ওইসিডির ২০১৮ সালের পিসা রিপোর্টে চীনের চারটি প্রদেশ ও শহরের শিক্ষার্থীর ফলাফল শ্রেষ্ঠ
সম্প্রতি চীনের শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থা (ওইসিডি)'র ২০১৮ সালের পিসা রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। বিশ্বের ৭৯টি দেশ ও অঞ্চলের ১৫ বছর বয়সী ছাত্রছাত্রীদের নমুনা পরীক্ষায় চীনের বেইজিং, শাংহাই, চিয়াংসু ও চেচিয়াং- এ চারটি শহর ও প্রদেশের ছাত্রছাত্রীদের পঠন (রিডিং), গণিত ও প্রাকৃতিক বিজ্ঞান- এ তিনটি বিষয়ের ফলাফল শীর্ষস্থানে দাঁড়িয়েছে।
ফলাফল থেকে জানা গেছে, চীনের এ চারটি শহর ও প্রদেশের ছাত্রছাত্রীদের গড় পরীক্ষার ফলাফল বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে প্রথম স্থানে দাঁড়িয়েছে। পঠনের দিকে এ চারটি শহর ও প্রদেশের ছাত্রছাত্রীরা বহু ধরনের বই পড়তে পছন্দ করে, তাদের জানার আগ্রহও সবচেয়ে বেশি।
পরীক্ষা থেকে জানা গেছে, চীনের চারটি প্রদেশ ও শহরের সমান শিক্ষাদানের কার্যকরিতা ব্যাপকভাবে পরিবর্তন ঘটেছে, শহরাঞ্চলের অবকাঠামো নির্মাণ ব্যাপক উন্নত হয়েছে তবে জেলা ও গ্রামের শিক্ষকতার দুর্বলতা দেখা যায় এবং শহর ও গ্রামের শিক্ষকদের দক্ষতার ব্যবধান বেশি। প্রতি সপ্তাহে চারটি শহর ও প্রদেশের ছাত্রছাত্রীদের ক্লাসে লেখাপড়ার সময় প্রায় ৩২ ঘন্টা, তাছাড়া শিক্ষার্থীদের পিতামাতাও তাদের শিক্ষাদান গ্রহণে গুরুত্ব দেন।
এ ফলাফল সম্পর্কে চীনের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বাধ্যতামূলক শিক্ষার মান পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের উপ-পরিচালক সিন থাও মনে করেন, চীনের চারটি শহর ও প্রদেশের শিক্ষার্থীরা গণিত ও প্রাকৃতিক বিজ্ঞানসহ বিভিন্ন পরীক্ষায় চমত্কার ফলাফল অর্জন করেছে, তবে শিক্ষাদানের সমতাসহ আরো কিছু সমস্যা দেখা যায়। তাই শ্রেষ্ঠ শিক্ষক প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন শহর ও গ্রামের শিক্ষার ভারসাম্য উন্নয়ন বাস্তবায়ন করা হবে এবং দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীদের সহায়তা জোরদার করা হবে, অব্যাহতভাবে বাধ্যতামূলক শিক্ষার গুণগতমান উন্নয়ন বাস্তবায়ন করা হবে।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন দেশের স্কুল শিক্ষার্থীদের মান নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করে অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থা (ওইসিডি) । এটি পিসা রিপোর্ট নামে পরিচিত। পিসা হচ্ছে 'প্রোগ্রাম ফর ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট অ্যাসেসমেন্ট'। ২০০০ সালে এটি প্রথম প্রকাশিত হয়। এই পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পঠন (রিডিং), গণিত ও প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের উপর জ্ঞান সম্পর্কে জানার চেষ্টা করা হয়। তা থেকে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা জানা যায়। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও স্কুলের তথ্য সংগ্রহ করা যায়, শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফলাফল বিশ্লেষণ করা যায়, যাতে অংশগ্রহণকারী দেশ ও অঞ্চল নিজের শিক্ষা ব্যবস্থার প্রাধান্য ও দুর্বলতা জানতে পারে এবং পরে সংশ্লিষ্ট নীতিমালা পূরণ করতে পারে।