চীনে প্রবাসী বিদেশিদের গল্প
  2020-05-13 16:51:34  cri

মহামারীর সময়ে আমার জীবন: লিলিয়ানা

লিলিয়ানা চায়না মিডিয়া গ্রুপ (সিএমজি)-র চীন আন্তর্জাতিক বেতারের ইন্দোনেশিয়ান বিভাগের বিশেষজ্ঞ। তিনি বেইজিংয়ে ৭ বছরের মতো আছেন। তিনি সিএমজিতে ৩ বছর ধরে কাজ করছেন। তিনি বলেন: "চলতি বছরের বসন্ত উত্সবের সময়ে আমি ও আমার স্বামী আমাদের দেড় বছরের মেয়েকে নিয়ে ইন্দোনেশিয়ায় যাই। তখনও চীন বা ইন্দোনেশিয়ায় কোভিড-১৯ মহামারীর অস্তিত্ব ছিল না। তবে বসন্ত উত্সবের সময়ে চীনে শুরু হয় মহামারী এবং খবর দেখে আমি চিন্তিত হই। তখন ইন্দোনেশিয়ায় মহামারী আসেনি। আমার মেয়ে ছোট। তাই আমার পরিবার আমাকে চীনে ফিরে না-যাবার কথা বলে। তবে আমার স্বামী বলেন, 'চিন্ত করবেন না, সব ঠিক আছে।' আমার স্বামী চীনা, তিনি মহামারী প্রতিরোধে চীনা সরকারের ওপর আস্থা রাখেন। আমরা তিন জন কিছু মাস্ক কিনে বেইজিংয়ে ফিরে যাই। বিমান্দবন্দর থেকে বাসায় ফিরে যাবার পথে আমি দেখি বেইজিং যেন একটি খালি শহর। আমি সব ভাল হয়ে উঠার কামনা করি। তখন বেইজিং সরকারের নির্দেশনা অনুসারে ঘরে থাকতে হয়। বাইরে গেলে মাস্ক পরতে হয়। পাশাপাশি প্রতিরোধের অন্যান্য পরামর্শও মেনে চলতে হয়। আমরা তিনজন এক সপ্তাহে একবার বাইরে গিয়ে প্রয়োজনীয় সবকিছু ক্রয় করি। বাকি সময়ে ঘরে থাকি।

তিন মাস পর, চীনা সরকার ও জনগণ বিশেষ করে মেডিকল স্টাফদের কঠোর প্রচেষ্টায় চীনের মহামারী নিয়ন্ত্রণে এসেছে। জীবনযাপন ঠিক পথে ফিরেছে। আমি মেয়েকে নিয়ে পাশের পার্কে যেতে পারি এবং অ্যাপয়েন্টমেন্ট করলে বেইজিংয়ের অন্য দর্শনীয় স্থানে যেতে পারি। গেল এ তিন মাস আমার জন্য অসাধারণ একটি অভিজ্ঞতা। মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে চীনা মানুষের দৃঢ়প্রতিজ্ঞা ও ঐক্য দেখে আমি অভিভূত। আমি তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে চাই। আমি মনে করি, মহামারী প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে চীনের অভিজ্ঞতা থেকে শিখতে পারে অন্যান্য দেশ। আশা করা যায়, ইন্দোনেশিয়াসহ অন্যান্য দেশ চীনের মতো যত দ্রুত সম্ভব মহামারীমুক্ত হবে। সারা বিশ্বের শান্তি ও সুখ জন্য কামনা করি আমি।"

1  2  3  4  
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040