তিব্বত সমস্যায় কিছু কিছু পশ্চিমা গণ মাধ্যম ভুল তথ্য পরিবেশন করেছে বলে সম্প্রতি কিছু বিদেশী বিশেষজ্ঞ ও পন্ডিতরা পৃথক পৃথকভাবে প্রবন্ধ লিখে বা বিশেষ সাক্ষাত্কারে তার সমালোচনা করেছেন এবং 'তিব্বতের স্বাধীনতা আন্দোলন'এর আসল চেহারা উন্মোচিত করেছেন।
রাশিয়ার 'চীন' পত্রিকার প্রধান সম্পাদক ভিনোগ্রোতস্কি ৭ মে গণ মাধ্যমে দেয়া এক লিখিত সাক্ষাত্কার বলেছেন, তিব্বত বিষয়ে তাঁর গভীর আগ্রহ রয়েছে। তিনি আশা করেন, তিনি ব্যাপক রুশ পাঠকদের কাছে আসল তিব্বতকে তুলে ধরতে পারবেন। তবে তিব্বতকে অত্যন্ত গভীর দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা দরকার। তিনি বলেন, গত বছর তিনি তিব্বত সফর করেছেন। তিব্বতের ধর্মীয় স্থান, ঐতিহাসিক স্থান ও দৃশ্যবলী তার মনে গভীর রেখাপাত করেছে। আধুনিক সমাজে সংস্কৃতি সংরক্ষণ ও উন্নয়ন সহজ কাজ নয়, তবে চীন সরকার আন্তরিকভাবে তিব্বতী সংস্কৃতি রক্ষা ও উন্নয়নের চেষ্টা চালাচ্ছে।
ইতালির ইনসুব্রিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইরেন আফেদে দ্য পাওলা সম্প্রতি এক প্রবন্ধে লিখেছেন, ভূভাগের অখন্ডতা রক্ষার জন্য চীনের দৃঢ় ব্যবস্থা নেয়া দরকার। কিন্তু কিছু পশ্চিমা গণ মাধ্যম এ বিষয়টিকে কাজে লাগিয়ে ফলাও করে প্রচার করছে। পাশ্চাত্য দুনিয়ার লোকেরা তিব্বতের আসল ইতিহাস খুব কম জানেন। পশ্চিমা গণ মাধ্যমের কার্যকলাপ কেবল চীনকে বিচ্ছিন্ন করার অপচেষ্টা মান।
ইতালির বিখ্যাত, উর্বিনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক দোমিনিকো রোসার্দো সম্প্রতি ইন্টারনেটে একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেছেন। নিবন্ধে তিনি লিখেছেন, তথাকথিত 'তিব্বত সমস্যা'-এর আসল বিষয় হচ্ছে বিচ্ছিন্নতা ও বিচ্ছিন্নতা বিরোধি এবং অগ্রগতি ও প্রতিক্রিয়াশীল এর সংগ্রাম। (ইয়ু কুয়াং ইউয়ে)
|