আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বহু দেশের শীর্ষ নেতারা সম্প্রতি বিভিন্নভাবে পেইচিং অলিম্পিককে রাজনীতিকীকরণ এবং প্রতিরোধ বা বর্জনের বিরোধিতা করেছেন।
আই.ও.সি'র চেয়ারম্যান জ্যাকস রগে ৫ এপ্রিল সিংগাপুরে বলেন, পেইচিংকে অলিম্পিকের আয়োজক শহর হিসেবে বেছে নেয়া একটি সঠিক সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য আই.ও.সি কখনো দুঃখিত নয়। পেইচিং সাংগঠনিক কমিটি'র প্রস্তুতি কাজ নিয়ে রগে তার সন্তোষ প্রকাশ করেন। আই.ও.সি'র ২৯তম অলিম্পিক সমন্বয় কমিটি'র চেয়ারম্যান হেইন ভারব্রুগেন ৩ এপ্রিল পেইচিংয়ে বলেন, পেইচিং অলিম্পিক গেমসকে রাজনীতিকীকরণের দৃঢ় বিরোধিতা করেন তিনি। তিনি বলেন, অলিম্পিক হলো ক্রীড়াবিদেদের অলিম্পিক, রাজনিতিকদের নয়। আই.ও.সি'র সম্মানসূচক চেয়ারম্যান সামারাঞ্চ ২ এপ্রিল বলেন, অলিম্পিকের সঙ্গে তিব্বত ইস্যুর কোনো সম্পর্ক নেই। আই.ও.সি একটি ক্রীড়া সংস্থা, রাজনীতি তার দায়িত্ব নয়।
বৃটেনের অলিম্পিক ও লন্ডন বিষয়ক মন্ত্রী টেসা জোয়েল ৫ এপ্রিল হিথ্রো বিমান বন্দরে বলেন, ব্রিটিশ সরকার মনে করে পেইচিং অলিম্পিক প্রতিরোধ বা বর্জন করা উচিত নয়। ফ্রান্সের পার্লামেন্টের সদস্য জাঁ ফ্রাসোয়াঁ লামু ২ এপ্রিল প্যারিসে বলেন, অনেকেই তিব্বত ইস্যু সম্পর্কে তেমন বেশি কিছু জানে না। তিব্বতের কারণে অলিম্পিক প্রতিরোধ করা ঠিক নয়। বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাজেংকো ৩ এপ্রিল এক বিবৃতিতে বলেন, অলিম্পিক প্রতিরোধ কোনো গঠনমূলক অবদান রাখবে না। তিনি বিভিন্ন দেশের ক্রীড়াবিদদের প্র্রতি কতিপয় রাজনিতিকের কথা না শুনে সক্রিয়ভাবে অলিম্পিকে অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। (ইয়াং ওয়েই মিং)
|