১৭ এপ্রিল পেইচিং অলিম্পিক মশাল ভারতের নয়াদিল্লীতে পৌঁছেছে। পেইচিং অলিম্পিক নিয়ে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের আগ্রহ ও অনুভূতির কথা জানিয়েছেন। এখন শুনুন এ সম্পর্কে আমাদের সংবাদদাতার লেখা একটি প্রতিবেদন।
ভারত এখন ২০১০ সালের কমনওয়েলথ গেমসের প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং ২০২০ সালে অলিম্পিকের স্বগেতিক দেশ হতে চায়। তাই এবারই নয়াদিল্লীতে মশাল হস্তান্তরের ঘটনা প্রথম না হলেও অলিম্পিক নিয়ে ভারতের ছাত্রছাত্রীরা দারুণ উত্সাহী। দর্শনের ছাত্রী শিবাঙ্গী মুত্তু মুত্তো পেইচিং অলিম্পিক গেমস নিয়ে তার প্রত্যাশার কথা বলেছেন। তিনি বলেন:
(রি ১) "আমি অধীর আগ্রহে অলিম্পিক গেমসের অপেক্ষায় আছি। পেইচিং অলিম্পিক এশীয় দেশগুলোর জন্য একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এটি সব দেশের সঙ্গে মেলবন্ধন তৈরি করতে পারে। আমি পেইচিং অলিম্পিক নিয়ে খুবই উত্সাহী। ইন্টারনেটে আমি সব ছবি দেখবো। আমি পেইচিং অলিম্পিক গেমসের সফলতা কামনা করছি। আশা করি ভারতও অলিম্পিক আয়োজনের সুযোগ পাবো।"
খেলার পোশাক পরা সমাজ বিজ্ঞানের ছাত্রী সুমেধা দত্ত একজন ক্রীড়া অনুরাগী। ভারতে পেইচিং অলিম্পিক মশাল হস্তান্তর নিয়ে সুমেধা বলেন, এটা ভারত ও চীন বিশ্বের সামনে নিজ নিজ দেশকে ভালভাবে তুলে ধরার একটি সুযোগ এবং বিশ্বের সঙ্গে সেতু তৈরী করার একটি প্রতীক। তিনি বলেন:
(রি ২) "অলিম্পিক খুবই জনপ্রিয় একটি ক্রীড়া ইভেন্ট, যা এবার পেইচিংয়ে অনুষ্ঠিত হবে। পেইচিং অলিম্পিক মশাল ভারতে হস্তান্তরের সুবাধে ভারতের অনেক বিখ্যাত লোক বিশ্বের সামনে দাঁড়াতে পারবে। চীনের সংস্কৃতিও বিশ্ব দেখতে পারবে। অলিম্পিক এমন একটি ক্রীড়া ইভেন্ট যার মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলের মানুষ একসাথে মিশে যেতে পারে। পেইচিং অলিম্পিক শুধু চীনের নয়, বরং বিশ্বের সকলের অলিম্পিক। তাই সকল দেশের যৌথ সহযোগিতা দরকার। আমি আর আমার বন্ধুরা টেলিভিশনের মাধ্যমে অলিম্পিক গেমস দেখবো। আমি ক্রীড়া প্রতিযোগিতা খুব পছন্দ করি। আশা করি পেইচিং অলিম্পিক সফল হবে।"
চীনা ভাষার শিক্ষক রাকেশ খুব ভাল চীনা ভাষা বলতে পারেন। তিনি চীন ও ভারতের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময়ে নিজে অবদান রাখছেন। এবারের মশাল হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে এশীয় দেশ বিশেষ করে চীন-ভারতের সম্পর্ক উন্নয়নের দিকে তিনি বিশেষভাবে মনোযোগ দিচ্ছেন। তিনি বলেন:
(রি ৩) "আমি মনে করি চীন অলিম্পিক আয়োজনের সুযোগ পাওয়া সারা এশিয়া খুব গৌরব বোধ করে। অলিম্পিক গেমস এশীয় মানুষ এবং এশিয়ার উন্নয়নের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি পেইচিং অলিম্পিক মশাল ভারতের হস্তান্তরের মাধ্যমে চীনা মানুষের কাছে আমাদের মৈত্রীর বার্তা পাঠাতে পারবো এবং চীন-ভারত সম্পর্ক আরো সুষ্ঠু হবে।"
আন্তর্জাতিক গবেষণা কেন্দ্রের চীন বিষয়ক ছাত্র অতুল কুমার মনে করেন এখন চীন সম্পর্কে বিশ্ব খুব বেশি কিছু জানে না। তাই পেইচিং অলিম্পিক চীনের জন্য যেমন গুরত্বপূর্ণ, বিশ্বের জন্যও তেমনই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ অলিম্পিকের মাধ্যমে চীনের পরিস্থিতি ও উন্নয়ন বিশ্বের মানুষ আরো ভালভাবে জানতে পারবে। তাতে চীন সম্পর্কে কিছু ভুল বোঝাবুঝি আপনা আপনিই দূরে হয়ে যাবে। তিনি বলেন:
(রি ৪) "অলিম্পিকের মাধ্যমে চীনের অবকাঠামো, মাথাপিছু জিডিপি এবং শিল্পের উন্নয়নের সার্বিক অবস্থা বিশ্বের মানুষ জানতে পারবেন। এতে চীনের সফলতার সঙ্গে যে কোনো দেশ অলিম্পিক আয়োজনের স্বপ্ন দেখতে পারবে। বিশ্বের মানুষ দেখতে পারবেন, অনেক কষ্ট ও সমস্যার পরও চীন উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছে।"
অবশেষে কুমার এবং তার সহপাঠী রাজিব চীনা ভাষায় শ্রোতা বন্ধুদের কাছে তাদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তারা বলেন:
(রি ৫) "প্রিয় চীন আন্তর্জাতিক বেতারের শ্রোতা বন্ধুরা, সবাই ভাল আছেন? আমরা আশা করি পেইচিং অলিম্পিক সাফল্যের সঙ্গে আয়োজিত হবে।" (ইয়াং ওয়েই মিং)
|