0311china
|
প্রায় ১০০০ বছর আগে, চীনের এক রাজা অমরত্বের ওষুধ তৈরির জন্য তার অনুসারীদের নির্দেশ দেন। তখন এক দল তাওবাদী যাজক অমরত্ব লাভের ওষুধ নিয়ে গবেষণা শুরু করে। তবে, যাজকদল অমরত্বের ওষুধ আবিষ্কার করতে ব্যর্থ হলেও সে সময় তারা অনেক রাসায়নিক জ্ঞান অর্জন করে। ওষুধ তৈরির সময় তারা আবিষ্কার করেন যে, নাইট্রোজেন, সালফার ও কাঠকয়লা এ তিনটা জিনিস মিশিয়ে সহজেই বিস্ফোরক দ্রব্য তৈরি করা যায়। প্রাচীনকালে নাইট্রোজেন ও সালফার মিশিয়ে আগুণ এবং বিস্ফোরণ ঘটানো যেত বলে তত্কালীন মানুষ এ মিশ্রণকে হুও ইয়াও নাম দিয়েছিল। পরে বারুদ আতশবাজি, গোলাবারুদ তৈরি এবং বিস্ফোরণসহ শিল্পক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে ব্যবহার হতে থাকে।
বর্তমানে আমদের দৈনন্দিন জীবনেও বারুদের বহুল ব্যবহার রয়েছে। চীনের বসন্ত উত্সব, বিয়ের অনুষ্ঠান ও বিভিন্ন সময় পটকা-বাজি ফোটানো বা আতশবাজির বিশাল আয়োজনে বারুদের ব্যাপক ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন সময় অনুষ্ঠিত অলিম্পিক গেমস, এশিয়ান গেমসের মতো আয়োজনের উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠানে আতশবাজি পোড়ানো হয়। পেইচিং অলিম্পিক গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পোড়ানো আতশবাজির পরিমাণ এর আগেরসব অলিম্পিক গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পোড়ানো আতশবাজির পরিমাণের তুলনায় ৩.৮ গুণ বেশি।
বারুদ খুব সহজের আগুন ধরিয়ে দেয় বলে যখন কোনো মানুষ তার রাগ বা ক্ষোভের কথা প্রকাশ করে তখন আমরা বলে থাকি, তার কথা বারুদের মতো।