চীনের গণ নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র উ হো পিং ১ এপ্রিল পেইচিংয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন , সম্প্রতি পুলিশ পক্ষ তিব্বতের ভিক্ষু ও সাধারণ মানুষের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তিব্বতের কিছু মন্দির থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র আটক করেছে । এসব অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ১৭৮টি আগ্নেয়াস্ত্র , ১৩ হাজার ১৩ রাউন্ড গুলি , ৩৫৯টি ছুরি, ৩ হাজার ৫ শো ৪ কে জি বিস্ফোরক , ১৯ হাজার ৩ শো ৬০টি ডেটোনেটর এবং ২টি হাত বোমা ।
উ হো পিং বলেন , বিপুল তথ্য প্রমাণ থেকে পরিস্কার হয়ে গেছে যে , ১৪ মার্চ লাসায় সংঘটিত ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা দালাই চক্রের পরিকল্পিত "তিব্বতী জনগণের অভ্যূত্থান আন্দোলনের" একটি অংশ । তার উদ্দেশ্য হলো তিব্বতে একযোগে নাশকতামূলক তত্পরতা চালিয়ে অলিম্পিক গেমসকে জিম্মি করে চীন সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করা , যাতে তার দেশ ভাঙার অবৈধ লক্ষ্য হাসিল হয় ।
উ হো পিং বলেন , দালাই নিজে সবসময় শান্তিপূর্ণ উপায়ে মতামত প্রকাশের কথা বললেও বাস্তবতা থেকে প্রমাণ হয়েছে যে , "মধ্যবর্তী পথ" এবং "শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ" সবই দালাই এবং দালাই চক্রের মিথ্যাচার ।
উ হো পিং আরো বলেন , অলিম্পিক গেমস শান্তি এবং যুদ্ধ ও সংঘর্ষ দূর করাকে সমর্থন করে । তবে দালাই'র নেতৃত্বাধীন "স্বাধীন তিব্বত" প্রয়াসীরা অলিম্পিক গেমসকে রাজনীতিকীকরণের অপপ্রয়াস চালিয়েছে । তারা পেইচিং অলিম্পিক গেমস ২০০৮কে তাদের স্বাধীন তিব্বত পরিকল্পনা চরিতার্থ করার চূড়ান্ত সুযোগ হিসেবে অলিম্পিক গেমসকে বিরোধিতা করার পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে । তাদের আচরণ গুরুতরভাবে অলিম্পিক সনদ লঙ্ঘন করেছে এবং বিশ্বের শান্তিপ্রিয় মানুষকে অপমানিত করেছে । (শুয়েই ফেইফেই)
|