v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-06-30 15:07:09    
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী পদক-বিজয়ী চেং সিয়াও সুয়েই

cri

  পেইচিং অলিম্পিক গেমসের মশাল ১৫ জুন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কেন্দ্র-শাসিত মহানগর ছোংছিংয়ের ওয়ান চৌ জেলায় হস্তান্তর হয়েছে। ওয়ান চৌ জেলার ১৪৬ তম মশাল-বাহক চেং সিয়াও সুয়েই খুব লাজ্জক ধরণের মানুষ। আপনি হয়তো জানেন না যে, তিনি একজন বিশেষ পুলিশ। নিজের সাহস ও কৃতিত্বের জন্য দু'বার তিনি জাতি সংঘ শান্তিরক্ষী পদক পেয়েছেন। তিনি একজন শান্তিরক্ষী বীর।

    ২০০৪ সালের অক্টোবর মাসে ১০০ চীনা পুলিশ সদস্যকে নিয়ে গঠিত চীনের প্রথম শান্তিরক্ষী পুলিশের বিস্ফোরক প্রতিরোধ দলটি হাইতিতে গিয়ে শান্তিরক্ষার দায়িত্ব পালন করে। ওয়াং চৌ থেকে আসা চেং সিয়াও সুয়েই সেই দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। হাইতিতে পৌঁছানোর পর চেং সিয়াও সুয়েই এবং তাঁর দলের সদস্যরা আবিষ্কার করেন যে, বাস্তব অবস্থা তাঁদের কল্পনার চেয়েও খারাপ। তাঁরা আস্তে আস্তে উচ্চ তাপমাত্রা, গরম আবহাওয়া এবং কঠিন পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর চেষ্টা করতে থাকেন। কিন্তু পাহারা দেওয়ার সময় যে কোনো দিক থেকে ধেয়ে আসা গুলি এবং সম্ভাব্য যুদ্ধের কারণে প্রতিরোধ দলের সকল সদস্য দীর্ঘ সময় ধরে বিপদের মধ্যে ছিলেন। হাইতিতে শান্তি-রক্ষার কাজের কথা স্মরণ করে এখনো তার চোখে মুখে উদ্বেগ ফুটে ওঠে। তিনি বলেন,

    দায়িত্ব পালনের সময় প্রতিপক্ষ রাইফেল থেকে আমাদের দিকে বার বার গুলি ছুঁড়ছিল। তখন আমরা সাধারণ জীপের ভেতরে ছিলাম এবং এ ধরণের গাড়ি কোন গুলি প্রতিরোধ করতে পারে না। সোভাগ্যের বিষয় হলো, আমাদের গায়ে গুলি লাগে নি। কিন্তু ফিলিপাইনের পুলিশ একই কর্তব্য পালনের সময় আকস্মিক গুলিতে নিহত হন।

    এখন দু'বছর সময় কেটে গেছে। ওই শান্তিরক্ষা কাজের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে তিনি আরো বলেন,

    যা আমার মনে সবচেয়ে গভীর ছাপ ফেলেছিলো, তা হলো আমাদের সবার ঐক্য। যদিও আমরা চীনের বিভিন্ন জায়গা থেকে এসেছি, তবুও আমরা শুধুমাত্র নিজেদের এবং নিজেদের শহর বা অঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব করেছি, তাই নয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিলো, আমরা চীনের প্রতিনিধিত্ব করছিলাম। কারণ বিদেশে কেউ আমাদের নাম বলেনা। তাঁরা শুধু "চায়না" ডাকেন। তখন থেকেই চীনের সঙ্গে আমাদের জীবন আরো একাত্ম হয়ে গেছে।

    ২০০৬ সালে সুষ্ঠুভাবে শান্তিরক্ষী কর্তব্য শেষ করার পর চেন সিয়াও সুয়েই চীনে ফিরে তাঁর পুলিশের পেশা অব্যাহত রেখেছেন। নিজের দু'বছর শান্তিরক্ষার অভিজ্ঞতার সারসংকলন করার সময় তিনি বলেন,

    তখন জাতিসংঘের পর্যালোচনা অনুযায়ী হাইতিতে শান্তিরক্ষীর দায়িত্ব পালনে বিপদের মাত্রা ছিলো দুই নম্বরে। শীর্ষে ছিল ইরাক। জাতিসংঘ এবং স্থানীয় মানুষ চীনা পুলিশের খুব প্রশংসা করেছিল। এক কথায় বলা যায়, আমরা চীনের মুখ কলংকিত করি নি।

 

    সহিংসতাপূর্ণ হাইতি থেকে শান্তিপূর্ণ জন্মভূমিতে ফিরে আসার পর চেন সিয়াও সুয়েই-এর মনে অন্য ধরণের অনুভূতি আসে। তিনি বলেন, নিজের জন্মভূমিতে অলিম্পিক গেমসের মশাল হস্তান্তর হচ্ছে তাঁর দ্বিতীয় বারের মতো চীনের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ। এটিও তাঁর আরেকটি পবিত্র দায়িত্ব। তিনি বলেন,

    বিদেশে যাওয়ার পর আপনি গভীরভাবে অনুভব করবেন যে, শক্তিশালী মাতৃভূমি কত গুরুত্বপূর্ণ। এবার আমি মশাল হস্তান্তরে অংশ নিয়ে খুব গর্বিত বোধ করেছি। (লিলি)