নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট
  2018-08-06 10:20:00  cri
২০০৬ সালে বাংলাদেশের নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় এবং চীনের ইউননান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতার ভিত্তিতে নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয়। এটা দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট এবং বিশ্বের সবচেয়ে আগে প্রতিষ্ঠিত কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটগুলোর অন্যতম।

১২ বছর উন্নয়নের পর নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট পর পর বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫টি চীনা ভাষার টিচিং পয়েন্ট স্থাপন করেছে।

এই কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও সমাজের বিভিন্ন মহলের জন্য চীনা ভাষার কোর্স এবং নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের জন্য চীনা ভাষার ক্রেডিট কোর্স স্থাপন করেছে। এছাড়া সক্রিয়ভাবে চীনা সংস্কৃতির প্রসার এবং চীন-বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক ও একাডেমিক বিনিময় সাধন করছে।

২০০৮ সালে নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট এবং একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ হাতে হাত রেখে নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রথম চীনা ক্রেডিট কোর্স "চীনা ভাষা ও সংস্কৃতি এন্ট্রি (ক)" (সিএইচএন ১০১) শুরু করে, যা বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে খোলা প্রথম চীনা ক্রেডিট কোর্স। এটি বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় চীনা ভাষা শিক্ষার নতুন পরিস্থিতি তৈরি করেছে।

ক্রেডিট কোর্স চালু হওয়ার পর তা শিক্ষার্থীদের মধ্যে খুব জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। প্রথম বছরে এই কোর্সটি একটি ক্লাস থেকে তিনটি ক্লাস পর্যন্ত উন্নীত হয় এবং শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১শ' ছাড়িয়ে যায়।

২০১৫ সালের অটাম সেমিস্টার থেকে কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট কোর্স মডেল সমন্বয় করে। নতুন "১ +এন" মডেলটির মানে একটি ভাষা কোর্স বেশ কয়েকটি সাংস্কৃতিক কোর্সের সাথে সমন্বিত, ভাষা কোর্স ৮৫% এবং সাংস্কৃতিক কোর্স ১৫% কাঠামো অনুযায়ী হিসাব করা হয়। প্রতিটি সেমিস্টারের সিএইচএন ১০১ কোর্সে একজন ভাষা শিক্ষক ও ৩-৫ জন সাংস্কৃতিক কোর্স শিক্ষকদের নিয়ে কোর্সগ্রুপ গঠন করা হয়। নতুন পাঠ্যক্রম মডেল শিক্ষার্থীদের ব্যাপক সমর্থন পায়। শুধু ২০১৬ সালে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৯শ' ছাড়িয়ে যায়। এছাড়া ২০১৬ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ধারাবাহিক ৬টি সেমিস্টারে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্স পরিমাপে শিক্ষার্থীর রেটিং ৪.৭ বা তার বেশি হয়। ২০১৭ সালের সামার সেমিস্টারে, কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট ও ইংরেজি বিভাগের যৌথ উদ্যোগে "চীনা ভাষা ও সংস্কৃতি এন্ট্রি (খ) (সিএইচএন ২০১) কোর্স শুরু হয়। প্রথম কোর্সে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪০জনেরও বেশি।

বিভিন্ন পর্যায়ের ভাষা কোর্স ছাড়াও কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট কাগজ-কাটা, হস্তলিপিশিল্প, থাইজি, চা শিল্প, চীনা কবিতা, চীনা নাচ ও চীনা সঙ্গীতসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ক্লাস চালু করে।

কনফুসিয়াস ইন্সটিটিউটের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা বিগত অনেকগুলো 'চীনা ভাষা সেতু' প্রতিযোগিতায় বার বার অনেক ভালো ফলাফল অর্জন করেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের শত শত শিক্ষার্থী বৃত্তি পেয়ে চীনে লেখাপড়া করতে আসেন। তাদের মধ্যে অনেকে স্বদেশে ফিরে দু'দেশের আর্থ-বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।

প্রশংসিত ভাষা কোর্স ছাড়াও প্রতি বছর কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট 'চাইনিজ ডে', 'কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট ডে', 'চীনা সাংস্কৃতিক মাস' এবং 'শুভ নববর্ষ'সহ অন্যান্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করে এবং নিয়মিতভাবে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে চীনে গ্রীষ্মকালীন ক্যাম্পসহ অন্যান্য সাংস্কৃতিক বিনিময় কার্যক্রম সংগঠিত করে।

নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম এইচএসকে টেস্ট সাইটও বটে।

দশ-বার বছর ধরে নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট বেশ কয়েকবার গৌরব অর্জন করে। ২০১৬ সালে একাদশ বিশ্ব কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট সম্মেলনে, 'উন্নত কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট' হিসেবে সুনাম কুড়িয়েছে। ভবিষ্যতে নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট সক্রিয়ভাবে চীন ও বাংলাদেশের মানুষের যোগাযোগের সেতুতে পরিণত হওয়ার চেষ্টা চালাবে, যাতে চীনা ভাষা শেখানো এবং চীন-বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক বিনিময়ের জন্য আরো বড় অবদান রাখা যায়।

প্রশ্ন:

১. নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইন্সটিটিউট কোন সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?

ক. ২০০৯ সালে

খ. ২০০৬ সালে

গ. ২০১৬ সালে

২. নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট কোন চীনা ভাষা প্রতিযোগিতায় বার বার ভাল ফলাফল অর্জন করেছে?

ক. চীনা ভাষা সেতু

খ. চাইনিজ ডে

গ. চীনা সাংস্কৃতিক মাস

© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040