v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-07-18 20:49:53    
পেইচিং অলিম্পিকে ভারতের খেলোয়াড়দের ভাল ফলাফলের আশায় ভারতীয় কর্মকর্তারা

cri
    ভারতের অলিম্পিক কমিটি সম্প্রতি জানিয়েছে, ৪০জন ভারতীয় ক্রীড়াবিদ পেইচিং অলিম্পিক গেমসে অংশ নেবেন। তারা আর্চারি, ট্র্যাক এন্ড ফিল্ড, ব্যাডমিন্টন, জুডো, শ্যুটিং, বোটবাইচ, সাঁতার, টেনিস এবং কুস্তি ইভেন্টে প্রতিযোগিতা করবেন। স্বর্ণ পদক পাওয়ার সম্ভাবনা খুব কম হলেও ভারতের কর্মকর্তারা দেশের ক্রীড়াবিদদের ভাল পারফরম্যান্সের ব্যাপারে আশাবাদী।

    অবকাঠামোর অভাবে ভারতে ভাল ক্রীড়া প্রশিক্ষণের জায়গা বেশ অভাব। অলিম্পিক চেতনার ওপরে যথেষ্ট গুরুত্ব না দেওয়ায় বিশ্বের দ্বিতীয় স্থানে সর্বোচ্চ জনসংখ্যার দেশ ভারতের ক্রীড়া ক্ষেত্রে তেমন উল্লেখযোগ্য সাফল্য নেই। ১৯২৮ সালে প্রথম বারের মতো অলিম্পিক গেমসে অংশ নেয়ার পর থেকে ভারতের ক্রীড়াবিদরা শুধু কুস্তি, টেনিস এবং ভারোত্তলনে মোট ৫টি পদক পেয়েছে। শ্যুটার রাজ্যবর্ধন রাঠোর ২০০৪ সালে এথেন্স অলিম্পিক গেমসে প্রথম রৌপ্য পদক পান।

    আগে ভারতের হকি দলের রেকর্ড খুব ভাল ছিল। কিন্তু গত মার্চ মাসে বাছাই পর্বের খেলায় ০-২ গোলে ব্রিটেনের সঙ্গে হেরে যাওয়ার পর ভারতের হকি দল অলিম্পিক অংশগ্রহণ থেকে ছিটকে পড়ে। এটি ভারতীয় জনগনের জন্য একটি বড় শোকের ঘটনা ছিল। তা সত্ত্বেও ভারতের ক্রীড়া কর্মকর্তারা তাদের ক্রীড়াবিদদের ওপরে আশাবাদী। তাদের এবারের অলিম্পিকের ফলাফল ক্রীড়া শক্তির দেশ হিসেবে ভারতের ভবিষ্যত্ উন্নয়নের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

    ভারতের ক্রীড়া বিভাগের কর্মকর্তা জানান, যদিও সোনার পদক পাওয়ার সম্ভাবনা খুব কম, তারপরও এবারের পেইচিং অলিম্পিক গেমসে ভারতের পদক জেতার সম্ভাবনা আগের চেয়ে অনেক বেশি । জানা গেছে, শ্যুটিং ইভেন্টে ভারতের পদক পাওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। এবারে পেইচিংয়ে আসা ভারতীয় শ্যুটারের সংখ্যা ৯ জন। এর মধ্যে রয়েছেন ২০০৪ সালে ভারতের জন্য একমাত্র রৌপ্য পদক পাওয়া রাঠোরে। যদিও এখন অধিকাংশ খেলোয়াড়ের অবস্থা তেমন ভাল নয়, কিন্তু তারা স্বাভাবিক মান অনুযায়ী পারফরম করলে এয়ার রাইফল এবং এয়ার পিস্তল ইভেন্টে ভারতের পদক পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।

