শ্রীলংকার রাষ্ট্রদূত করুনাতিলকা আমুনুগামার কাছে খেলা খুব প্রিয়। তার নিজের জীবনের অঙ্গে খেলা মিলে মিশে আছে। এবার অলিম্পিক গেমস পেইচিংয়ে অনুষ্ঠিত হবে। তিনি পেইচিংয়ে থাকেন খুবই মর্যাদার সঙ্গে। আজকের অনুষ্ঠানে আমুনুগামার প্রাণের অলিম্পিক এবং পেইচিং অলিম্পিক সম্পর্কে তার প্রত্যাশা সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন শুনবেন।
আমুনুগামা বেশ লম্বা মানুষ এবং দেখতেও তরুন, তাকে দেখলে বয়স ৩০ বছরের মতো মনে হয়। তার সঙ্গে সংবাদদাতার আলোচনা থেকে আমরা জানতে পেরেছি যে আমুনুগামা এর আগে অনেক দেশে দূতাবাসের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি থাইল্যান্ড এবং জাপানেও রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেছেন। আসলে আমুনুগামার বয়স এখন ৫০ বছর। তার সবল শরীর, দীর্ঘকাল ধরে ক্রীড়া চর্চারই ফসল।তিনি বলেন:" লেখাপড়ার সময় আমি ক্রীড়ায় অংশগ্রহণ করতে পছন্দ করতাম। আমার বেশি প্রিয় হচ্ছে বাস্কেটবল, ক্রিকেট এবং সাঁতার । ক্রীড়া চর্চা করতে গেলে অনেক বাধাবিধ্ন আসে, সেটা নিজেকেই অতিক্রম করার চেষ্টা করতে হয়। এতে নিজের দক্ষতাও বাড়ে। ক্রীড়া চর্চার অভিজ্ঞতা থেকে আমার বেশ লাভ হয়েছে ।"
এবারের পেইচিং অলিম্পিক গেমস নিয়ে আমুনুগামার প্রত্যাশা অনেক। তিনি বলেন, চীন এশিয়া এবং প্রাচীণ সভ্যতার প্রতীক। এবারের ক্রীড়া মহা সম্মিলনী আয়োজনের ঘটনার সকল এশীয় জনগণের জন্যও একটি মর্যাদা ও অহংকারের বিষয়। তিনি বলেন:" এশিয়া হচ্ছে বিশ্বে অর্থনীতির দ্রুত উন্নয়নশীল এলাকাগুলোর মধ্যে অন্যতম। চীনের অলিম্পিক গেমস আয়োজনের ক্ষমতার কারণে একজন এশীয় হিসেবে আমি আনন্দিত। একবার শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ পেইচিং অলিম্পিক গেমস এবং এশীয় জনগণের জন্য একটি সত্যিকার ক্রীড়া মহাসম্মিলনী আয়োজন করবে বলে আমি আশাবাদী ।"
পেইচিং অলিম্পিক গেমসের " এক বিশ্ব এক স্বপ্ন" শ্লোগান , মানবজাতির ঘনিষ্ঠভাবে ঐক্যবদ্ধ হওয়ায় গুরুত্বপূর্ণ অলিম্পিক চেতনারই প্রতিফলন । আমুনুগামা মনে করেন, ঐক্য, মৈত্রী, অংশগ্রহণ এবং স্বপ্ন অলিম্পিক চেতনার প্রতীক। বিদেশে পেইচিং অলিম্পিক গেমসের মশাল হস্তান্তরের সময় সংঘটিত অপ্রীতিকর ঘটনার ব্যাপারে তিনি তীব্র অসন্তোষ ব্যক্ত করেন এবং দুঃখ প্রকাশ করেন। অলিম্পিককে রাজনীতির সঙ্গে এক করে দেখাটা ক্রীড়ার জন্য কলঙ্কজনক এবং অলিম্পিক গেমসের জন্য একটি নোংরা ঘটনা। বিশেষ করে গত মে মাসের শুরুর দিকে অলিম্পিক গেমসের মশাল ছুমোলাংমা পর্বতে আরোহনের ইতিবাচক ঘটনার প্রশংসা করেন তিনি । তিনি বলেন:" ছুমোলাংমা পর্বতে মশাল পৌঁছানোর মধ্য দিয়ে অলিম্পিক গেমসের ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যয়ন উন্মোচিত হয়েছে । এটি মানজাতির সম্মিলিত উচ্চাকাঙ্ক্ষা।"
শ্রীলংকার ক্রিকেট খুব উচু মানের এবং বিশ্ব পর্যায়ের । বিশ্ব-কাপ ক্রিকেটেও শ্রীলংকা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে । চীন-শ্রীলংকা ক্রীড়া আদান-প্রদান ও সহযোগিতা এগিয়ে নেয়ার জন্য গত ২৬ ফেব্রুয়ারী দু'দেশের সরকারের মধ্যে ক্রীড়া সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। শ্রীলংকার ক্রিকেট খেলোয়াড় ও প্রশিক্ষক চীনে এসে আলোচনা করেন। চীনা খেলোয়াড় বা প্রশিক্ষকও শ্রীলংকায় গিয়ে ভাল অভিজ্ঞতা নিয়ে এসেছেন । দু'দেশের ক্রীড়া আদান-প্রদানের ব্যাপারে আমুনুগামা বেশি আশাবাদী। তিনি বলেন:" ২০০৭ সাল হচ্ছে চীন-শ্রীলংকা কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী। এটি ছিল মৈত্রী বর্ষ। প্রাচীনকাল থেকে চীন ও শ্রীলংকার মধ্যে খুব ভালো কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। দু'দেশের আদানপ্রদানের একটি অংশ হিসেবে ক্রীড়ার একটি অপরিহার্য ভূমিকা রয়েছে।"
1 2
|