v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-06-11 19:27:11    
 মেকসিকো অলিম্পিক গেমস

cri
    ১৯৬৮ সালে ১৯তম অলিম্পিক গেমস সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ২২৪০ মিটার উঁচু মেকসিকোর রাজধানী মেকসিকো সিটিতে আয়োজিত হয়। এ অলিম্পিক গেমসে বেশ কয়েকটি বিশ্ব রেকর্ড ভঙ্গ করা হয় । এর পাশাপাশি অলিম্পিক ইতিহাসের অনেক "প্রথম বার" এই অলিম্পিক গেমসেই সৃস্টি হয়। এখন শুনুন মেকসিকো থেকে চীন আন্তর্জাতিক বেতারে পাঠানো একটি প্রতিবেদন ।

    ৪০ বছর আগে, লাতিন একটি দেশ মেকসিকোতে প্রথম বারের মতো অলিম্পিক গেমসের আয়োজন করা হয়। সুতরাং, মেকসিকো সরকার এই অলিম্পিক গেমসের ওপর অত্যন্ত গুরুত্ব আরোপ করে। অলিম্পিক ভ্যেনুগুলোর নির্মাণে মেকসিকো সরকার মোট ১৭ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয় করে। মেকসিকোর বতর্মান অলিম্পিক কমিটির চেয়ারম্যান ফেলিপে মুনোজ কাপামাস স্মরণ করে বলেন, যখন একটি দেশ অলিম্পিক গেমস আয়োজনের অধিকার পায় তখন সারা দেশকে এই অলিম্পিক গেমসের প্রস্তুতিমূলক কাজে অংশ নিতে হয়। ১৯৬৮ সালে ১৯তম অলিম্পিক গেমসের আয়োজনের সময় মেকসিকো অনেক "মেকসিকো বৈশিষ্ট্য" সৃষ্টি করেছিল। তিনি বলেন,

    মেকসিকো সাফল্যের সঙ্গে অলিম্পিক গেমস আয়োজনের পর মেকসিকোর প্রতি অনেক বিদেশীর ভুল বোঝাবোঝি বদলে যায়। বরং এই অলিম্পিক গেমস মেকসিকোর নাগরিকদের জন্য বড় ধরনের সন্তুষ্টি এনে দিয়েছে। কারণ অলিম্পিক গেমসের মাধ্যমে আমরা নিজের সার্মথ্য প্রমাণ করেছি। তখন কম্পিউটার ছিল না। সে বার অলিম্পিক গেমসে আমরা প্রথম বার বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবহার করে সঠিকভাবে ক্রীড়াবিদদের কৃতিত্ব উপস্থিত দর্শকদেরকে জানিয়েছি। এছাড়া,১৯৬৮ সালের অলিম্পিক গেমসের প্রতীকও বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এই প্রতীকে মেকসিকোর দেওয়া সংস্কৃতি সুন্দরভাবে তুনে ধরা হয়েছে।

    ১৯তম অলিম্পিক গেমস ১৯৬৮ সালের ১২ অক্টোবর মেকসিকো সিটিতে আয়োজিত হয়। ১১২টি দেশ ও অঞ্চলের প্রতিনিধি দল এই গেমসে অংশ নেয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেকসিকোর ২০ বছর বয়সী নারী দৌড়-ঝাপ-নিক্ষেপ ক্রীড়াবিদ এনরিকুউটা বাসিলিও মশাল প্রজ্জ্বলন করেন।অলিম্পিক ইতিহাসে তিনিই ছিলেন প্রথম নারী যিনি অলিম্পিক মশাল প্রজ্জ্বলন করেন। মেকসিকো অলিম্পিক কমিটির বতর্মান কার্যনিবার্হী সমিতি চেয়ারম্যান এডিউরডো গোরেজ লারিনগা সে দিনের কথা স্মরণ করে বলেন,

    মেকসিকোর নারী ক্রীড়াবিদ এনরিকুউটা বাসিলিও মেকসিকো সিটির অলিম্পিক স্টেডিয়ামে প্রধান মশালে অগ্নিসংযোগ করেন। অলিম্পিক ইতিহাসে তিনি ছিলেন প্র্রথম নারী যিনি অলিম্পিক মশাল জ্বালান।

    মেকসিকো অলিম্পিক গেমসে বিভিন্ন দেশের ক্রীড়াবিদরা ব্যাপক শ্রেষ্ঠ রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন। হাই জাম্পার প্রতিযোগিতায় মার্কিন ক্রীড়াবিদ বব বিমন ৮.৯০ মিটির উচ্চতা অতিক্রম করে চ্যাম্পীয়ন হন। তিনি ২৩ বছরের সংরক্ষিত বিশ্ব রেকর্ড ভঙ্গ করেন। এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য, এই অলিম্পিক গেমসে ১৫০০ মিটার দৌড় থেকে শুরু করে ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতায় সবই চ্যাম্পীয়ন হন আফ্রিকান দৌড়বিদরা । এ থেকে বোঝা যায়,আফ্রিকার দূর পাল্লার দৌড় ক্রীড়ায় লক্ষ্যণীয় অগ্রগতি হয়েছে। মেকসিকো অলিম্পিক গেমসের চমত্কার কৃতিত্ব প্রসঙ্গে মেকসিকোর তত্কালীণ ক্রীড়া প্রতিনিধি দলের নেতা কারলোস পাদিল্লা বেকেরা গর্বের সঙ্গে বলেন,

    ৪০ বছর আগে মেকসিকোতে আয়োজিত অলিম্পিক গেমস বিশ্ব সম্প্রদায়কে বিস্মিত করেছে। কারণ এর আগে অনেকেই বিশ্বাস করেনি যে মেকসিকোর অলিম্পিক গেমস আয়োজনে ক্ষমতা আছে। যদিও এই মালভূমিতে অলিম্পিক গেমসের আয়োজন করা হয় তবুও মোট ৪৬ দফা বিশ্ব রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। যেমন, এই অলিম্পিক গেমসে পুরুষদের একশো মিটার দৌড়ে প্রথম বার ১০ সেকেন্টের সীমা অতিক্রম করে। তা ছাড়া, অনেক দেশের পুরুষ-নারী ক্রীড়াবিদ নুতন বিশ্ব রেকড সৃষ্টি করেন। উপরন্তু, এই অলিম্পিক গেমসের জন্য নির্মিত ভ্যেনুগুলোও বিভিন্ন দেশের ক্রীড়াবিদদের মনে গভীর ছাপ ফেলেছে।