    তাছাড়া বক্সিং, টেনিস এবং আর্চারি ইভেন্টেও ভারতের খেলোয়াড়রা ক্রীড়াবিদ ভাল ফলাফল করতে পারেন। জানা গেছে, এবারের বক্সিং ইভেন্টে ভারতের ৫জন বক্সার অংশ নেবেন। এর মধ্যে ৭৫কেজি মুষ্টিযুদ্ধ ইভেন্টে ভিগেন্দ্র সিং চলতি বছরের প্রেসিডেন্ট কাপে আগের অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন কাজাখস্তানের এতায়েভকে হারিয়ে দেন। ভারতের ৫৪কেজি মুষ্টিযুদ্ধে অখিল কুমার চলতি বছরের একটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অলিম্পিকের একজন রৌপ্য পদক জয়ীকে হারিয়েছেন। ভারতের ক্রীড়াবিদ দোলা ব্যানাজি গত বছরের বিশ্ব কাপে নারীদের একক আর্চারিতে চ্যাম্পিয়ন হন। এ সব কারণে ভারত এবারের অলিম্পিকে পদক পাওয়া নিয়ে খুব আশাবাদী।

    টেনিস খেলোয়াড় লিন্দ্রা পেইস এবং পুপাটি টেনিসের ডাবলসে কেমন খেলবে তা নিয়ে ভারতীয়রা খুব চিন্তিত। আসলে এই দুজন ছিলেন ভারতীয় টেনিসের সবচেয়ে ভাল পার্টনার। তারা ভারতের পক্ষে সেরা রেকর্ড করেছেন, কিন্তু ২০০৪ সালে পদক পাওয়ার সুযোগ হারিয়ে ফেলার পর দু'জনই অনেক সময় ধরে একসাথে সহযোগিতা বা অনুশীলন করেননি। দু'জনেই এবারের অলিম্পিক নিয়ে খুব আত্মবিশ্বাসী হলেও চ্যাম্পিয়ন হবে কিনা তা বলা কঠিন। তারা এথেন্সের অভিজ্ঞতা পেছনে ফেলে নতুন লক্ষ্য পূরণে সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে পারবেন কি না তা বোঝা যাবে অলিম্পিকের মাঠেই।

    এ ছাড়া ভারত অন্য ইভেন্টে পদক পাওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই। তারপরও ভারতের ক্রীড়াবিদরা খুব সক্রিয়ভাবে অলিম্পিকে অংশ নিচ্ছেন। ভারতের ক্রীড়া কর্মকর্তা জানান, এবারের পেইচিং অলিম্পিক গেমসে ভারতের ক্রীড়াবিদরা আকস্মিক রেকর্ড করে ফেলবে এমন আশা নেই। বরং এবারের আর্ন্তজাতিক ইভেন্টে তারা অভিজ্ঞতা অর্জন করবেন এবং নিজের নির্ধারিত লক্ষ্যে কিছু সাফল্য পাবে এটাই তাদের আশা। ভারত বর্তমান ক্রীড়া উন্নয়নে গুরুত্ব দিচ্ছে।২০১৬ সালে ক্রীড়া শক্তির দেশ হিসেবে ভারতএর উত্থান ঘটবে বলেও আশা করা হচ্ছে।

    এ নিয়ে ভারতের অলিম্পিক কমিটির মহাসচিব লেন্ড সিং বলেন, চলতি বছরের পেইচিং অলিম্পিক গেমসে ভারতের খেলোয়াড়দের পদক পাওয়ার সম্ভাবনা আগের চেয়ে বেশি থাকবে। কারণ এখন ভারতের একক প্রতিযোগিতায় ক্রীড়াবিদদের সামর্থ্যের সার্বিক ও গভীর উন্নতি হচ্ছে। ভারতের লক্ষ্য হল কাজাখস্তান ও থাইল্যান্ডকে পরাজিত করে চীন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার পর এশিয়া অঞ্চলের চতুর্থ ক্রীড়া শক্তির দেশে পরিণত হওয়া। (ইয়াং ওয়েই মিং)