v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-04-23 19:11:03    
দালাই লামার তিব্বতের উন্নয়নের বিরোধিতা করা উচিত নয়--দুব্রুলে

cri
বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম হোটেল গোষ্ঠী , ফ্রান্সের এ সি সি ও আর আকরের প্রতিষ্ঠাতা , সেদেশের সাবেক সিনেটর পল দুব্রুলে সম্প্রতি সাংহাইয়ে বলেছেন , আমি তিব্বতে গিয়েছিলাম । আমার নিজের অভিজ্ঞতা বিবেচনা করে আমি মনে করি তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে চীন সরকারের পুনর্গঠন ও প্রশাসনেকোনো ভুল নেই । তিব্বতের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে দালাই লামার বিরোধিতা উচিত নয় । সাংহাইয়ে আকর চেইনের প্রথম হোটেলের নির্মাণ কাজ পর্যবেক্ষণের জন্যই পল দুব্রুলে সেখানে যান । ৭৪ বছর বয়সী এই ফরাসী অল্প বয়সেই বন্ধুর সঙ্গে মিলে গড়ে তোলেনবিশ্বের প্রথম শ্রেণীর হোটেল চেইন আকর । তিনি একদা ফ্রান্সের একটি শহরের মেয়র ও সিনেটর ছিলেন । সাংবাদিককে দেয়া এক সাক্ষাত্কারে দুব্রুলে বলেন , ছয় বছর আগে তিনি আট মান সময় নিয়ে সাইকেলে করে ১৫ হাজার কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে ফ্রান্স থেকে কম্পুচিয়া গিয়েছিলেন । এর মধ্যে তিন মাস সময় ধরে তিনি চীনের তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল ঘুরে ঘুরে দেখেছেন । তিনি বলেন , তিব্বত যাওয়ার আগে অনেক মানুষের মতো আমিও মনে করতাম তিব্বতটি এক গরীব ও পশ্চাত্পদ স্থান । প্রচার মাধ্যম থেকে পাওয়া তথ্যে কিনি জেনিছিলেন , চীনের কেন্দ্রীয় সরকার তিব্বতীদের অত্যাচার করে । কিন্তু তার তিন মাসের তিব্বত ভ্রমণে তিনি একেবারে ভিন্ন চিত্র দেখেছেন । তিনি বলেন , ছয় বছর আগে আমি সাইকেলে ভ্রমণের সুযোগ পাই । তিব্বতে আমি তিন মাস ছিলাম । আমার ধারণা , ফরাসীদের মধ্যে তিব্বত সম্পর্কে আমি অনেকের চেয়ে বেশি জানি । তিনি বলেন , তিনি নিজের চোখে তিব্বতের সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন দেখেছেন। ফ্রান্সের তুলনায় তিব্বতের অধিবাসীদের জীবন এখনও ততটা সচ্ছল্যতা বলা না গেলেও , তবে চীনের কেন্দ্রীয় সরকার তিব্বতের অর্থনীতির উন্নয়ন এবং অধিবাসীদের জীনবযাত্রার মান উন্নত করার চেষ্টা করে যাচ্ছে । তিনি লক্ষ্য করেছেন , তিব্বতী জনগণ সামাজিক অগ্রগতির সুফল ভোগ করছেন । তিনি বলেন , ভ্রমণের পর আমি একটি বই লিখেছি । সেই বইতে আমি তিব্বতের উন্নয়নে চীন সরকারের চেষ্টার কথা লিখেছি । আমি মনে করি , চীন সরকার ভালো কাজ করছে । গত শতাব্দীর নব্বইয়ের দশকের প্রথম দিক থেকে দুব্রুলে তিব্বত সম্পর্কিত বইপত্র পড়তে শুরু করেন । তিনি মনে করেন , পাশ্চাত্য দেশগুলো একগুঁয়েভাবে চতুর্দশ দালাই লামাকে দেবতার মতো প্রশংসা করে এবং তাকে চীন সরকারের অত্যাচারের শিকার হিসেবে গণ্য করে । কিন্তু বাস্তব সত্য হলো , দালাই লামার শাসনাধীন পুরনো তিব্বতে শিশুর মৃত্যু হার খুব উচুঁ ছিল , গোটাতিব্বতে একটি আধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও ছিল না । দালাই লামা বলেছেন , অর্থনীতির দ্রুত উন্নয়ন তিব্বতের ঐতিহ্যিক সংস্কৃতি ধ্বংস করবে । তার এ উক্তি খন্ডন করে দুব্রুলে বলেন , সংস্কৃতি যদি সমাজের অগ্রগতিরসঙ্গে বিকশিত না হয় , তাহলে সেই সংস্কৃতি শুধু জাদুঘরে স্থান পাবে , জনগনের জন্য কোনো কল্যান নিয়ে আসবে না । তিনি বলেন , দালাই লামার প্রচারিত তত্ত্ব পিছু হটার তত্ত্ব । আমি তিব্বতে দেখেছি চীন সরকার তিব্বতে অনেক সড়ক , বিমানবন্দর , শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও হাসপাতাল স্থাপন করেছে , এগুলো অর্থনৈতিক উন্নয়নের পরিচায়ক । দুব্রুলে আরো বলেন , কিছু লোক সংস্কৃতি ও ধর্ম সংরক্ষণের অজুহাত দেখিয়ে অর্থনীতির উন্নয়ন , শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালের স্থাপন আটকে দিচ্ছে , এধরনের লোককে কি বরদাস্ত করা যায় ? দুব্রুলে ছিনহাই তিব্বত রেলপথের কথা উল্লেখ করে বলেন , এই রেলপথ তিব্বতী জনগণের সঙ্গেদেশের অন্য স্থানের যোগাযোগ বাড়িয়েছে এবং তিব্বতের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ভিত্তি স্থাপন করেছে । দালাই লামা এ রেলপথ নির্মাণের বিরোধিতা করেছেন , এতে বোঝা যায় তিনি তিব্বতের অর্থনৈতিক উন্নয়ন দেখতে চান না । দু ব্রুলে বলেন , তিনি দালাইকে দেখেন নি । তবে তিনি মনে করেন , জনসাধারণের ধর্মীয় বিশ্বাসকে সরকারের সম্মান করা উচিত , পক্ষান্তরে ধর্মীয় কারণে নিজের দেশের বিরোধিতা করা উচিত নয় ।