0303eco
|
১. চীনের সংস্কার কার্যক্রম ও বৈশ্বিক অর্থনীতিতে দেশটির অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেছে বিশ্ব ব্যাংক। সম্প্রতি প্রকাশিত ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলমান সমন্বিত সংস্কারের মাধ্যমে চীন আরও টেকসই উন্নয়ন অর্জনে সক্ষম হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্যাপক সংস্কার কার্যক্রমের ফলেই চীনের অর্থনীতি দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত একটি অর্থনীতি বাজারভিত্তিক ও উন্মুক্ত অর্থনীতিতে রূপান্তরিত হয়েছে।
বিগত পাঁচ বছরে চীনের জিডিপি ৫৪ ট্রিলিয়ন ইউয়ান থেকে বেড়ে ৮০ ট্রিলিয়ন ইউয়ানের বেশি হয়েছে। এই পাঁচ বছরে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে চীনের অবদান ৩০ শতাংশের বেশি।
২. জ্বালানি ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিশ্বের শীর্ষ ১০ ইনোভেটিভ কোম্পানির তালিকায় দ্বিতীয় স্থান দখল করেছে চীনের বিওয়াইডব্লিউ (বিল্ড ইওর ড্রিমস্)। যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসাবিষয়ক মাসিক ম্যাগাজিন 'ফাস্ট কোম্পানি' এই তালিকা তৈরি করে। তালিকায় প্রথম স্থানটি দখল করেছে মার্কিন কোম্পানি গ্রিন মাউন্টেইন পাওয়ার।
ম্যাগাজিনটি বলেছে, তেল্সা বিশ্বের বৃহত্তম ইলেকট্রিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান নয়, চীনা কোম্পানি বিওয়াইডব্লিউ এ-ক্ষেত্রে শীর্ষস্থানে রয়েছে।
৩. চীনে 'শেয়ারিং ইকনোমি' বা 'ভাগাভাগির অর্থনীতি'-তে দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জিত হচ্ছে। গেল বছর দেশের শেয়ারিং অর্থনীতির মোট মূল্য ছিল প্রায় ৪৯ লাখ ২ হাজার ৫০ কোটি ইউয়ান, যা ২০১৬ সালের চেয়ে ৪৭.২ শতাংশ বেশি। সম্প্রতি চীনের তথ্যকেন্দ্রের শেয়ারিং অর্থনীতি গবেষণাগার ও চীনের ইন্টারনেট পরিষদের শেয়ারিং অর্থনীতি কর্মকমিটি যৌথভাবে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ-তথ্য উল্লেখ করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শেয়ারিং অর্থনীতি দেশে ব্যাপকভাবে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। প্রতিবেদন অনুসারে, গেল বছর শেয়ারিং অর্থনীতির শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মীর সংখ্যা ছিল প্রায় ৭১ লাখ ৬০ হাজার, যা ২০১৬ সালের চেয়ে ১৩ লাখ ১০ হাজার বেশি। এই সংখ্যা শহারাঞ্চলে সৃষ্ট নতুন কর্মসংস্থানের ৯.৭ শতাংশ।
প্রতিবেদনে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে যে, আগামী ৫ বছরে চীনের 'শেয়ারিং অর্থনীতি' ৩০ শতাংশ হারে বাড়বে।
৪. ব্রেক্সিটের পর 'ইইউ কাস্টমস্ ইউনিয়নে' থাকার কোনো পরিকল্পনা ব্রিটিশ সরকারের নেই। সম্প্রতি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীভবনের একজন মুখপাত্র এ-কথা বলেন।
মুখপাত্র সিনহুয়া বার্তা সংস্থাকে আরও বলেন, ব্রিটিশ সরকার ব্রেক্সিটের পর বিশ্বের অন্যান্য অর্থনৈতিক গোষ্ঠীর সঙ্গে অবাধে বাণিজ্যচুক্তি করার কথা ভাবছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ব্রিটেনের প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন ব্রেক্সিটের পর নতুন ধরনের 'ইউকে-ইইউ কাস্টমস ইউনিয়ন' গঠনের প্রস্তাব করেন। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন এর তীব্র বিরোধিতা করে বলেন, এ-ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে, ব্রিটেন ইইউ'র কলোনিতে পরিণত হবে।
৫. আগামী পাঁচ বছরে ৩৪০ কোটি মার্কিন ডলার বৈদেশিক পুঁজি আকর্ষণ করবে মালদ্বীপ। সম্প্রতি মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লা ইয়ামিন পার্লামেন্টে এ-তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গেল বছর বেশ কয়েকটি দেশ থেকে মালদ্বীপে পর্যটন খাতে ১৬০ কোটি মার্কিন ডলারের ৪০টি বিনিয়োগ-প্রস্তাব গ্রহণ করেছে মালদ্বীপ সরকার। অন্যান্য খাতে ১৮০ কোটি মার্কিন ডলারের ৫০টি প্রস্তাবও রয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন আরও বলেন, বিশ্ব ব্যাংক, এআইআইবিসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সুষ্ঠু সম্পর্ক বজায় রেখেছে মালদ্বীপ। এটি ভবিষ্যতে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে সহায়ক হবে।
