নভেম্বর ১১: প্রথম চীন আন্তর্জাতিক আমদানি মেলা গতকাল (শনিবার) সাফল্যের সঙ্গে সমাপ্ত হয়েছে। এবারের মেলায় ১৭২টি দেশ, অঞ্চল ও আন্তর্জাতিক সংস্থা অংশ নেয়। এতে ক্রেতার সংখ্যা দাঁড়ায় ৪ লক্ষাধিক। অনুমান করা হচ্ছে ইচ্ছাকৃত চুক্তির পরিমাণ দাঁড়াবে ৫৭.৮৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। এমন ধরনের আর্থ-বাণিজ্যিক সাফল্য বিশ্বের আর্থ-বাণিজ্যিক ইতিহাসে খুব বিরল বলে চীন আন্তর্জাতিক বেতার (সিআরআই)-র ভাষ্যকার মনে করেন।
আন্তর্জাতিক আমদানি মেলা আয়োজনের প্রস্তাব ২০১৭ সালে 'এক অঞ্চল, এক পথ' বিষয়ক আন্তর্জাতিক সহযোগিতার শীর্ষ ফোরামে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং উত্থাপন করেন। এটি হলো চীনের নতুন দফার উচ্চ মানের বৈদেশিক উন্মুক্ততা বেগবান করার গুরুত্বপূর্ণ নীতি এবং বিশ্বের কাছে চীনের নিজ উদ্যোগে বাজার উন্মুক্ত করে তোলার গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
প্রথম আন্তর্জাতিক আমদানি মেলার সাফল্য থেকে দেখা যায়, এতে প্রেসিডেন্ট সি'র চিন্তা প্রমাণিত হয়, অর্থাত্ অর্থনীতির বিশ্বায়ন হলো ইতিহাসের অপরিবর্তনীয় প্রবণতা, উন্মুক্ততা ও সহযোগিতা হলো আন্তর্জাতিক আর্থ-বাণিজ্যিক প্রাণবন্ত শক্তি জোরদারের গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি। এর দেওয়া কল্যাণে সারা বিশ্ব চিরদিন উপকৃত হবে বলে সিআরআইয়ের ভাষ্যকার মনে করেন।
ভাষ্যকার আরো মনে করেন, আমদানি মেলা উন্মুক্ততা বেগবান করতে সক্ষম এবং বাণিজ্যের স্বাধীনতা ও বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির সহায়ক। মেলার মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে আরো বেশি নতুন সুযোগ বয়ে আনা হয়।
মেলা মতৈক্য সংযুক্ত করতে সক্ষম। গুরুত্বপূর্ণ আর্থ-বাণিজ্যিক সমস্যা মোকাবিলার ক্ষেত্রে বিভিন্ন পক্ষকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম মেলাটি। মেলার একটি বৈশিষ্ট্য হলো প্রদর্শনী ছাড়াও, মেলা চলাকালে বৈশ্বিক আর্থ-বাণিজ্যিক ইস্যু নিয়ে আলাপ-আলোচনা হয়।
তা ছাড়া, মেলায় তুলে ধরা 'যৌথ আলোচনা, নির্মাণ ও সমন্বিত অর্জনের' চিন্তাধারা হলো মানবজাতির অভিন্ন লক্ষ্যের কমিউনিটি গঠনসংক্রান্ত চিন্তাধারার একটি প্রাণবন্ত অনুশীলন বলে ভাষ্যকার মনে করেন। (লিলি/টুটুল)