সম্প্রতি আমি চীনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুনশি ফয়েজ আহমেদের সাক্ষাত্কার নিয়েছি।তিনি খেলা খুব ভালোবাসেন।নিজ মুখেই তিনি বলেছেন, তিনি একজন ক্রীড়া অনুরাগী। বিভিন্ন ইভেন্টের খেলা দেখতে খুব পছন্দ করেন। কোনো কাজ না থাকলে সারা দিন তিনি টিভিতে খেলা দেখে কাটান।
খেলা যার এতো পছন্দ তিনি আবার আছেন খেলার শহর অর্থাত্২০০৮ এর অলিম্পক শহর পেইচিংয়ে। এ যেন সোনায় সোহাগা। এ নিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন: (রি ১)
তিনি সব বাঙালি বন্ধু'র মতো খেলা দেখার সময় খুব উপভোগ করেন এবং অনেক মজা পান। যখন অলিম্পিকের একটা খেলা চলে পরিবারের কেউ এক পক্ষকে সমর্থন করলে অন্যরা বিপক্ষে দাঁড়ায়। খেলা চলার সময় তারা যার যার সমর্থনের দলকে চিত্কার করে উত্সাহ দিতে থাকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যে দলই বিজয়ী হোক না কেন সবাই খুব খুশি। তিনি মনে করেন এটাই অলিম্পিকের জাদু, যা সবাইকে একাকার করে ফেলে। (রি ২)
রাষ্ট্রদূত বলেন, তিনি জাতীয় স্টেডিয়াম বার্ড নেস্টের ভেতরে এখোনো ঢোকেন নি। এদিক দিয়ে তার স্ত্রী অবশ্য একটু এগিয়ে,কারণ পেইচিং পৌর সরকারের উদ্যোগে তিনি এবং অন্য নারী রাষ্ট্রদূতরা "বার্ড নেস্ট" ঘুরে দেখার সুযোগ পেয়েছেন। তিনি মজা করে বলেন, জানি না আমরা পুরুষ রাষ্ট্রদূতরা এমন সুযোগ পাবো কিনা।
টেবিল টেনিস ও ব্যাডমিন্টন রাষ্ট্রদূতের সবচেয়ে প্রিয় দুটি খেলা। তিনি পেইচিং ভাষা ও সংস্কৃতি বিশ্ববিদ্যালয়ে চীনা ভাষা শেখার সময় প্রায়ই তার সহপাঠীদের সঙ্গে খেলতেন। তিনি বলেছেন, অনেক ছোটবেলা থেকেই তিনি টেবল টেনিস খেলতে শুরু করেন। (রি ৩)
টেবিল টেনিস আর ব্যাডমিন্টন ছাড়াও রাষ্ট্রদূত আরেকটি খুব প্রিয় খেলার কথা বলেছেন।সেটি হল ক্রিকেট। ক্রিকেট দক্ষিণ এশিয়া এবং ব্রিটিশ কমনওয়েলথ দেশগুলোতে খুব জনপ্রিয়। এ নিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন: (রি ৪)
ক্রিকেটের কথা বলতে গিয়ে রাষ্ট্রদূত বেশ কয়েকজন তার প্রিয় ক্রিকেট খেলোয়াড়ের নাম বলেছেন। এর মধ্যে অন্যতম মাশরাফি বিন মোর্তোজা এবং আশরাফুল হক।
রাষ্ট্রদূত ফয়েজ জানিয়েছেন, বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক ক্যাপ্টেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল এখন চীনে আছেন, তিনি চীনের ক্রিকেট দল গঠনে সাহায্য করছেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, তিনি বাংলাদেশ আর চীনের মধ্যে ক্রিকেট খেলা হবে এমন একটা দিনের অপেক্ষায় আছেন। নিশ্চয় সেটা খুব চমত্কার খেলা হবে।
বাংলাদেশের খেলোয়াড় ছাড়াও তিনি অনেক চীনা খেলোয়াড়কে পছন্দ করেন। তিনি বলেন: (রি ৫)
বাংলাদেশের ক্রীড়া শিল্প উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশের ক্রীড়ার মান তেমন উঁচু না হলেও আগের চেয়ে অনেক উন্নত হয়েছে। কিছু ইভেন্টে বাংলাদেশ খুব ভাল করছে। যেমন শুটিং আর দৌড়। যদিও বাংলাদেশ এখনও অলিম্পিকে কোনো পদক পায় নি। কিন্তু অলিম্পিকে অংশ নেয়া সবচেয়ে বড় কাজ বলে তিনি মনে করেন। তিনি বলেন: (রি ৬)
বিভিন্ন ক্রীড়া ইভেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সম্পর্কে রাষ্ট্রদূত ফয়েজ বলেন, ২০০৭ সালে শাংহাইয়ে অনুষ্ঠিত বিশেষ অলিম্পিক গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান তার মনে সবচেয়ে গভীর ছাপ ফেলেছে। সেই অনুষ্ঠানে প্রায় ১৭০টি দেশের প্রতিনিধি দল অংশ নিয়েছিল। বাংলাদেশ থেকেও একটি ৪০ জনের প্রতিনিধি দল এসেছিল এবং তারা খুব ভাল ফলাফল করেছিল। তিনি বলেছেন, এমন একটি বড় ধরনের অনুষ্ঠান এতো সুবিন্যস্ত এবং এতো চমত্কার হতে পারে আগে তিনি চিন্তাও করতে পারেননি। তিনি বলেন , তিনি মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন যে এবারের পেইচিং অলিম্পিক গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আরো ভাল হবে। চীনের ৫ হাজার বছরের সুদীর্ঘ ইতিহাস এবং সমৃদ্ধ সংস্কৃতি আছে। এর প্রতিফলন ঘটা উচিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। কোনো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান বাদ দওয়া উচিত নয়।তিনি বলেন:( রি ৭)
তিনি বলেন, অলিম্পিক চীনে অনুষ্ঠিত হবে এতে সবাই খুব খুশি এবং আনন্দিত। কারণ আমরা চীনকে আমাদের বড় ভাই মনে করি । যদি চীন সফলভাবে অলিম্পিক গেমস আয়োজন করতে পারে তাহলে তা শুধু চীনের গৌরব নয়, আমাদের সবারই গৌরব। রাষ্ট্রদূতের একটি বড় আশা হচ্ছে ভ্রাতৃত্ব বোধ বিশ্বের দেশে দেশে ছড়িয়ে পড়বে। তিনি বলেন: (রি ৮)
চীনে দুই বছর চীনা ভাষা শিখেছেন রাষ্ট্রদূত ফয়েজ আহমেদ অবশেষে তিনি চীনা ভাষায় অলিম্পিক গেমসকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। (রি ৯)
"২০০৮ অলিম্পিক গেমস সফল হোক। সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাবেন। অনেক ধন্যবাদ।" (ইয়াং ওয়েই মিং)
|