আজকের অনুষ্ঠানে চীনের তাইওয়ান প্রদেশের তরুণ গায়িকা স্যু চিয়া ইংয়ের সঙ্গে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিবো এবং তার সুললিত কণ্ঠে গাওয়া বেশ কয়েকটি গান শোনাবো।
স্যু চিয়া ইং ১৯৮৪ সালে তাইওয়ান প্রদেশের তাইচুং শহরে জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলা থেকেই তিনি সংগীত খুব পছন্দ করতেন। ৮ বয়সে তিনি পিয়ানো শেখা শুরু করেন। উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ার সময় স্যু চিয়া গিটার ও ড্রাম বাজানো শেখেন। সে সময় থেকেই স্যু চিয়া ইং নানা ধরনের গানের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে শুরু করেন। গান গাওয়া ছাড়া তিনি নিজে সুর দেওয়া শুরু করেন। ২০০৮ সালে স্যু চিয়া ইং তাইওয়ানে 'সুপার স্টার এভিনিউ' নামে এক গানের প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হন।
বন্ধুরা, এখন শুনুন প্রতিযোগিতায় তিনি নিজ রচিত একটি সুন্দর গান 'একই জ্যোৎস্না'। গান ১
চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর স্যু চিয়া ইং নিজের পেশা নার্সের কাজ ছেড়ে দেন। একজন পেশাদার গায়িকা হিসেবে সংগীত জীবন শুরু করেন। ২০০৯ সালে তিনি তার প্রথম অ্যালবাম—'স্যু চিয়া ইং' প্রকাশ করেন। এই অ্যালবামের জন্য তিনি সে বছরের শ্রেষ্ঠ ম্যান্ডারিন গায়িকা এবং শ্রেষ্ঠ সুরকারের পুরস্কার পান।
বন্ধুরা, এখন শুনুন অ্যালবামে স্যু চিয়া ইং রচিত খুব সুন্দর একটি গান 'দুঃখের বালিয়াড়ি'। গান ২
স্যু চিয়া ইংয়ের কণ্ঠস্বর খুবই মিষ্টি ও স্পষ্ট। বয়সে তরুণ হলেও তার গাওয়া গানে প্রবল আবেগ অনুভব করা যায়। এ ছাড়া তার নিজের রচিত গানগুলো খুবই বৈশিষ্ট্যময় ও নান্দনিক। এবার যে গানটি আমরা শুনবো, সেটি তার প্রথম অ্যালবামের গান, গানের নাম 'সাদা ঘোড়ায় চড়া'। গানটি তাইওয়ানের লোকযাত্রা কো জেয়াই সি অবলম্বনে রচিত হয়েছে। এই কো জেয়াই সিতে দু'জনের মর্মস্পর্শী প্রেম ও ভালোবাসা বর্ণনা করা হয়েছে। তারা তরুণ বয়স থেকে প্রেমে পড়ে, তবে যুদ্ধের জন্য অনেক বছর পর পুনর্মিলন হয়। স্যু চিয়া ইং'র কণ্ঠে গানটি অনেক আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে।
বন্ধুরা, এখন গানটি শুনি। গান ৩
২০১০ সালে স্যু চিয়া ইং তার দ্বিতীয় অ্যালবাম 'সীমা' প্রকাশ করেন। এই অ্যালবামের নামের মতো তিনি তার সংগীতের সীমা খোঁজার চেষ্টা করেন। এতে তার সংগীতের বৈশিষ্ট্য আরও সুন্দরভাবে ফুটে ওঠে। অ্যালবামটি মুক্তি পাবার পর তা বেশ জনপ্রিয় হয়। আর তিনিও একই সঙ্গে তার প্রথম কনসার্টেরও আয়োজন করেন।
বন্ধুরা, এখন শুনুন এই অ্যালবামের প্রধান গান 'সীমা'। এই গানে নিজের সীমা অতিক্রমের আশা প্রকাশ করা হয়। বন্ধুরা, এখন গানটি শুনি। গান ৪
২০১২ ও ২০১৪ সালে স্যু চিয়া ইং যথাক্রমে তার তৃতীয় অ্যালবাম 'আদর্শ জীবন' এবং চতুর্থ অ্যালবাম 'অনুসন্ধান নোটিশ' প্রকাশ করেন। ২০১৫ সালে তিনি চতুর্থ অ্যালবাম 'অনুসন্ধান নোর্টিশ'–এর মাধ্যমে তাইওয়ানের 'গোল্ডেন সুর' পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পান। একজন সুরকার ও গায়িকা হিসেবে স্যু চিয়া ইং আরো বেশি স্বীকৃতি ও প্রশংসা পেতে থাকেন।
বন্ধুরা, এবার আমরা শুনবো স্যু চিয়া ইং'র অ্যালবাম ' অনুসন্ধান নোটিশ '-এর প্রধান গান 'অনুসন্ধান নোটিশ'। এ গানে কোনো মানুষকে অনুসন্ধান করা হয়েছে, এমন নয়, বরং একটি ভুলে যাওয়া স্মৃতি, জীবনের কোনো একটি দিক; বা ভবিষ্যতের জন্য আরো ভালো কিছুর কথা স্মরণ করা হয়েছে।
বন্ধুরা, এখন গানটি শুনি। গান ৫
বন্ধুরা, এবারের গান আমরা শুনবো স্যু চিয়া ইং'র গান 'আদর্শ জীবন'। আমরা সবাই আদর্শ ও নিখুঁত জীবন কাটানোর জন্য নানা চেষ্টা করি। কিন্তু অবশেষে বুঝতে পারি নিখুঁত জীবন এ পৃথিবীতে সম্ভব না। তাই আমরা শুধু আশা করি, আগামীকাল নিশ্চয় গতকালের চেয়ে ভালো হবে। আর সুখের জীবনের জন্য প্রচেষ্টা করার ইচ্ছাও থাকে।
চলুন, এখন একসাথে স্যু চিয়া ইং'র এই সুন্দর গান 'আদর্শ জীবন' শুনবো গান ৬
অনুষ্ঠানের শেষে আমরা স্যু চিয়া ইং'র আরো একটি সুন্দর চীনা বৈশিষ্ট্যময় গান 'বৃষ্টি হবে' শুনবো। আশা করি, গানটি আপনাদের ভালো লাগবে। গান ৭
শ্রোতাবন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠান তাহলে এখানেই শেষ করছি। আশা করি, আমাদের অনুষ্ঠানে প্রচারিত গানগুলো আপনাদের ভালো লেগেছে। এই অনুষ্ঠান সম্পর্কে আপনাদের কোনো মতামত থাকলে অথবা বিশেষ কোনো গান শুনতে চাইলে আমাকে সরাসরি ই-মেইল করুন। আমার ই-মেইল ঠিকানা: chengmin@cri.com.cn। এখন বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকুন, সুন্দর থাকুন ও সুস্থ থাকুন। আবার কথা হবে।