0619edu
|
সুপ্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা,সবাই ভালো আছেন তো? সুদূর বেইজিং থেকে আপনাদের আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমাদের নিয়মিত সাপ্তাহিক আয়োজন 'বিদ্যাবার্তা'। আর এ আয়োজনে আপনাদের সঙ্গে রয়েছি সুবর্ণা এবং টুটুল।
সম্প্রতি সিআরআইয়ের সাংবাদিক চীনের ছিংহাই প্রদেশে সংখ্যালঘু জাতির শিক্ষার্থীদের শিক্ষা গ্রহণের অবস্থা নিয়ে বিশেষ সাক্ষাত্কার নেন ও গবেষণা করেন। আজকের অনুষ্ঠানে আমরা এ সম্পর্কে কিছু তথ্য তুলে ধরবো এবং উত্তরপূর্ব চীনের লিয়াওনিং প্রদেশের চিনচৌ শহরে অধ্যয়নরত ভারতীয় শিক্ষার্থীদের গল্প শোনাবো।
চীনের ছিংহাই প্রদেশের শিক্ষা বিভাগের প্রকাশিত জরিপ থেকে জানা গেছে, গত বছর স্থানীয় অঞ্চলের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলে সংখ্যালঘু জাতির শিক্ষার্থীদের ভর্তির হার এর আগের তুলনায় একটু হ্রাস পায়। প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষার্থীদের ভর্তির হার দুই ধরনের; একটি নির্দিষ্ট ভর্তির হার তা ০.১৮ শতাংশ হ্রাস পায় এবং অন্যটি মোট ভর্তির হার তা ২.০১ শতাংশ হ্রাস পায়। মাধ্যমিক স্কুলে নির্দিষ্ট ভর্তির হার ২.৬৩ শতাংশ বাড়ে এবং মোট ভর্তির হার ২.৬১ শতাংশ হ্রাস পায়।
এ সম্পর্কে স্থানীয় অঞ্চলের শিক্ষা বিভাগের উপ-প্রধান জনাব ইয়াং ফা ইউ বিস্তারিত ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ করেন। জানা গেছে, স্কুলে ভর্তির হার শিক্ষার্থী সংখ্যা ও স্কুলে যাওয়া শিশুদের বয়সের অনুপাত থেকে হিসাব করা হয়। প্রাথমিক স্কুলে নির্দিষ্ট ভর্তির হার স্কুলে ৬ থেকে ১২ বছর বয়সের শিক্ষার্থী ও স্থানীয় অঞ্চলে ৬ থেকে ১২ বছর বয়সের শিশুদের মোট সংখ্যার অনুপাত অনুসার হিসাব করা হয় এবং মোট ভর্তির হার মানে ৬ বছরের চেয়ে কম আর ১২ বছরের চেয়ে বেশি বয়সী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ও স্থানীয় অঞ্চলের ৬ থেকে ১২ বছরের শিশুদের সংখ্যার অনুপাত। এ দু'টি সংখ্যা থেকে এক অঞ্চলের ভিন্ন বয়সের শিশুদের শিক্ষাগ্রহণের মান ও পরিমাণ বোঝা যায়।
এক বছরের মধ্যে ছিংহাই প্রদেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষার্থী ভর্তি হারের বিশাল পরিবর্তন সম্পর্কে ইয়াং বলেন, আসলে চীনের অনেক শহরে এখন লানচৌয়ের নুডলসের দোকান দেখা যায়। লানচৌ ছিংহাই প্রদেশের রাজধানী। স্থানীয় অঞ্চলের হাতের তৈরি এ নুডলস অনেক জনপ্রিয় ও সুস্বাদু, তা বিশ্ব বিখ্যাত। তাই ছিংহাই প্রদেশের অনেক বাসিন্দা চীনের বিভিন্ন শহরে নুডলসের রেস্তোরাঁ চালু করেন। এর ফলে অনেক শিশু বাবা মায়ের সাথে ছিংহাইয়ের বাইরে চলে যায়। এতে স্থানীয় অঞ্চলের শিশুদের সংখ্যায়ও পরিবর্তন ঘটে। জানা গেছে, বর্তমানে ওই অঞ্চলের ২ লাখেরও বেশি বাসিন্দা চীনের বিভিন্ন জায়গায় নুডলসের রেস্তোরাঁ চালু করেছেন।
মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষার্থীদের ভর্তির হারের পরিবর্তন থেকে বোঝা যায়, স্থানীয় অঞ্চলের সংখ্যালঘু জাতির শিশুরা সময় মতো শিক্ষাগ্রহণ করেছে।
