পেইচিং প্রাচীন সভ্যতার একটি শহর। সেজন্য পেইচিংয়ের প্রচুর ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থান রয়েছে। যেমন, নিষিদ্ধ নগর, মহা প্রাচীর ও হুথং। দেশী ও বিদেশী পর্যটক পেইচিং এসে এসব দর্শনীয় স্থানে যাবেন। ২০০৮ সালে পেইচিংয়ে অলিম্পিক গেমস আয়োজিত হবে। পর্যটকরা পেইচিংকে অলিম্পিক শহর বলে জানবেন। তাঁরা অলিম্পিক গেমসের স্থাপত্য দেখে যেতে চান। সেজন্য পেইচিংয়ের বিভিন্ন পর্যটন এজেন্সি এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অলিম্পিক গেমস সম্পর্কে পর্যটনের পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে।
(রে ১)
'এখন পর্যন্ত আমাদের পর্যটন এজেন্সি অলিম্পিক গেমস সম্পর্কে একটি ভ্রমণ পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে। এটি হল জাতীয় স্টেডিয়াম 'পাখির বাসা' ও জাতীয় সাঁতার কেন্দ্র 'ওয়াটার কিউব' ভ্রমণ।'
পেইচিংয়ের একটি পর্যটন এজেন্সির একজন গাইড শি চিংইউ এ কথা বলেন। ২৫ বছর বসয়ী শি চিংইউ পেইচিংয়ের ছেলে। দু'বছর আগে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রী নিয়েছেন। এখন তিনি পেইচিংয়ের একটি বৃহত্তম পর্যটন এজেন্সিতে গাইড হিসেবে কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন।
২০০১ সালে চীন অলিম্পিক গেমসের স্বাগতিক দেশ হিসেবে নির্ধারিত হওয়ার পর পেইচিংয়ের বিভিন্ন ক্ষেত্র অলিম্পিক গেমসের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে যায়। শি চিংইউ বলেন, অলিম্পিক গেমস তাঁদের মধ্যে বিরাট পরিবর্তন এনে দিয়েছে।
শি চিংইউ বলেন, তিনি ছোটবেলা থেকেই ইংরেজি লেখাপড়া পছন্দ করতেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়ার সময় তার একজন পর্যটন গাইডে পরিনত হওয়ার লক্ষ্য নির্ধারিত হয়। কিন্তু তিনি দেখতে পান যে, অলিম্পিক গেমস আসার সঙ্গে সঙ্গে পেইচিংয়ে ভ্রমণ করা বিদেশী পর্যটকের সংখ্যাও ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। এরফলে পেইচিংয়ে ইংরেজি জানা গাইডের চাহিদাও অধিক থেকে অধিকতর হারে বাড়ছে। শি চিংইউ ভাবলেন, ইংরেজিতে লেখাপড়া জোরদার করলে তিনি তার নিজের লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে পারবেন। এরপর তিনি শি চিংইউয়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের লেখাপড়ার প্রধান বিষয় হয়ে দাঁড়ায় ইংরেজি। সবশেষে তিনি সর্বোত্কৃষ্ট ইংরেজির মান নিয়ে গাইডের যোগ্যতা পরীক্ষায় পাস করেছেন এবং গাইড হিসেবে কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন। শি চিংইউ বলেন, যদি অলিম্পিক গেমসের চাপ সৃষ্টি না হতো, তাহলে তাঁর এত ইংরেজির মান এত উচ্চু হতো না। তিনি আরো বলেন, অলিম্পিক গেমসের জন্য আমি ইংরেজির মান উন্নয়নের চেষ্টা করি এখনো করে যাচ্ছি।
বর্তমানে শি চিংইউ ভালভাবে বিদেশী পর্যটকদের সঙ্গে গাইডের দায়িত্ব পালন করতে পাছেন। কিন্তু গত বছরের শেষ দিক থেকে অনেক বিদেশী পর্যটক শুধু যে ঐতিহ্যিক দর্শনীয় স্থান পরিদর্শন করছেন তা নয়, বরং তারা পেইচিং অলিম্পিক গেমসের স্টেডিয়ামগুলো পরিদর্শনেও আগ্রহী। শি চিংইউ বলেন, অনেক পর্যটক অলিম্পিক গেমস আয়োজনের আগে এসব স্টেডিয়াম পরিদর্শন করতে চান। পেইচিংয়ের পর্যটন এজেন্সিগুলো এ সুযোগ হেনায় হারাবে না। সেজন্য অলিম্পিক গেমস সম্পর্কে পর্যটনের পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। এ সব নতুন পর্যটন পথ নির্দেশনের জন্য শি চিংইউ অলিম্পিক ও ক্রীড়া সম্পর্কে ইংরেজিতে লেখাপড়া জোরদার করবেন। তিনি বলেন,
(রে ২)
'আমাদের পর্যটন এজেন্সিগুলো কর্মচারীদের ইংরেজির মান উন্নয়নের চেষ্টা করছে। বিশেষ করে অলিম্পিক গেমস সম্পর্কে শব্দের প্রশিক্ষণ জোরদার করা হচ্ছে। আমরা আশা করি অলিম্পিক গেমসের জন্য অবদান রাখতে পারবো।'
শি চিংইউ সাংবাদিকদের বলেন, পর্যটন শিল্প শহরের প্রতিমুর্তির সঙ্গে সম্পর্কিত। ২০০৮ সালে আমি বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের পর্যটকদেরকে নিয়ে ভালভাবে ভ্রমণ করবো। এটি আসলে পেইচিং অলিম্পিক গেমসের জন্য অবদান রাখার সুযোগ।
পেইচিং অলিম্পিক গেমসের প্রতিযোগিতাগুলো সম্পর্কে শি চিংইউ স্টেডিয়ামেও ক্রীড়াবিদদেরকে উত্সাহ দিতে চান। তিনি বলেন,
(রে ৩)
'আমি প্রতিযোগিতার মাঠে যেতে চাই। আমি ইন্টারনেটে টিকিট কেনার জন্য নিজেকে নিবন্ধণ করেছি। আমি ফটবল খেলা পছন্দ করি। যদি চীনা দলের মান এখনো নিম্ন পর্যায়, তবুও আমার দৃষ্টিতে তা প্রত্যয়ে ভরপুর।'
|