পিপলস ডেইলি পত্রিকায় ৬ মে'র একটি নিবন্ধে বলা হয়েছে, তিব্বত সমস্যা চীনের সার্বভৌমত্বের বিষয়।। দালাই গ্রুপ সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলে তিব্বত সমস্যা নিয়ে "মধ্যবর্তী পথে " চলার ঘোষণা দেয়। এ মধ্যবর্তী পথের আসল অর্থ তিব্বতের স্বাধীনতা, অথাত্ চীন থেকে তিব্বতকে বিচ্ছিন্ন করা।
নিবন্ধে আরও বলেন, 'মধ্যবর্তী পথ' দুই অংশ আছে। প্রথমটি হলো বৃহত্তর তিব্বত, দ্বিতীয়টি হলো উচ্চ পর্যায়ের স্বায়ত্ত্বশাসন। বৃহত্তর তিব্বত মানে চীনের তিব্বত, ছিংহাই, গ্যানসু, সিছুয়ান, ইয়ুন নানসহ প্রদেশগুলোর তিব্বতী আবাস এলাকা একত্রিত করে একটি বৃহত্তর তিব্বত স্বায়ত্ত্বশাসিত এলাকা গড়ে তোলা। এ এলাকার আয়তন মোট আয়তনের এক চতুর্থাংশে দাঁড়াবে। উচ্চ পর্যায়ের স্বায়ত্ত্বশাসনের অর্থ হচ্ছে চীনের কেন্দ্রীয় সরকার তিব্বতে সৈন্য মোতায়েন করতে পারবে না। এতে অন্য দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে তিব্বত কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করতে পারবে। জানা যায়, "মধ্যবর্তী পথের" আসল উদ্দেশ্য হলো তিব্বত যে চীনের একটি আইনগত অংশ সে কথা অস্বীকার করা এবং তিব্বত চীনের সর্বভৌমত্বের অংশ এ সত্যতা অস্বীকার করা।
নিবন্ধে আরও বলা হয়েছে, ইতিহাস ও বর্তমান অবস্থা থেকে এ কথা পরিস্কার যে, তিব্বতের সর্বভৌমত্ব একটি দেশের মর্যাদা ও জনগণের মৌলিক স্বার্থের সঙ্গে জড়িত। এ সমস্যা যত জটিলই হোক, অন্য কোনো শক্তির হস্তক্ষেপ চীন কোনোভাবেই মেনে নেবে না। চীনা জনগণও এ বিষয়ে আপস করবে না।
(ওয়াং তান হোং)
|