প্রতিদিন খুবই ভোরে সিনচিয়াংয়ের রাজধানী উরুমুছিতে অবস্থিত সিনচিয়াং মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিনের রান্নাঘরে কাজ শুরু করেন হোথিয়ানের মোইউ জেলার জাওয়া থানার তুগরাকে গ্রামের বাসিন্দা মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ জাফর। তিনি এখানে কাজ করছেন প্রায় এক বছর ধরে। ক্যান্টিন তার থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করেছে। এখন জাফর নিজের স্ত্রীকেও গ্রাম থেকে নিয়ে এসেছেন। এ সম্পর্কে তার সঙ্গে সাংবাদিকদের যে কথোপকথন হয়েছে তা এমন: সাংবাদিক: আপনি এখন কী কী রান্না করতে পারেন?
জাফর: 'অনেককিছুই রান্না করতে পারি। আমাদের জীবনযাত্রার মান অনেক উন্নত হয়েছে। আমি ও আমার স্ত্রী খুবই খুশি। আমরা প্রতিদিন পরিশ্রম করি।'
সিনচিয়াং মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত ক্যাডার বিভাগের উপপরিচালক স্যুয়ে ইয়ান নিয়মিত জাফরসহ কৃষক কর্মীদেরকে যত্ন নিয়ে থাকেন। স্যুয়ে ইয়ান মাঝে মাঝে তাঁদেরকে নিজের বাড়িতে খাওয়ার দাওয়াত দেন। এ সম্পর্কে স্যুয়ে ইয়ান বলেন, 'আজকে বসন্ত উত্সবে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের সবাইকে এবং গ্রামের কর্মীদেরকে নিয়ে আমাদর বাড়িতে খেয়েছি।'
জানা গেছে, এ বছরে ৮টি গ্রামের ১৫৯ জন দরিদ্র পরিবারের বাসিন্দা সিনচিয়াং মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ শুরু করেন। বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয় অব্যাহতভাবে কর্মসংস্থানের মাধ্যমে দারিদ্র্যবিমোচন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। লক্ষ্য হলো ২০২০ সালের মধ্যে ১২০০টি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা।
নানজিয়াংয়ের কৃষকরা বাইরে কর্মসংস্থানের সুযোগ পাওয়ার পাশাপাশি স্থানীয় সরকার ইতিবাচকভাবে কাশগরে প্রযুক্তি ও কারখানার উন্নয়ন ঘটাচ্ছে। এ পর্যন্ত কাশগর এলাকার ৫০ শতাংশ গ্রামে ১২৭১টি স্যাটেলাইট কারখানা গড়ে তোলা হয়। এতে ৩২০০০টি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। কাশগর শহরের অর্থনীতি ও তথ্যায়ন কমিশনের পরিচালক হুয়াং লি দং বলেন, "আগামীতে আমরা বাণিজ্য বাড়ানো ও বিনিয়োগ সংগ্রহ করার চেষ্টা করব, যাতে বিভিন্ন শিল্প গ্রামে গড়ে উঠতে পারে। আগামী বছরে স্যাটেলাইন কারখানাগুলোতে কর্মসংস্থানের সংখ্যা হবে ৫০ হাজার।' (ছাই/আলিম)