পেইচিং অলিম্পিক মশাল ১৬ এপ্রিল ভোরে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে পৌঁছে। মশাল হস্তান্তর স্থানীয় সময় ১৬ এপ্রিল বিকেল ৪টায় শুরু হয়। ৬৫জন মশাল বাহক এতে অংশ নেন। সি.আর.আইয়ের সংবাদদাতা শুয়ে শিয়াও ইয়ুন ইসলামাবাদ থেকে এই সংবাদ পাঠিয়েছেন।
৫৭ বছর বয়স্ক সামিউল্লা খান ছিলেন পাকিস্তানের এক সময়কার বিখ্যাত হকি খেলোয়াড় এবং বর্তমান জাতীয় হকি দলের কোচ। এবার মশাল বাহক হওয়ার সুযোগ পেয়ে তিনি খুব খুশি। অলিম্পিক মশাল এবারই প্রথম বারের মতো পাকিস্তানে যায়। এতে দু'দেশের ঐতিহ্যবাহী মৈত্রী আরো ঘনিষ্ঠ হয়েছে।
(রি ১) "আমি খুব ভাগ্যবান। আমার মেয়ে মশাল হস্তান্তরে আমাকে বাহক হিসেবে দেখে অবশ্যই খুব খুশি হবে।"
সামিউল্লা খান চীনের কুয়াং তুং প্রদেশের পুরুষ হকি দলের কোচ হিসেবে চীনের নবম জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় দলটি চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন। চীনের জীবনযাপনের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন:
(রি ২) "২০০১ সালে আমি কুয়াং চৌ গিয়েছিলাম, তাদের হকি কোচ হিসেবে। তারপর চীনের নবম জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় তারা চ্যাম্পিয়ন হয়। কুয়াং চৌ শহরের মানুষ খুব ভাল। আমার শুধু খেতে একটু সমস্যা হতো। কিন্তু চীনের জীবন আমি খুব পছন্দ করতাম। মানুষ খুব অতিথিপরায়ন।"
পাকিস্তানের সাবেক হকি তারকা হাসান সার্দারও এবার মশাল বাহক ছিলেন। তিনি অলিম্পিক গেমসে হকিতে স্বর্ণ পদক জেতার নায়ক। তিনি মনে করেন চীনের সুপ্রতিবেশী হিসেবে পাকিস্তানের জনগণ আন্তরিকভাবে পেইচিং অলিম্পিকের জন্য গৌরব বোধ করে। তাই সবাই মশাল হস্তান্তরের অনুষ্ঠান সমর্থন করে।
(রি ৩) "হকিতে স্বর্ণপদক জেতা আমার জন্য একটি গৌরবের ব্যাপার ছিল। আমি অলিম্পিকে হকি দলে অংশ নিয়েছিলাম এবং স্বর্ণ পদকের অংশীদার হয়েছিলাম। এবারের অলিম্পিক চীনে অনুষ্ঠিত হবে এবং বিশ্বব্যাপী একটি বার্তা প্রচারিত হবে যে চীন শান্তি ভালবাসে। চীনের বন্ধু হিসেবে পাকিস্তানও এতে খুব গৌরব বোধ করে। এ জন্য আমরা চীনকে সমর্থন করি।"
হাসান সার্দারের হাত থেকে মশাল নেন পাকিস্তানের সর্বশেষ মশাল বাহক জাহাংগীর খান। তাকে বলা যায় স্কোয়াশ খেলার ইতিহাসে সর্বকালের সেরা ক্রীড়াবিদ। জাহাংগীর খান ৬ বার স্কোয়াশ ওয়াল্ড ওপেন চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছেন এবং ১০ বার ব্রিটেনে ওপেন চ্যাম্পিয়নশিপে শিরোপা পান। এতো বেশি পুরষ্কার স্কোয়াশ ইতিহাসে আর কারো নেই। ২০০২ সাল থেকে তিনি বিশ্ব স্কোয়াশ সমিতি'র চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বলেন:
(রি ৪) "মশাল বাহক হতে পেরে আমি গর্বিত এবং আমাদের দেশের জন্যও একটি গৌরব। কারণ অলিম্পিক মশাল প্রথম বারের মতো পাকিস্তানে এসেছে। যদিও স্কোয়াশ অলিম্পিকের ইভেন্ট নয়। তবুও আমি সর্বশেষ মশাল বাহক হিসেবে খুব গৌরব এবং খুশি বোধ করি। এটি আমার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার।"
আসন্ন পেইচিং অলিম্পিক গেমসের কয়েকজন মশাল বাহক খুবই আস্থাবান যে, পেইচিং অলিম্পিক সাফল্যের সঙ্গে অনুষ্ঠিত হবে। সামিউল্লাহ খান বলেন:
(রি ৫) "এবারের পেইচিং অলিম্পিক নিশ্চয় সফল হবে। চীনা মানুষরা খুব মন দিয়ে কাজ করে। তাই চীনের অর্থনীতি এত দ্রুত বিকশিত হচ্ছে। আমাদের তাদের কাছ থেকে শেখা উচিত। চীন সরকার, চীনা জনগণ এবং চীনের অলিম্পিক সাংগঠনিক কমিটি'র জন্য আমি শুভ কামনা করি। আশা করি এবারের অলিম্পিক সফলতার সঙ্গে অনুষ্ঠিত হবে এবং পদকের সংখ্যায় নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হবে।"(ইয়াং ওয়েই মিং)
|