ফেব্রুয়ারি ২৬: দক্ষিণ কোরিয়ার স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, দেশটির সময় মঙ্গলবার বিকাল ৪টা থেকে পরদিন সকাল ৯টা পর্যন্ত, কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়েছে ১১৪৬জন এবং মারা গেছে ১১জন। ১১তম মৃত ব্যক্তিটি মঙ্গোলিয়া থেকে আসা ৩৬ বছর বয়সী পুরুষ। এ রোগে দক্ষিণ কোরিয়ায় মারা যাওয়া প্রথম বিদেশি মানুষ তিনি।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন মঙ্গলবার দেশটির গুরুতর সংক্রমিত অঞ্চল দায়েগু শহর পরিদর্শনের সময় জানান, মহামারী ঠেকাতে সব পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে। দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষমতাসীন পার্টি, সরকার ও প্রেসিডেন্ট ভবন ছেওং ওয়া দায়ে এদিন সভার আয়োজন করা হয়। এতে দায়েগু ও গেওংসাংবুক-দো এলাকায় "কঠোর লকড্ডাউন ব্যবস্থা" নেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়। এতে মহামারী দেশের অন্যান্য অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া রোধ করা যাবে।
দক্ষিণ কোরিয়ার রোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ মঙ্গলবার জানায়, দায়েগু শহরে কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্তের বেশিরভাগই একটি চার্চের সঙ্গে জড়িত। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।
মহামারী ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষাপটে, গত কয়েক দিনে চীন ও দক্ষিণ কোরিয়া যাতায়াতকারী কিছু বিমান বাতিল করা হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউল থেকে চীনে আসা বিমানের টিকিটের দাম অনেক বেড়েছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র চাও লি চিয়ান মঙ্গলবার জানান, চীন জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখবে, সমন্বয় করবে, আলোচনা করবে, যৌথভাবে মহামারী প্রতিরোধ করবে, একযোগে মহামারী বিস্তার রোধ করবে এবং আঞ্চলিক ও বিশ্বের গণস্বাস্থ্য রক্ষায় কাজ করবে।
(আকাশ/তৌহিদ/রুবি)