ওয়াং ই বলেন, প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের বক্তৃতায় সার্বিকভাবে মহামারি-পরবর্তী যুগে বিশ্ব কেমন হবে ও চীন সেই বিশ্বে কী ভূমিকা পালন করবে, তা ব্যাখ্যা করা হয়েছে। তার বক্তৃতা বিশ্বব্যাপী মহামারি-বিরোধী সহযোগিতার ক্ষেত্রে নতুন প্রেরণা সঞ্চার করেছে; বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের নতুন উপায় উপস্থাপন করেছে; বিশ্বব্যাপী নারীদের জন্য নতুন সহায়তার কথা বলেছে; এবং জাতিসংঘের মূল ভূমিকাকে নতুন করে সমর্থন করেছে। প্রেসিডেন্ট সি উল্লেখ করেন যে, বিশ্বে একটি মাত্র গ্রহণযোগ্য ব্যবস্থা রয়েছে, আর সেটি হলো জাতিসংঘকেন্দ্রিক আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা; বিশ্বে নিয়মের একটি মাত্র সেট রয়েছে, আর সেটি হলো জাতিসংঘের সনদের ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মৌলিক নিয়মের সেট।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চলতি বছর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বেশ কয়েকটি নতুন বড় উদ্যোগ এবং ব্যবস্থা গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছেন। এর মধ্যে আছে নভেল করোনাভাইরাস নিউমোনিয়া মহামারির জন্য জাতিসংঘের গ্লোবাল মানবিক প্রতিক্রিয়া পরিকল্পনার জন্য ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সরবরাহ করা, ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা ট্রাস্ট স্থাপন করা, চীন-জাতিসংঘের শান্তি ও উন্নয়ন তহবিলের মেয়াদ ২০২৫ সালে শেষ হওয়ার পর ৫ বছরের জন্য মেয়াদ বাড়ানো, পরের ৫ বছরে ইউএন উইমেনকে আরও এক কোটি মার্কিন ডলার অনুদান দেওয়া, জাতিসংঘের গ্লোবাল ভৌগোলিক তথ্যজ্ঞান ও উদ্ভাবন কেন্দ্র এবং টেকসই বিকাশের জন্য আন্তর্জাতিক গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা, ইত্যাদি। (জিনিয়া/আলিম/শুয়েই)