ফ্রেব্রুয়ারি ৪: সম্প্রতি সাংহাই আন্তর্জাতিক গবেষণা ইনস্টিটিউট " নতুন করোনা ভাইরাস: প্রতিরোধ, অগ্রগতি ও প্রভাব" শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে নতুন করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে চীনা সরকারের কার্যক্রম, এর অগ্রগতি ও প্রভাব, এবং সমাধান নিয়ে বিস্তারিত মন্তব্য করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের সরকার উহানকে বিচ্ছিন্ন করেছে। এটা করা হয়েছে ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে। একটি দায়িত্বশীল বড় দেশ হিসেবে চীনের এই ব্যবস্থা প্রশংসনীয়। হুপেই প্রদেশ থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ও বিদেশে মানুষের যাতায়াত কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে চীনের সরকার। এই ব্যবস্থা শুধু চীনের জনগণকে রক্ষার জন্য নয়, বরং বিশ্বের জনগণকে রক্ষার জন্য।
চীনের সরকারের মহামারী নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা প্রসঙ্গে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পরপরই চীনের সরকার ও সমাজের বিভিন্ন অংশকে মবিলাইজ করা হয়েছে। এতে মহামারী নিয়ন্ত্রণে সরকার, বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান, ও সমাজের অন্যান্য মহলের মধ্যে একটি জাল সৃষ্টি হয়েছে।
চীনের অর্থনীতির ওপর মহামারীর প্রভাব সম্পর্কে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মহামারীর সরাসরি প্রভাব পড়বে সেবা খাত, উৎপাদন-শিল্প ও বাণিজ্যে। এই প্রভাব হবে স্বল্পস্থায়ী। কারণ, চীনের অর্থনীতির সহ্যক্ষমতা অনেক। তা ছাড়া, অর্থনীতির সকল খাতের ওপর মহামারীর স্বল্পমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে, তা-ও নয়। অনলাইন বাণিজ্য, অনলাইন গেমস্, বিনোদন শিল্পের ওপর মহামারীর বরং ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মহামারী প্রতিরোধের ক্ষেত্রে চীন কখনওই আর্ন্তজাতিক দায়িত্বকে উপেক্ষা করেনি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাথে সক্রিয় সহযোগিতা করে আসছে চীন। মহামারীর তথ্য প্রকাশের ক্ষেত্রেও দেশটি শতভাগ স্বচ্ছ থেকেছে। বিভিন্ন উপায়ে মহামারীর বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া ঠেকিয়েছে চীন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আশা করা যায় আন্তর্জাতিক সমাজ মহামারীর তথ্য শেয়ার করার ম্যাকানিজম উন্নত করবে এবং মহামারী প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা বিনিময় জোরদার করবে। প্রতিবেদনে জোর দিয়ে বলা হয়, মহামারী যাতে বিভিন্ন দেশের মধ্যে আদান-প্রদানকে বাধাগ্রস্ত করতে না-পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে। বিভিন্ন দেশের জনগণকে আরও কাছাকাছি আনাই বরং এখন জরুরি। (আকাশ/আলিম/সুর্বণা)