বস্তুত, ভাইস প্রেসিডেন্ট পেন্সের এ বক্তব্য ভিত্তিহীন এবং আর্থ-বাণিজ্যিক সমস্যাকে রাজনীতির স্বার্থে ব্যবহারের উদাহরণ। ভাষণে তিনি খোলাখুলি চীনের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করেছেন এবং চীনের ওপর চাপ প্রয়োগের প্রয়াস পেয়েছেন, যা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য।
চীন-যুক্তরাষ্ট্র আর্থ-বাণিজ্যিক সংলাপের দিকে ফিরে তাকালে দেখা যাবে, যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা সিদ্ধান্তের কারণেই সংলাপ বারবার ব্যাহত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র একদিকে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করে নিজের পাশাপাশি অন্যের ক্ষতি করছে, অন্যদিকে চীনা মানুষকে সম্মান করার কথা বলছে। পেন্সসহ দেশটির একশ্রেণির রাজনীতিবিদের কথা ও কাজের মধ্যে কোনো মিল নেই।
ভাইস প্রেসিডেন্ট পেন্সের উচিত ইতিহাস সম্পর্কে আরও ভালোভাবে জানা। 'চীন-ব্রিটেন যৌথ বিবৃতি' ছিল ১৯৮৪ সালে হংকংয়ের চীনের অধীনে ফিরে আসার আগের অন্তর্বর্তীকালীন রাজনৈতিক দলিল। ১৯৯৭ সালের পয়লা জুলাই হংকং চীনের অধীনে ফিরে আসার পর সে-দলিল অকার্যকর হয়ে যায়। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট সেই সেকেলে ঐতিহাসিক দলিলের ভিত্তিতে চীনের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে চান এবং চীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, যা হাস্যকর। (রুবি/আলিম/শিশির)