ছিংহাই প্রদেশ তিব্বতি জাতির লোকদের বসবাসের অন্যতম একটি এলাকা। তিব্বতি শিশুদের মন্দিরে ভর্তি করার রীতিনীতি রয়েছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, বৌদ্ধ ধর্মের প্রতি সম্মান দেখাতে এক পরিবারে দু'জন ছেলে থাকলে তাদের মধ্যে একজনকে মন্দিরে প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানো হয়। যদিও যুব দম্পতিদের মধ্যে এমন চিন্তাভাবনার পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়, তবে পরিবারের প্রবীণরা পুরনো রীতিনীতি অনুসরণ করতেই আগ্রহী। অতি দরিদ্র বা প্রত্যন্ত অঞ্চলের পরিবারের শিশুদেরকে বেশি করে মন্দিরে পাঠানো হয়। এভাবে তাদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাও ঠিক করা হয়।
ছিংহাই প্রদেশের আয়তন ৭.২ লাখ বর্গকিলোমিটার। প্রদেশটিতে ৬টি জাতীয় স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল রয়েছে, এদের মধ্যে ৫টি তিব্বতি জাতির। এ সম্পর্কে শিক্ষা বিভাগের উপ-প্রধান ইয়াং বলেন, তিব্বতিদের বসবাসের এলাকায় শিক্ষাদান স্থানীয় অঞ্চলের বাধ্যতামূলক শিক্ষাদানের সবচেয়ে জটিল বিষয়। এখানে শিক্ষাদানের মান উন্নীত করতে হবে, এর সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় অঞ্চলের দুর্বল অর্থনীতি ও সমাজের উন্নয়নের প্রেক্ষাপটে, বাজেটের অভাব আর জনবিরল অবস্থার কারণে শিক্ষাদান বাস্তবায়ন আরো কঠিন। যেমন-কুওলুও তিব্বতি জাতির স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের মাদুও জেলায় পশুপালন এলাকার স্কুলের আশেপাশে ২০ বা ৩০ বর্গকিলোমিটারের মধ্যে কেউ বসবাস করে না, তাই শিক্ষকরা এমন জায়গায় চাকরি করতে চায় না। এ সম্পর্কে ইয়াং বলেন, আমাদের বাধ্যতামূলক শিক্ষাগ্রহণের পরিমাণ চীনের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় অনেক দুর্বল, কারণ এত বিশাল জায়গায় সব শিশুদের শিক্ষাগ্রহণ বাস্তবায়ন অতি কঠিন।
যদিও বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে, তবে ছিংহাই প্রদেশের সংখ্যালঘু জাতির শিক্ষা গ্রহণে অগ্রগতিও অর্জিত হয়েছে। কারণ চীন সরকার এ খাতে ব্যাপক সমর্থন ও সাহায্য দিয়েছে। ছিংহাই হ্রদ জাতীয় বোর্ডিং স্কুলের উদাহরণ দিয়ে বলা যায়, বিগত ৪ বছরের মধ্যে এ স্কুলের শিক্ষাব্যবস্থা, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের হোস্টেলসহ বিভিন্ন ব্যবস্থাপনার উন্নতিতে মোট ৫ কোটি ৩৪ লাখ ৬০ হাজার ইউয়ান বরাদ্দ দিয়েছে চীন সরকার। অতীতে ছিংহাইয়ের তিব্বতিদের বসবাস এলাকায় শুধু বিভিন্ন মন্দিরের দৃশ্য ছিলো সবচেয়ে সুন্দর, বর্তমানে বিভিন্ন নতুন নির্মিত স্কুলের দৃশ্যও অসাধারণ। তাছাড়া, ২০১৬ সালের বসন্তকালের সেমিস্টার থেকে ছিংহাই প্রদেশের সকল জাতীয় স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে কিন্ডারগার্টেন থেকে উচ্চ বিদ্যালয় পর্যন্ত ১৫ বছরের মতো বিনা খরচের শিক্ষাদান দেওয়া শুরু হয়।
জানা গেছে, বেইজিং, থিয়ানচিন, শাংহাই, চেচিয়াং, চিয়াংসু এবং শানতুংসহ ৬টি শহর ও প্রদেশ ছিংহাই প্রদেশের ছয়টি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে শিক্ষা বিনিময় প্রকল্প চালু করে। গত বছরের অক্টোবর মাসে চীনের শানতুং প্রদেশের চিনান, ছিংতাওসহ ৬টি শহরের ১৮৩ জন শ্রেষ্ঠ শিক্ষক ছিংহাইতে পৌঁছে হাইবেই তিব্বতি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে শিক্ষাদান প্রকল্প চালু করেন। এসময় ৭০০টিরও বেশি সেমিনার ও আলোচনাসভা আয়োজিত হয়।
