সেপ্টেম্বর ২৪: গত ২২ সেপ্টেম্বর চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৫তম অধিবেশনের সাধারণ বিতর্কে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তা বিশ্বের জলবায়ু অভিযানের প্রতিজ্ঞা ও আস্থা যুগিয়েছে।
ভাষণে প্রেসিডেন্ট সি বলেছিলেন, 'মানবজাতির একাধিক প্রাকৃতিক সতর্কতা উপেক্ষা করা উচিত নয়; একইসঙ্গে শুধু প্রত্যাশা করা ও ব্যবহার করা উচিত নয়। প্যারিস চুক্তি বিশ্বের সবুজায়নের দিকনির্দেশনা ও পৃথিবীকে রক্ষার মৌলিক অংশ। বিভিন্ন দেশের উচিত এ নির্ণায়ক পদক্ষেপ গ্রহণ করা। এ বিষয়ে চীন আরও শক্তিশালী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমনের পরিমাণ ২০৩০ সালের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ন্ত্রণ করা হবে এবং ২০৬০ সালের মধ্যে নানা পদ্ধতিতে কার্বন নির্গমনের হার কমানো হবে।
বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞ চীনের এ প্রতিশ্রুতির প্রশংসা করেছে।
লন্ডনের জলবায়ু বিশেষজ্ঞ জয়েরি রগেলি বলেছেন, চীন যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তা বিশ্বব্যাপী জলবায়ু অভিযানের আস্থা যোগাবে।
ওয়াশিংটনের বিশ্ব জ্বালানি গবেষণার ভাইস চেয়ারম্যান হেলেন মাউন্টফোর্ড বলেছেন, 'এ প্রতিশ্রুতির ইতিবাচক প্রভাব পড়বেই। তা প্রধান প্রধান নির্গমনকারী দেশগুলোকে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার আস্থা জোরদারে সহায়ক হবে।
ইউরোপীয় জলবায়ু তহবিলের চেয়ারম্যান লরেন্স তুবিয়ানা প্যারিস চুক্তি প্রণয়নে অংশ নিয়েছিলেন। তিনি বলেছেন, জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলন আগামী বছরে অনুষ্ঠিত হবে। চীন, ইইউ ও অনেক উন্নয়নশীল দেশের নেতৃবৃন্দের চেষ্টায় সবার আস্থা বাড়ছে।
(রুবি/তৌহিদ/আকাশ)