"জন্মস্থানেই লেখকদের প্রথম লেখার সূচনা। আমরা লেখকদের তাদের জন্মস্থানে ফিরে যাওয়ার প্রক্রিয়া অনুসরণ করি এবং রেকর্ড করি, কীভাবে তারা তাদের আদি শহরে সাহিত্য রচনা শুরু করেন"। প্রামাণ্যচিত্রের পরিচালক এবং বেইজিং নরমাল বিশ্ববিদ্যালয় ডকুমেন্টারি সেন্টারের পরিচালক ঝাং টংডাও বলেন, "আমি আশা করি এই ডকুমেন্টারির মাধ্যমে দর্শকরা তাদের নিজেদের সাহিত্যের শহর খুঁজে পাবেন, যা আমাদের আধ্যাত্মিক শহর।"
"পূর্ণ চাঁদ" লেখার পরে লেখক জিয়া ফিংআও বিভ্রান্তির মধ্যে হারিয়ে যান। কোনও কিছু লিখতে ইচ্ছা করত না। তারপর তিনি তার "শহরে" সাংচৌ গ্রামটি খুঁজে পান, তাই তিনি দিনের বেলা সে গ্রামে ঘুরে বেড়াতেন এবং রাতে গ্রামবাসীদের বাড়িতে বসে লেখালেখি করতেন। এভাবে সৃজনশীল পদ্ধতিতে বাধা কাটিয়ে ওঠেন তিনি।
আলাই একবার মালকংয়ে দীর্ঘ সময় ধরে হাঁটেন। প্রতিটি নদী, প্রতিটি উপত্যকা সাবধানে পর্যবেক্ষণ করেন। ১৮জন সর্দারের গল্প শোনেন এবং তাদের বংশধরদের সঙ্গেও দেখা করেন। তারপরে তিনি লিখেছিলেন "দ্য ডাস্ট সেটলেটড"।
বিখ্যাত লেখক মো ইয়েন বলেন, "একজন লেখকের জন্মস্থান বলতে সেই স্থানকে বোঝায়, যেখানে লেখক তার শৈশব- এমনকি তার যৌবনের সময়গুলো কাটিয়েছিলেন।"
বেইজিং নরমাল ইউনিভার্সিটির ইন্টারন্যাশনাল রাইটিং সেন্টারের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ঝাং ছিংহুয়া উল্লেখ করেন যে, প্রতিটা দক্ষ লেখকের পিছনেই তার নিজের শহরটির ভূমিকা রয়েছে। যেমন, বেইজিংয়ের লেখক লাও শে'র কাছে এবং শাংহাইয়ের লেখিকা চাং আই লিন'র কাছে।
বলা যায়, শৈশবের স্মৃতি লেখকদের সৃজনশীলতার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জন্মস্থানে লেখকদের অনন্য স্বভাব এবং জীবনের অভিজ্ঞতা তৈরি হয়।
ডকুমেন্টারিতে এই ছয় লেখকের কাজ আর্ট ফর্মে রূপান্তর করা হয়। "দ্য হোমটাউন অফ লিটারেচার" আবারও সাহিত্য এবং অন্যান্য শিল্পের মধ্যে সম্পর্ক তুলে ধরে। জনপ্রিয় সংস্কৃতির যুগে সাহিত্য চলচ্চিত্র ও নাটকে পুষ্টি জোগায়, ফিল্ম ও নাটকে সাহিত্য ফিরিয়ে দেয় এবং এর প্রভাব বাড়ায়।
এই ডকুমেন্টারিটি আসলে এক ধরণের সাংস্কৃতিক গবেষণা। কেন লেখকরা এসব রচনা করেছিলেন এবং কেন তা এমন একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্যে পরিণত হয় তা অন্বেষণ করা হয় এতে।