চীনের জাতীয় সম্মেলন কেন্দ্র অলিম্পিক পার্কের ভেতরে অবস্থিত। এর আয়তন ১২ হেক্টর। পেইচিং অলিম্পিকের ফেন্সিং ইভেন্টই এখানেই অনুষ্ঠিত হবে।
জাতীয় সম্মেলন কেন্দ্রই একটি প্রধান ভবন, দুটি হোটেল এবং দুটি অফিস ভবন নিয়ে গঠিত। এর মোট নির্মাণ আয়তন ৫.৩৪ লাখ বর্গ মিটার, অলিম্পিক স্টেডিয়ামগুলোর মধ্যে এটি সবচেয়ে বড়।
বতর্মানে জাতীয় সম্মেলন কেন্দ্রটিকে দুই ভাগে বিভক্ত। দক্ষিণ দিকে ফেন্সিং স্টেডিয়াম। এখানে ফেন্সিং এবং মর্ডান পেন্টাথলন দু'টি ইভেন্ট আয়োজন করা হবে। উত্তরাংশটি পেইচিং অলিম্পিক চলাকালে আন্তর্জাতিক সম্প্রচার কেন্দ্র, আই.বি.সিতে পরিণত হবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সংবাদিক এখান থেকেই তথ্য সেবা পাবেন। ৮ জুলাই আই.বি.সি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়েছে।
ফেন্সিং স্টেডিয়ামের নির্মাণ আয়তন ৫৬ হাজার বর্গ মিটার। এক তলা থেকে ৩ তলা পর্যন্ত ফেন্সিং প্রশিক্ষণ এবং ওয়ার্ম-আপ করার জায়গা। ফেন্সিং প্রতিযোগিতা ৪ তলায় অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে ৬ হাজার দর্শক একসাথে প্রতিযোগিতা দেখতে পারবেন। ফেন্সিংয়ের পর এখানে মর্ডান পেন্টাথলন ইভেন্টের ফেন্সিং এবং এয়ার পিস্তল প্রতিযোগিতা হবে।
উত্তরাংশের আন্তর্জাতিক সম্প্রচার কেন্দ্রের আয়তন ৪৭ হাজার বর্গ মিটার। অলিম্পিক চলাকালে ১৬হাজার নিবন্ধিত টেলিভিশন এবং প্রচার সংবাদদাতারা এখানে তথ্য পরিসেবা পাবেন। তখন পেইচিং অলিম্পিকের সব খেলা ও প্রতিযোগিতার অডিও ও ভিডিও রেকর্ডিং এখান থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাঠানো যাবে।
জাতীয় সম্মেলন কেন্দ্রের ছাদের দুই পাশ চীনের ঐতিহ্যবাহী রাজপ্রাসাদের মতো আকাশের দিকে উঠে গেছে। ছাদের মধ্য অংশ চীনের খিলানাকৃতির সেতু'র মতো। এই ভবনের ডিজাইনাররা এর ডিজাইন নিয়ে খুব গর্বিত। তারা বলেন, জাতীয় সম্মেলন কেন্দ্রের ডিজাইনের উত্স চীনের ঐতিহ্যবাহী ভবনের ছাদ ও খিলান সেতু । এই ভবনটি সত্যিই সেতু'র মতো চীনের ইতিহাস, বর্তমান ও ভবিষ্যতকে জুড়ে দিয়েছে এবং চীন ও বিশ্বের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করেছে।
এই জাতীয় সম্মেলন কেন্দ্র অলিম্পিকের অস্থায়ী ভেন্যুতে রূপ নেওয়ায় ৪ তলার ফেন্সিং ভেন্যুটি গেমস শেষে একটি সম্মেলন মিলনায়তলনে পরিণত হবে। এখানে আধুনিক টেলিভিশন ব্যবস্থা থাকবে এবং আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র হয়ে উঠবে।
উল্লেখ্য, অলিম্পিক গেমস শেষে জাতীয় সম্মেলন কেন্দ্রের বাইরে মাটির ৭ মিটারে নিচে একটি ভূগর্ভস্থ বাগান তৈরি করা হবে। সবুজ গাছপালার কারণে বাগানের তাপমাত্রা ভূমি'র উপরের চেয়ে ৩ সেন্টিইগ্রেড কম থাকবে। তখন বাগানের ঠান্ডা বাতাস এবং সম্মেলন কেন্দ্রের বাতাস মিলে এসি'র মতো কাজ করবে। এই ডিজাইনের কারণে আর এসি লাগবে না বলে প্রতি বছরে ৩৮ কিলোওয়াট বিদ্যুত সাশ্রয় করা যাবে। তখন জাতীয় সম্মেলন কেন্দ্রকে সম্মেলন, প্রদর্শনী, হোটেল, বাণিজ্য এবং প্রমোদের একটি যৌথ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রে পরিণত হবে। (ইয়াং ওয়েই মিং)
|