তিব্বতি জাতির শিশুদের মন্দিরে ভর্তি করে স্কুলে অন্তর্হিত হত্তয়া সম্পর্কে স্থানীয় অঞ্চলের তিব্বতি শিক্ষক বলেন, তিব্বতের বৌদ্ধ ধর্মের কারণে এ ঘটনা ঘটে, স্কুল বাধ্যতামূলকভাবে তা বন্ধ করবে না, তবে অন্য দিকে শিশুদের শিক্ষা গ্রহণের অধিকারও নিশ্চিত করতে হবে।
পশুপালন এলাকার মাছিন জেলার তাউ উপজেলার তিব্বতি ভাষার বোর্ডিং স্কুলের শিক্ষক দুওচিয়ে বলেন, বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারের পরিচয়ের মধ্য দিয়ে এখন শিশুদের মন্দিরে ভর্তির হার অনেক কমে গেছে এবং আমরা তাদের বাবা মাকে বলেছি, শুধু জ্ঞান অর্জন করার মধ্য দিয়েই তাদের দরিদ্রতার পরিবর্তন সম্ভব।
তাউ উপজেলার এ তিব্বতি ভাষার বোর্ডিং স্কুল ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। উপজেলার কেন্দ্রীয় অঞ্চল থেকে এ স্কুলের দূরত্ব প্রায় ৩ কিলোমিটার। বর্তমানে স্কুলের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৩৬ জন। স্কুলটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩৭০০ মিটার উঁচুতে অবস্থিত। স্কুলটির নাম তিব্বতি ভাষার বোর্ডিং স্কুল হলেও প্রতি সপ্তাহে এখানে চীনা ভাষা, গণিত, ইংরেজি, অক্ষর লেখা, সংগীত, খেলাধুলা ও বিজ্ঞানসহ বিভিন্ন বিষয় পড়ানো হয়।
স্থানীয় অঞ্চলের জাতীয় বৈশিষ্ট্য ও রীতিনীতির প্রতি সম্মান জানানোর উদ্দেশ্যে প্রতি বুধবার তিব্বতি শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা জাতীয় পোশাক পড়ে স্কুলে আসেন। তা ছাড়া, এ স্কুলে অঞ্চলটির জাতীয় কুওচুয়াং নাচ শেখার ক্লাসের ব্যবস্থাও আছে। খেলাধুলার মধ্যে বাস্কেটবল, ফুটবল, টেবিল টেবিল ও ব্যাডমিন্টন খেলা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
শিক্ষক দুওচিয়ে আরো বলেন, ৫ বছর আগে নির্মিত দুই তলা ভবনের এ বোর্ডিং স্কুল এখন শিক্ষার্থীদের চাহিদা পূরণ করতে পারছে না, কারণ পার্শ্ববর্তী আরো বেশি শিশুকে পশুপালন এলাকা থেকে জেলার দিকে স্থানান্তর করা হয়েছে। তরা এখানে ভর্তি হতে আগ্রহী। চলতি বছরের মধ্যে নতুন ভবন, খেলার মাঠ ও শিক্ষার্থীদের হোস্টেল নির্মাণ করা হবে বলে পরিকল্পনা করা হয়েছে।
বন্ধুরা, এতক্ষণ আপনারা চীনের ছিংহাই প্রদেশের তিব্বতি শিশুদের শিক্ষা গ্রহণের অবস্থা সম্পর্কে কিছু তথ্য জানলেন। এখন আমরা চীনের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় লিয়াওনিং প্রদেশের চিনচৌ শহরে অধ্যয়নরত ভারতীয় শিক্ষার্থীদের গল্প শোনাবো।
চিনচৌ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের শতাধিক শিক্ষার্থী মেডিকেল বিষয়ে লেখাপড়া করছেন। রণজিত্ কুমার তাদের মধ্যে একজন। তারা কিভাবে চীনে জীবনযাপন ও লেখাপড়া করছেন তা জানতেই এখন শুনবো তাদের গল্প।
রণজিত্ কুমার ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে চীনে আছেন। চীনের বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবন সম্পর্কে তিনি বলেন,
'এখানকার জীবনযাপন অনেক সুবিধাজনক। বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের ভালো হোস্টেল ও ক্লাসরুম দিয়েছে, শিক্ষকরাও চমত্কার। তারা ইংরেজি ভাষায় আমাদের পড়ান, যা আমার জন্য একটু সহজ। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা অতি বন্ধুত্বপূর্ণ। তারা জানেন এখানে আমাদের জীবনযাপনে কিছু অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়, তাই তারা আন্তরিকভাবে আমাদের সাহায্য দেন। এখানে আসলে বাড়িতে থাকার মতোই পরিবেশ পেয়েছি।'
