v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-07-04 19:52:12    
শানসি প্রদেশের লোকসঙ্গীত রাজা-ওয়াং সিয়াং রোং

cri
    গত ২৫ বছরে তিনি শানসি ইয়ু লিনের গ্রাম থেকে মহা গণ ভবন পর্যন্ত গান গেয়েছেন। আগে ছিলেন একজন সাধারণ শিক্ষক। এখন সবাই তাকে লোকসঙ্গীতের রাজা বলে ডাকে। তিনি অলিম্পিক মশাল হস্তান্তরের সময় ইয়েন আন শহরের একজন মশাল বাহকও ছিলেন তার নাম ওয়াং সিয়াং রোং। আজকের অনুষ্ঠানে আমি ওয়াং সিয়াং রোংয়ের কথা আপনাদের জানাচ্ছি।

    "হাতে হাতে মশাল ধরে ৫ মহাদেশে হস্তান্তর করি আমরা। বিশ্বের মানুষ এক হয়ে শান্তি ও মৈত্রীর ভেতর দিয়ে আমরা হাতে হাত ধরি, অলিম্পিক চেতনা পৃথিবীর সবার কাছে জানিয়ে দেই…"

    ২ জুলাই শান সি প্রদেশের ইয়েন আনে অলিম্পিক মশাল হস্তান্তরের সময় ৫০ বছরেরও বেশি বয়সের লোকসঙ্গীত রাজা ওয়াং সিয়াং রোং ১৯৫তম মশাল বাহক হিসেবে অংশ নেন। মশালটি তিনি হাতে নিয়ে দৌড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে শানসি প্রদেশের আঞ্চলিক লোকসঙ্গীত "সিন থিয়েন ইয়ো" গাইতে শুরু করেন। তিনি বলেন, এই গানের মাধ্যমে তিনি নিজের অলিম্পিক শুভকামনা প্রকাশ করতে চান।

    "অলিম্পিক মশাল যাত্রার একটি অংশে আমি কিন্তু আমাদের শানসি প্রদেশের উত্তরাঞ্চলের ঐতিহ্যিক লোকসঙ্গীত 'সিন থিয়েন ইয়ো' গাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মশাল যাত্রা পূরণ করেছি। এই যাত্রার মাধ্যমে আমার দুটি লক্ষ্য পূরণ হয়ে গেছে। একটি হল অলিম্পিক চেতনা প্রচার করা, অর্থাত মৈত্রী, শান্তি, অগ্রগতি এবং ঐক্যের প্রতীক হিসেবে সবার অংশ নেয়া। দ্বিতীয় হল মশাল হস্তান্তরের মাধ্যমে আমি শানসি প্রদেশের লোকসঙ্গীতের বৈশিষ্ট তুলে ধরলাম। এতে আরো বেশি মানুষ আমাদের "সিন থিয়েন ইয়ো" জানবে। আমি চাই যে অলিম্পিক নিয়ে আমার শুভকামনা আমার প্রিয় লোকসঙ্গীতের মাধ্যমে প্রকাশিত হোক।"

    ২৫ বছর আগে শানসি প্রদেশের গ্রামের মঞ্চে ওয়াং সিয়াং রোং তার "সিন থিয়েন ইয়ো"র মাধ্যমে সবার কাছে পরিচিতি পান। ২৫ বছর পর আজ তিনি অলিম্পিক মশাল বাহক হিসেবে দাঁড়ালেন। তার গান এখনো সেই আগের মতোই আবেগে পরিপূর্ন।

    "আমরা শানসি'র মানুষ কষ্টের জীবন থেকে আনন্দ খুঁজে বের করি। মনের সুখ ও যন্ত্রণা ঢেলে দিয়ে গান গাই। এটিই শানসি অঞ্চলের লোকসঙ্গীতের মূল বিষয়। বিশ্বাস না করলে শোনেন…। আমাদের গানে মাটি'র গন্ধ লেগে থাকে। সঙ্গীতের মূল অংশটি ধরে রেখে তারপর যার যার ইচ্ছা মতো গাইতে পারে। এতে সঙ্গীতের বিশিষ্টতা হারিয়ে যায় না।"

    ছোটবেলায় ওয়াং সিয়াং রোং যখন বাবা'র সঙ্গে পাহাড়ে উঠে ভেড়া চরাতেন তখন থেকেই তিনি শানসি'র লোকসঙ্গীত, বিশেষ করে 'সিন থিয়েন ইয়ো'র সঙ্গে আর বিচ্ছেদ ঘটেনি। তিনি বলেন, লোকসঙ্গীতের কেন্দ্রীয় অংশটা কিন্তু মানুষের চিন্তাভাবনা। সময়ের চক্রে অনেক লোকসঙ্গীত হারিয়ে যায় । কিন্তু 'সিন থিয়েন ইয়ো' থেকে মানুষ যে আনন্দ পায় তা কোনো দিন হারিয়ে যাবে না।

    "যে কোনো কাজ ভালবাসা নিয়ে করলে ভাল ভাল হতে বাধ্য। সেই কাজ কিছু প্রতিদানও দেয়। টাকার কথা আমি বলছি না। যদি কেউ বলেন, ভাল গেয়েছেন, তাহলে আমি খুব সন্তুষ্ট । এটা কিন্তু টাকা দিয়ে কেনা যায় না।"

    অনেকেই ওয়াং সিয়াং রোংকে শানসি প্রদেশের লোকসঙ্গীত রাজা বলে ডাকে, কিন্তু তিনি নিজেকে শুধু লোকসঙ্গীতের একজন উত্তরাধিকারী হিসেবে মনে করেন। তার মতে 'সিন থিয়েন ইয়ো' ঐতিহ্যিক হলেও আগের মতোই থাকা উচিত নয়। নতুন কিছু এতে যোগ করা উচিত।

    "আসলে শানসি প্রদেশের লোকসঙ্গীতের পরিবর্তন হয়নি তা নয়। আগে পশু পালনকরা যে কি বিষয় গাইতে থাকে তা এখনকার নতুন প্রজন্মের মানুষদের কাছে অগ্রহণযোগ্য। তাই গানের বিষয়টি পরিবর্তন করা উচিত। নতুন প্রজন্মদের জীবন সম্পর্কে গান সাজালে তারা গ্রহণ করতে পারবে।"(ইয়াং ওয়েই মিং)