৬. ফিলিপিন্সের অবকাঠামো খাতে ব্যাপকভাবে বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংক (এআইআইবি)। সম্প্রতি এআইআইবি'র উপ-ব্যবস্থাপক ও প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা মিস্টার অস্টফিল্ডের বরাত দিয়ে 'ম্যানিলা বুলেটিন' এ-তথ্য জানায়।
অস্টফিল্ড জানান, ফিলিপিন্সে প্রথম প্রকল্পে বিশ্ব ব্যাংক ও এআইআইবি যৌথভাবে ৫০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে। এটি একটি বন্যাব্যবস্থাপনা প্রকল্প। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে স্থানীয় ৩ লাখ ৭০ হাজার পরিবার উপকৃত হবে।
ম্যানিলাসহ দেশটির ৫টি অঞ্চলে এআইএইবি আগামী ৬ বছরে বিভিন্ন প্রকল্পে বিনিয়োগ করবে বলেও জানান তিনি।
৭. চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে ৩.১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে। সম্প্রতি মার্কিন পার্লামেন্টে পেশ করা ট্রাম্প প্রশাসনের প্রথম অর্থনৈতিক প্রতিবেদনে এ-পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে সরকারের অর্থনৈতিক নীতির প্রশংসা করা হয়।
হোয়াইট হাউসের অর্থনীতি উপদেষ্টা কমিটির প্রধান কেভিন হাসেট বলেন, এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে ধীর গতির উন্নয়নের কারণ ছিল ওবামা প্রশাসনের ভুল নীতি। তিনি দাবি করেন, ট্রাম্প প্রশাসনের কর হ্রাস ও অবকাঠমো উন্নয়ন পরিকল্পনা দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
এদিকে, মার্কিন মাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে ১.৫ শতাংশ এবং ২০১৭ সালে ২.৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে।
৮. ভারতে অনুষ্ঠেয় বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও)-র বৈঠকে আমন্ত্রণ পেয়েছেন পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী পারভেজ মালিক। আগামী ১৯ ও ২০ মার্চ দিল্লিতে ডব্লিউটিও-র মন্ত্রী পর্যায়ের এই বৈঠক হবে।
সাউথ ব্লক সূত্রের বরাত দিয়ে আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, এখনও পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘর্ষে উত্তপ্ত কাশ্মিরের নিয়ন্ত্রণরেখা। ফলে আনুষ্ঠানিকভাবে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা এখনও সম্ভব নয়। কিন্তু ট্র্যাক-টু আলোচনার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মঞ্চে ইসলামাবাদের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রাখতে চায় দিল্লি। তা ছাড়া, ডব্লিউটিও-র মঞ্চে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বদলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সক্রিয়। ফলে পাক মন্ত্রী এলেও, বিষয়টি সরাসরি কূটনৈতিক আলোচনার মর্যাদা পাবে না।
এদিকে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, ইসলামাবাদ ও দিল্লি বন্দি বিনিময়ের কথাও ভাবছে। সেই ক্ষেত্রে দু'দেশের জেলে বন্দি মহিলা, শিশু ও মানসিকভাবে অসুস্থদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
৯. শুধু মহারাষ্ট্রে প্রস্তাবিত ভারতের বৃহত্তম তেল শোধনাগারেই নয়, ভারতের আরও বেশ কয়েকটি শোধনাগারের সম্প্রসারণ প্রকল্পেও অংশীদার হতে চায় সৌদি আরবের তোল কোম্পানি অ্যারামকো। ভারত সফরে এসে সম্প্রতি এ-কথা জানান সৌদি তেলমন্ত্রী খালিদ আল ফলি।
অতিরিক্ত আমদানিনির্ভরতা কমাতে পাঁচ বছরের মধ্যে মহারাষ্ট্রের রত্নগিরি জেলায় রাজাপুরের কাছে বাবুলওয়াড়িতে দেশের বৃহত্তম তেল শোধনাগার ও পেট্রো-রসায়ন কেন্দ্র গড়ার পরিকল্পনার কথা ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে ভারতীয় সরকার। সেখানে সম্ভাব্য বিনিয়োগের অঙ্ক ১ লক্ষ ৮০ হাজার কোটি টাকা। যৌথভাবে তা তৈরি করবে রাষ্ট্রায়ত্ত ইন্ডিয়ান অয়েল, ভারত পেট্রোলিয়াম ও হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম। বছরে ৬ কোটি টন উৎপাদন ক্ষমতার এই শোধনাগারের অংশীদার হতেই আগ্রহ দেখিয়েছে অ্যারামকো।
