সুযোগ পেয়েছি। পেইচিংয়ে গিয়ে অলিম্পিক গেমসের তত্পরতায় অংশ নিতে পারায় তার খুব আনন্দ লাগছে।
আমি খুব খুশি। আমার মনে চীনকে ভালো অনুভূতি কাজ করছে। আমি চীনের মহা প্রাচীর , রাজপ্রাসাদ ও থিয়েন আন মেন মহাচত্বর খুব পছন্দ করি। আজও আমি কিছু স্থান পরিদর্শন করেছি। খুব ভালো লেগেছে।
সে আমাদের সংবাদদাতাকে বলেছে, রাজপ্রাসাদ ভ্রমণের সময় সে খুব উত্তেজিত ছিল। কারণ, সে চীনের সংস্কৃতি সম্পর্কে খুব আগ্রহী।
সে বলেছে, আমি জানি, চীনের সংস্কৃতি বৈচিত্র্যময়, বিরাট ও প্রাচীন। তাই আমি চীনকে খুব পছন্দ করি। বিশেষ করে, আমি চীনের প্রাচীন স্থাপনা পছন্দ করি। যেমন রাজপ্রাসাদগুলো।
মারিনার মত রোমানিয়া থেকে আসা মার্ক স্টোইয়ানও আগে চীন সম্পর্কে কিছুই জানতে না। সে শুধু জানে, চীন দ্রুত অর্থনীতি উন্নয়নের একটি দেশ। যুব শিবিরের তত্পরতার মাধ্যমে সে চীনের ঐতিহ্যিক সংস্কৃতি প্রথম বারের মত অনুভব করতে পেরেছে এবং চীনে প্রতি তার গভীর আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।
সে বলেছে, এখানে আমি বহু চীনা গান শুনেছি। কুং ফু প্রদর্শনী ও চীনা ড্রাগণ দেখেছি যা খুবই মজার। এখানকার সড়ক ও স্থাপনা রোমানিয়ার চেয়ে পেইচিং খুব সন্দর।
ব্রিটেনের লন্ডন থেকে আসা নাটালি মোর ২০১২ সালের লন্ডন অলিম্পিক সাংগঠনিক কমিটির কর্মী। যুব শিবিরের তত্পরতায় যোগ দেয়া ছাড়াও, মোরের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্য হলো পেইচিং অলিম্পিক গেমস আয়োজনের অভিজ্ঞতা শেখা। সে বলেছে, আমি প্রথম বারের মত চীনে এসেছি। এর আগে আমি শুধু বন্ধুদের কাছ থেকে বা ওয়াবসাইটের ছবির মাধ্যমে চীন সম্পর্কে জানতাম। এখানকার স্থাপনা খুব বড়। পেইচিং অলিম্পিক গেমসের বিশেষ গাড়ি লাইনের ব্যবস্থা সুষ্ঠু। আগে আমার মনে চীন ছিল একেবারেই ভিন্ন। সময় পেলে আমি আরো বেশি জায়গা দেখবো।
অলিম্পিক গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বিশ্বের জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। পেইচিং বিশ্বের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। রোমানিয়ার ছেলে মার্কের কথার মত পেইচিং-এর অধিবাসীরা বন্ধুত্বপ্রতীম এবং মৃদু হাসি নিয়ে বিশ্বের সকল অতিথিদের স্বাগত জানায়।
মার্ক বলেছে, তারা খুব অতিথিপরায়ন। |