পেইচিং অলিম্পিক গেমসের মশাল যাত্রায় প্রতিটি স্থানের প্রথম জন মশালবাহকের ওপর দৃষ্টি থাকে সবচেয়ে বেশি। সান ফ্রান্সিস্কোয় একজন চীনা নারী প্রথম মশালবাহক হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। তিনি হচ্ছেন সাবেক চীনা সাঁতারু লিন লি। তিনি চীনের প্রথম বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন সাঁতারু।
১৯৯৬ সালের আটলান্টা অলিম্পিক গেমসের পর লিন লি আর দৃশ্যপটে নেই। এবার আমাদের সংবাদদাতা তার একটি সাক্ষাত্কার নিয়েছেন। লিন লি বলেন,
আসলে আমার জীবন খুব সহজ। ১৯৯৬ সালের আটলান্টা অলিম্পিকের পর আমি হংকংয়ে দু'বছর প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করেছিলাম। তার পর আমি চিয়াং সু প্রদেশে গিয়ে দু'বছর প্রশিক্ষকের কাজ করেছি। অবশেষ আমি এখানে এসেছি। আমি একটা ক্লাবে প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করেছি এবং পরে বিয়ে করেছি। এখন আমার বাচ্চার বয়স পাঁচ বছর।
লিন লির স্বামীও চীনা বংশোদ্ভূত প্রবাসী। তিনি এখন অর্থ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত কাজ করেন। লিন লি বলেন, এখন তিনি তাঁর ৭০ শতাংশ শক্তি পরিবারের জন্য ব্যয় করেন। একজন ব্যক্তিগত প্রশিক্ষক হিসেবে তিনি সাঁতারকে কম সময়ই দিচ্ছেন। কিন্তু একজন খেলোয়াড় হিসেবে অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন এবং বর্নাঢ্য ক্রীড়া জীবনের স্মৃতি এতো সহজেই ফেলা যায়?
এখন আমি নিজের আগেকার প্রতিযোগিতার ভিডিও দেখে খুব আলোড়িত হই।
এবার পেইচিং অলিম্পিক গেমসের মশাল বাহক মনোনীত হওয়ার পর ক্রীড়া ও অলিম্পিকের প্রতি লিন লির গভীর টান আবার ফিরে এসেছে।
আমি আবারো অলিম্পিক গেমসে অংশ নেয়ার অনুভূতি খুঁজে পেয়েছি। আমি নিজেকে বলি, আমি তরুণ হলে পেইচিং অলিম্পিক গেমেসে অংশ নিতাম।
অলিম্পিক গেমসে আবার অংশ নেয়ার ইচ্ছা রীতিমতো একটি রসিকতা। বর্তমানে লিন লির জীবনের অন্যতম লক্ষ্য হলো "মা"-এর দায়িত্ব পালন করা। তিনি বলেন, তিনি মেয়েকে সাঁতারে বাধ্য করবেন না। তবুও তিনি আশা করেন, মেয়ে ক্রীড়া পছন্দ করবে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বলেন, লিন লিকে সান ফ্রান্সিক্সোর প্রথম মশালবাহক মনোনীত করার কারণ হলো, প্রথমত, তিনি অলিম্পিক গেমসের চ্যাম্পিয়ন ছিলেন, দ্বিতীয়ত, তিনি চীনা বংশদ্ভূত প্রবাসী। তিনি সান ফ্রান্সিস্কোর উন্নয়নে বিশাল অবদান রাখা চীনা বংশোদ্ভূত প্রবাসীদের সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব করার যোগ্য। এভাবে চীনা জণগের দৃষ্টিতে ফিরে আসার পাশাপাশি লিন লি নিজের শুভেচ্ছাও প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন,
চীন আন্তর্জাতিক বেতারের শ্রোতাবন্ধুরা, সবাই ভালো আছেন? আমি লিন লি। পেইচিং অলিম্পিক গেমস সাফল্যের সঙ্গে আয়োজিত হবে এই শুভ কামনা করি। (লিলি)
|