এখন তিব্বতের জনগণ নানা পদ্ধতিতে দেশপ্রেমের অনুভুতি প্রকাশ করছেন।
লাসায় কুও ছিং শান নামে একজন দোকানদার বলেছেন, সম্প্রতি তিনি লাসার অন্য দুটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে 'এক সঙ্গে অলিম্পিক গেমস আয়োজন করুন, আমাদের চীনকে ভালোবাসুন' শীর্ষক কর্মসূচী বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে। তারা আশা করেন, লাসার সকল গাড়িতে 'অলিম্পিককে সমর্থন করুন, পেইচিংকে সফল করুন' স্লোগান লেখা লাল রংয়ের স্টীকার লাগাবে। এখন এটা লাসার রাস্তায় এক নতুন দৃশ্যে পরিণত হয়েছে। কুও ছিং শান বলেন, এ কর্মসূচীর উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশপ্রেমের আবেগ প্রকাশ করা এবং চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ এবং পেইচিং অলিম্পিক গেমসকে নস্যাৎ করার অপচেষ্টা চালানো কিছু পাশ্চাত্য দেশের রাজনীতিবিদদের প্রতি প্রতিবাদ জানানো।
কিছু দিন আগে তিব্বত বিশ্ববিদ্যালয়ে 'হাসি মুখে অলিম্পিক গেমসের সেবা করা' শীর্ষক তরুণদের স্বেচ্ছাসেবক কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন জাতির ৩০০ জনেরও বেশি তরুণ ছাত্রছাত্রী স্বেচ্ছাসেবক হতে নিজেদের তালিকাভুক্ত করেছেন। তারা তিব্বত ও ছুমোলোংমা পর্বতে অলিম্পিক গেমসের মশাল হস্তান্তরে অবদান রাখার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
তিব্বতের সমাজ বিজ্ঞান একাডেমির নামকরা গবেষক কেলজান ইয়াশে মনে করেন, বর্তমান অবস্থায় একজন তিব্বতী হিসেবে দেশপ্রেম প্রকাশের পদ্ধতি হচ্ছে দৃঢ়ভাবে দেশের ঐক্যবদ্ধ ও সমাজের স্থিতিশীলতা রক্ষা করা, নিজের চাকরি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করা এবং দেশকে ভালোবাসার আবেগকে কাজের চালিকাশক্তিতে পরিণত করা। (ইয়ু কুয়াং ইউয়ে)
|