এখানকার জীবন নিয়ে রণজিত্ অনেক খুশি। তবে চিনচৌতে যখন তিনি প্রথম আসেন, তখন নতুন পরিবেশে জীবনযাপনের পদ্ধতি তার কাছে একটু কঠিন মনে হয়েছিলো। রণজিত্ বলেন,
'চিনচৌ চীনের উত্তরপূর্বাঞ্চলে অবস্থিত, এখানকার আবহাওয়া অনেক ঠাণ্ডা। বিশেষ করে শীতকালে এখানে কখনো কখনো তাপমাত্রা থাকে মাইনাস ২০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। আমার জন্মস্থান গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এলাকায়, তাই এখানকার এই তাপমাত্রা আমার জন্য একটু কষ্টকর ছিলো। তা ছাড়া, চীনা খাবার ও ভারতীয় খাবারের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে, যার সঙ্গে অভ্যস্ত হতে আমার একটু সময় লাগে।'
আসলে পরিবেশ ও খাবার রণজিতের সবচেয়ে কঠিন সমস্যা নয়। নিজের জন্মস্থান ও বন্ধুদের ফেলে এসে নতুন পরিবেশে একা একা জীবনযাপন করাটাই ছিলো তার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। রণজিত্ বলেন,
'চিনচৌতে আসার পর প্রতিদিন ক্লাস, ক্যান্টিন ও হোস্টেল-এ তিনটি জায়গাতেই আমার জীবন আবদ্ধ ছিলো, যা ছিলো খুবই কষ্টকর। তবে পরে আরো অনেক ভারতীয় শিক্ষার্থী এখানে লেখাপড়া করতে আসেন। তখন আমি অনেক বন্ধু পাই এবং জীবন হয়ে ওঠে অনেক মজার।'
চিনচৌ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ভারতে দিন দিন বাড়ছে, ফলে আরো বেশি শিক্ষার্থী এখানে মেডিকেল বিষয়ে লেখাপড়া করতে আসছেন। বর্তমানে প্রায় ৪০০ জন ভারতীয় শিক্ষার্থী এখানে লেখাপড়া করছেন, তাদের মধ্যে শতাধিক শিক্ষার্থী রণজিতের জন্মস্থান তামিলনাড়ু থেকে এসেছেন। রণজিত্ বলেন,
'জন্মস্থান থেকে অনেক বন্ধু আসায় আমি অনেক আনন্দিত। এখন আমি খুব সহজভাবে ছুটির সময়গুলো কাটাতে পারি। আমরা একসাথে গান গাই, ক্রিকেট খেলি, খুবই ভালো লাগে।'
রণজিত্ আরো বলেন, চলতি বছর চিনচৌতে তার চতুর্থ বছরের জীবন শুরু হয়েছে। বিগত বছরগুলোতে শুধু জন্মস্থানের বন্ধুদের সাথে মজার সময় কাটানো ছাড়াও তিনি অনেক চীনার সাথে ভালো সম্পর্ক তৈরি করেছেন। তিনি বলেন,
(রে ৫)
'আমার চীনা সহপাঠীরা খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ। আমি খুব সহজভাবেই তাদের সাথে মিশতে পারি। আমরা তাদের ক্রিকেট খেলা শেখাই এবং তারা আমাদের টেবিল টেনিস (পিংপং) খেলা শেখায়। তারা আমাদের সুস্বাদু চীনা খাবারের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়, আমি এখন চীনা খাবার পছন্দ করি।'
সুপ্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, গল্প শুনতে শুনতে শেষ হয়ে এলো আমাদের আজকের অনুষ্ঠান। আশা করি আমাদের এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আপনারা বিদেশি শিক্ষার্থীদের চীনে জীবনযাপন নিয়ে আরো বেশি তথ্য জানতে পারবেন।
প্রিয় শ্রোতা, এ অনুষ্ঠান সম্পর্কে কোনো মতামত থাকলে আমাদের কাছে চিঠি লিখবেন। আমাদের যোগাযোগ ঠিকানা ben@cri.com.cn,caoyanhua@cri.com.cn।
বন্ধুরা, রেডিও'র মাধ্যমে আমাদের অনুষ্ঠান শুনতে না পারলে বা শুনতে মিস করলে বাংলা বিভাগের ওয়েবসাইটে শুনতে পারবেন। আমাদের ওয়েবসাইটের ঠিকানা www.bengali.cri.cn।
তাহলে এবার বিদায় নিচ্ছি। আগামী সপ্তাহে একই দিনে একই সময় আবারো কথা হবে। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। চাই চিয়ান। (সুবর্ণা/টুটুল/ইউ)