ফলি আনন্দবাজারকে জানান, মহারাষ্ট্রে প্রস্তাবিত শোধনাগারের অংশীদারিত্ব নিয়ে কথাবার্তা শুরুর জন্য ইতোমধ্যেই দিল্লির সঙ্গে চুক্তি সই করেছেন তাঁরা। মহারাষ্ট্রের ওই প্রকল্প এবং অন্ধ্রপ্রদেশের পেট্রোকেম কমপ্লেক্সে অংশীদারির বিষয়ে সৌদি আরবের সঙ্গে যে কথা হয়েছে, তা নিশ্চিত করেছেন ভারতের তেলমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানও।
১০. বাংলাদেশের বাণিজ্যঘাটতি বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। আমদানি-ব্যয় মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় এ-ঘাটতি তৈরি হয়েছে। চলতি অর্থবছরের (২০১৭-১৮) প্রথমার্ধে বাণিজ্যঘাটতি ৯১ শতাংশ বাড়ে। অপরদিকে বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবের ভারসাম্যেও বড় ধরনের ঘাটতি তৈরি হয়েছে। এ-সময়ে চলতি হিসাবে ঘাটতি দাঁড়ায় ৪৪৬ কোটি ৭০ লাখ ডলার।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)-র তথ্যমতে, গত অর্থবছরে রফতানি আয়েও কাঙ্ক্ষিত গতি আসেনি। জুলাই থেকে ডিসেম্বর—এই ছয় মাসে বিভিন্ন পণ্য রফতানি করে আয় হয়েছে ১৭৬৮ কোটি ৬০ লাখ ডলার। অন্যদিকে এ-সময়ে আমদানিতে ব্যয় হয়েছে ২৬৩১ কোটি ৪০ লাখ ডলার।
লেনদেন ভারসাম্যের ওপর বাংলাদেশ ব্যাংকের মাসিক প্রতিবেদন বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে পণ্যবাণিজ্যে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৪৪৬ কোটি ৭০ লাখ ডলার, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের প্রায় নয়গুণ। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে চলতি হিসাবের ঘাটতি ছিল ১৪৮ কোটি ডলার। তার আগের অর্থবছরে লেনদেন ভারসাম্য ৪২৬ কোটি ২০ লাখ ডলার উদ্বৃত্ত ছিল।
হিসাবে দেখা গেছে, আমদানির জন্য অনেক বেশি ব্যয় হয়ে যাওয়ায় বাণিজ্যঘাটতি বাড়ছে। চলতি অর্থবছরের ছয় মাসে আগের অর্থবছরের ছয় মাসের তুলনায় বাণিজ্যঘাটতি প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে। এ-সময়ে বাণিজ্যঘাটতি বেড়েছে ৯১.২৬ শতাংশ। অথচ গত অর্থবছরের একই সময়ে বাণিজ্যঘাটতি ছিল ৪৫১ কোটি ১০ লাখ ডলার। আর পুরো অর্থবছরে ঘাটতি ছিল ৯৮৪ কোটি ২০ লাখ ডলার।
১২. বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে অস্ট্রিয়া। সম্প্রতি ঢাকার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাতকালে অস্ট্রিয়ার ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল এ-আগ্রহ প্রকাশ করে।
ঢাকায় নিযুক্ত অস্ট্রিয়ার রাষ্ট্রদূত এ-সময় জানান, তার দেশের সরকার বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে স্বল্প সুদে ঋণ দিতে আগ্রহী। পাশাপাশি সেখানকার বেসরকারি বিনিয়োগকারীরাও এখানকার বেসরকারি খাতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা যাচাই করছেন।
অস্ট্রিয়ার প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের মা ও শিশু স্বাস্থ্য, ক্যান্সার, নাক-কান-গলা বিভাগসহ কয়েকটি ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করার আগ্রহের কথাও জানান।
১৩. ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি'র (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম (মহিউদ্দিন) ও সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম সম্প্রতি ভিয়েতনামের পরিকল্পনা ও বিনিয়োগ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রীর সঙ্গে তার মন্ত্রণালয়ে সাক্ষাৎ করেন।
এ-সময় তাঁরা ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্টের আসন্ন বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে আগামী ৬ মার্চ এফবিসিসিআই এবং ভিয়েতনামের পরিকল্পনা ও বিনিয়োগ মন্ত্রণালয়ের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠেয় 'ভিয়েতনাম-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরাম'-এর প্রস্তুতি সম্পর্কে আলোচনা করেন। এফবিসিসিআই-এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ-কথা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আসন্ন সফরে ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সে-দেশের ৫০ জন শিল্প উদ্যোক্তা থাকবেন।
(আলিম)