0520china
|
'বাদ্যযন্ত্র, দাবা, হস্তলিপিশিল্প ও চিত্রকর্ম হলো চীনের সাহিত্যিকদের শরীর ও মানসিক শক্তি বিকাশের চারটি গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ। এর মধ্যে বাদ্যযন্ত্র সবচে গুরুত্বপূর্ণ। প্রাচীনকালে লোকেরা বাদ্যযন্ত্রের মাধ্যমে নতুন বন্ধু খুঁজে পেত। কোনো সুরকারের সুরকে কেউ পছন্দ করলে তাকে বলা হয় 'সুর অনুধাবনকারী' বন্ধু। অর্থাত্ খুব আন্তরিক ও ঘনিষ্ঠ বন্ধু। প্রাচীনকালে বলিদান ও বিভিন্ন উত্সব 'কু ছিন' বাজানো হত। তারপর সাধারণ মানুষের মধ্যে এটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ১৯৭৭ সালে চীনের 'কু ছিনে'র বাজানো সঙ্গীত ভয়েজার ১ ও ২ নভোযানের মাধ্যমে মহাকাশ থেকে সম্প্রচার করা হয়।
কু ছিনের আওয়াজ স্পষ্ট, রুচিশীল ও মার্জিত। যন্ত্রসঙ্গীত শেষ হলেও তার রেশ যেনো রয়ে যায়। ইতিহাসে আছে, হান এ নামের এক মেয়ে অর্থাভাবে গ্রাম থেকে শহরে এসেছিল। কিন্তু কোনো কাজ না পেয়ে সে শহরের মূল গেটে বসে কু ছিন বাজানো শুরু করে। হানের বাজানো বাদ্যযন্ত্রের সুর শুনে মানুষের মন আচ্ছন্ন হয়ে যায়। এ সুর তাদের মনে গভীর ছাপ ফেলে। এভাবে কয়েকদিন পার হয়ে গেলেও মানুষের মনে হানের বাজানো সুর বাজতে থাকে।
তারা তখন বলা শুরু করে যে, হানের হাতে কু ছিনের সুমধুর সুর যেনো মানুষের মনে বাজতেই থাকে দীর্ঘ সময় ধরে।