v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-07-28 19:03:17    
কাতারের অলিম্পিক প্রতিনিধি দলের নেতা খালিল আল-জাবিরের সাক্ষাত্কার

cri
  বর্তমান বিশ্বের সকল শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড় পেইচিং অলিম্পিক গেমসে অংশ নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। পেইচিং অলিম্পিক গেমসে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দেশ ও অঞ্চলের প্রতিনিধিরা অলিম্পিক গেমসের অপরিহার্য সদস্য। সম্প্রতি আমাদের বেতারের সংবাদদাতা কাতার অলিম্পিক প্রতিনিধি দলের নেতা খালিল আল-জাবিরের কাছে সাক্ষাত্কার নিয়েছেন।

    সাক্ষাত্কারে খালিল বলেন, এবার তাঁর নেতৃত্বে কাতারের শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড়রা পেইচিং অলিম্পিক গেমসে অংশ নিতে যাচ্ছেন বলে তিনি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করেন। কাতার প্রতিনিধি দল পেইচিং অলিম্পিক গেমসকে সর্বাত্মক সমর্থন করবে। তিনি বলেন,

    আরো দিন দশেক পর আমরা পেইচিং অলিম্পিক গেমসে অংশ নেবো। আমরা জানি, আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির ২০৫টি সদস্য এবারের মহাসম্মিলনীতে অংশ নেবে। আমি চীন এবং পেইচিংকে আমার শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। পেইচিং অলিম্পিক গেমসের সাফল্য কামনা করি। আমরা বিশ্বাস করি, চীনা জনগণের সমর্থনে পেইচিং অলিম্পিক গেমস ইতিহাসের সমচেয়ে চকত্কার অলিম্পিক হবে। আমরা কাতার প্রতিনিধি দল চীনা জনগণকে সমর্থন করবো।

    খালিল তাঁর সাক্ষাত্কারে অলিম্পিক গেমসে কাতার প্রতিনিধি দলের অংশগ্রহণের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত জানান। তিনি বলেন, কাতার বরাবরই খেলাধূলার ওপর গুরুত্ব দিয়ে আসছে এবং ২০০৬ সালের দোহা এশিয়া গেমসে ভালো ফলাফল করেছে। কিন্তু চীনসহ শক্তিশালী ক্রীড়া দেশগুলোর পর্যায়ে পৌঁচতে হলে কাতারের অনেক কিছু করার আছে। আরো ব্যাপকভাবে অলিম্পিক গেমসে অংশগ্রহণ হচ্ছে কাতারের ক্রীড়া কর্মকর্তাদের লক্ষ্য।

    এবারের পেইচিং অলিম্পিক গেমসে কাতারের ১৯ জন খেলোয়াড় নিতে যাচ্ছেন। তাঁরা সাঁতার, দৌঁড়, জাম্পিং, শ্যুটিং, টাইকোন্ডো, ভারোত্তলন ও ফেন্সিংসহ বিভিন্ন ইভেন্টে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। ১৯ জন খেলোয়াড়ের মধ্যে অধিকাংশই হচ্ছেন দৌঁড় ও জাম্পিং অ্যাথলেট। দৌঁড় ও জাম্পিং ক্ষেত্রে কাতারের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার শক্তি রয়েছে। আশা করি, তাঁরা ভালো ফলাফল করবেন। তা ছাড়া, পেইচিং অলিম্পিক গেমসে কাতার প্রথম বারের মতো টাইকোন্ডো ও ফেন্সিং ইভেন্টে অংশ নেবে। আশা করি, এসব খেলোয়াড় বড় প্রতিযোগিতা থেকে অভিজ্ঞতা গ্রহণ করতে পারবেন।

    খেলোয়াড়দের প্রস্তুতি কাজ সম্পর্কে খালিল বলেন, ভাল ফলাফল অর্জনের জন্য কাতার অনেক অর্থ ব্যয়ে রুদ্ধদ্বার প্রশিক্ষণের জন্য খেলোয়াড়দেরকে বিদেশে পাঠিয়েছে। তিনি বলেন,

    কয়েক মাস আগে রুদ্ধদ্বার প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্য আমাদের খেলোয়াড়দের বিভিন্ন গ্রুপে রুমানিয়াসহ বিভিন্ন ইউরোপীয় দেশে এবং মালয়েশিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়াসহ এশীয় দেশগুলোতে পাঠানো হয়েছে। যেমন আমরা ম্যারাথন খেলোয়াড়দেরকে পার্বত্য এলাকায় পাঠিয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি। তা ছাড়া, যেসব জায়গার আবহাওয়া পেইচিং-এর মতো আমরা খেলোয়াড়দেরকে সেখানে পাঠিয়েছি, যাতে তারা পেইচিংয়ের আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারে।

    ১০ সহস্রাধিক বর্গ কিলোমিটার আয়তন এবং ২ লাখ জনসংখ্যার একটি ছোট দেশ হিসেবে কাতার ইতোমধ্যেই অলিম্পিক মঞ্চে ভালো ফলাফল অর্জন করেছে। বার্সেলোনা ও সিডনিতে কাতারের খেলোয়াড়রা পদক মিতেছিলেন। খালিল বলেন, এবারের পেইচিং অলিম্পিক গেমসে কাতার আরো বেশি পদক পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন,

    শ্যুটার নাসির আল-আতিয়া আমাদের একজন শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড়। ২০০০ সালে তিনি সিডনিতে পঞ্চম স্থান এবং ২০০৪ সালে এথেন্সে চতুর্থ স্থানে ছিলেন। আমি মনে করি, পেইচিং তাঁকে সৌভাগ্য এনে দেবে। এবার তাঁর পদক পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। তা ছাড়া, দৌঁড় এবং জাম্পিং ক্ষেত্রে আমরা অনেক চেষ্টা চালিয়েছি। এ ক্ষেত্রে একটি হলেও পদক পাওয়া আমাদের লক্ষ্য।

    সাক্ষাত্কার শেষে খালিল আমাদের সাংবাদিককে বলেন, কয়েক মাস আগে তিনি পেইচিং অলিম্পিক গেমসের সাংগঠনিক কমিটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের জন্য পেইচিংয়ে এসেছিলেন। এই কমিটির আমন্ত্রণে তিনি অলিম্পিক ভেণ্যু পরিদর্শন করেছেন। পরিদর্শনের পর তিনি খুব উদ্দীপ্ত হয়েছেন। তিনি বলেন,

    আমি সব অলিম্পিক ভেণ্যু পরিদর্শন করেছি। খুব ভাল। প্রধান ভেণ্যু বার্ডনেস্ট খুব সুন্দর। আমি প্রথম বারের মতো এ ধরণের ডিজাইন দেখলাম। এটি ৯১ হাজার দর্শক ধারণ করতে সক্ষম। ১৭ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতাসম্পন্ন ওয়াটার কিউবিক বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন। এ ধরণের ভেণ্যুতে প্রতিযোগিতা করে খেলোয়াড়রা গর্বিত বোধ করবেন।

    খালিল আরো বলেন, ২৮ জুলাই কাতার প্রতিনিধি দল পেইচিং অলিম্পিক গ্রামে পৌঁছবে এবং অলিম্পিক যাত্রা শুরু করবে। তিনি সেদিনের প্রতীক্ষায় রয়েছেন। (লিলি)