২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত, সিনচিয়াংয়ে জিডিপি'র মোট পরিমাণ ৯১৯.৫৯ বিলিয়ন ইউয়ান থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩৫৯.৭১১ বিলিয়ন ইউয়ানে, এর বার্ষিক গড় প্রবৃদ্ধি ৭.২ শতাংশ।
২০১৩ সাল থেকে ২০১৯ সালের শেষ পর্যন্ত, সিনচিয়াংয়ে মোট ২৫টি দরিদ্র জেলা দারিদ্র্যমুক্ত হয়। এর মধ্যে রয়েছে ৩১০৭টি দরিদ্র গ্রাম। দরিদ্রতার হার ১৯.৪ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ১.২৪ শতাংশে। ২০২০ সালের শেষ দিকে গোটা সিনচিয়াংয়ে সবাই দারিদ্র্যমুক্ত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
থিয়ানশান পর্বতের দক্ষিণ ও উত্তরাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ শহরে ২০১৯ সালে বায়ুর গুণগত মান ২০১৮ সালের একই সময়ের তুলনায় ১.৫ শতাংশ বেশি হয়েছে। নদীতে প্রবাহিত পানির গুণগত মান আগের বছরের তুলনায় ১.২ শতাংশ বেড়েছে। প্রধান দূষণকারী পণ্য নিরসনের পরিমাণ অব্যাহতভাবে কমে এসেছে।
২০১৯ সালে সিনচিয়াংয়ের উইগুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের জিডিপি'র পরিমাণ ছিল ১৩৫৯.৭১ বিলিয়ন ইউয়ান, যা ২০১৮ সালের তুলনায় ৬.২ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে সিনচিয়াংয়ের অর্থনৈতিক উন্নত এলাকা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। উদাহরণসরূপ, সিনচিয়াংয়ের কাশি উন্নয়ন এলাকা হচ্ছে চীনের পশ্চিমাঞ্চলীয় গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় পর্যায়ের উন্নয়নমূলক অঞ্চল। স্থানীয় অর্থনীতি পুনরুদ্ধার জোরদার করতে এ অঞ্চলে বহুমুখী শুল্ক হ্রাস ও খরচ কমানোর নীতি কাজে লাগানো হয়েছে।
স্থানীয় কয়েকটি সরকারি বিভাগ নিয়ে সেবা দল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দলটি কারখানা ও ব্যক্তিগত মালিকানার দোকানে গিয়ে তাদের খোঁজ-খবর নেয়। এই প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট শিল্পপ্রতিষ্ঠানের বাস্তব সমস্যা সমাধানের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা নেয়। এ বছরের প্রথমার্ধে কাশি অর্থনৈতিক উন্নত এলাকায় নতুন নিবন্ধিত শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৯২টি এবং বাণিজ্য ও পুঁজি আহরণকারী প্রকল্পের সংখ্যা ৫৪টি। পাশাপাশি, ২.১৩৬ বিলিয়ন ইউয়ানের সামাজিক পুঁজি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে এবং ১৬টি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি পুঁজির প্রকল্পের কাজও শুরু হয়েছে।
থিয়ানশান ও খুনলুন পর্বত সিনচিয়াংয়ের ঐতিহাসিক পরিবর্তনের সাক্ষী। চীনের অষ্টাদশ কংগ্রেসের পর, চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংকে কেন্দ্র করে সিপিসি'র নেতৃত্বে সুসংহত, সমৃদ্ধ, সভ্যতা ও অগ্রগতি, সুখী জীবন এবং উন্নত প্রাকৃতিক পরিবেশ সমৃদ্ধ একটি চীনা বৈশিষ্ট্যময় সমাজতান্ত্রিক সিনচিয়াং নতুন সময়ে চীনা জাতির মহাপুনরুত্থানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিজের অবদান রাখছে।
(ওয়াং হাইমান/তৌহিদ/ছাই)