মার্কিন শীর্ষ নেতা ভাষণে গর্বের সঙ্গে ঘোষণা করেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র একতরফাভাবে ইরান-পরমাণুচুক্তি থেকে সরে গিয়েছে। তিনি মনে করেন, ইরানের বিরুদ্ধে তাঁর তথাকথিত 'কঠোর নিষেধাজ্ঞা' গর্বের ব্যাপার।
সবাই জানে যে, ২০১৮ সালের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্র একতরফাভাবে ইরান-পরমাণুচুক্তি থেকে সরে যায় এবং এর চুক্তির অন্যতম অংশীদারের যোগ্যতা হারায়। তবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এর আগে নিরাপত্তা পরিষদে দাবি করেন যে, ইরানের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের ২২৩১ নম্বর প্রস্তাবের নির্ধারিত 'দ্রুতভাবে শাস্তি পুনরুদ্ধারের' ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এর ফলাফল এই হলো যে, নিরাপত্তা পরিষদের অধিকাংশ সদস্যদেশ এর বিরোধিতা করল। নিইউয়র্ক টাইমসের সম্পাদকীয়তেও বলা হয়েছে যে, যদিও মার্কিন সরকার ইরানকে বিচ্ছিন্ন করতে চায়, কিন্তু এই অপপ্রচেষ্টার বিরোধিতা করেছে অনেক দেশ। যুক্তরাষ্ট্রকেই বরং বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে বাকি বিশ্ব।
সত্যি কথা বলতে কি, মার্কিন শীর্ষ নেতার এবারের ভাষণের মাধ্যমে সারা বিশ্ব আরও স্পষ্টভাবে বুঝতে পেরেছে যে, 'আমেরিকা ফার্স্ট' চিন্তাধারার আসল অর্থ হল 'একতরফাবাদ ও আধিপত্যবাদ'। মার্কিন রাজনীতিক নিজের স্বার্থের জন্য 'আমেরিকা ফার্স্ট' নীতিকে দৃশ্যত 'আমেরিকা হুমকি'-তে পরিণত করছেন। এই নীতি আন্তর্জাতিক শৃংখলা এবং বিশ্বের শান্তির প্রতি সুস্পষ্ট হুমকি। (শুয়েই/আলিম/জিনিয়া)