২৮ মার্চ চীনে নিযুক্ত কয়েকটি দেশের কূটনীতিকরা ১৪ মার্চ তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের রাজধানী লাসায় সংঘঠিত ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগসহসহিংস ঘটনা জানার জন্য দু'দিনব্যাপী লাসা পরিদর্শন শুরু করেছেন । এ সহিংস তত্পরতায় সৃষ্ট ধ্বংস স্বচোখে দেখার পর কূটনীতিকরা এ ঘটনা সম্পর্কে চীন সরকারের নেয়া ব্যবস্থা উপলব্ধি করে সমর্থন করার কথা বলেছেন ।
ব্রাজিল , যুক্তরাষ্ট্র , ব্রিটেন , সিংগাপুর , তানজানিয়া ও রাশিয়াসহ চীনে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা লাসায় পরিদর্শন করেন । মধ্য পেইচিং সড়কে অবস্থিত "ই ছুন" নামক পোষাকের দোকানটি অগ্নীসংযোগকারীদের জ্বালানো আগুণে পুড়ে গেছে এবং দোকানে কর্মরত পাঁচ তরুণী বেড়িয়ে আসতে না পারায় তারা আগুণে পুড়ে মারা যায় । পরিদর্শন দলটি লাসায় পৌঁছার পর পরই এ ঘটনাস্থলে যান । এ দৃশ্য দেখে কূটনীতিকরা খুব বিস্ময় প্রকাশ করেছেন । চীনে নিযুক্ত তানজানিয়ার কাউন্সিলার জর্জ এন মানোগি বলেছেন :
এখানে না আসলে এ ঘটনা সম্পর্কিত সত্যতা জানতে পারতাম না । আমরা খুব খুশি যে চীন সরকার কার্যকর ব্যবস্থা নিয়েছে ।
তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের চেয়ারম্যান ছিয়াংবা পানকোক পরিদর্শন দলকে সহিংসকারীদের হিংসাত্মক তত্পরতা এবং তিব্বত সরকারের আইনানুযায়ী স্বাভাবিক সামাজিক শৃঙ্খলা নিশ্চিত করার জন্যে নেয়া সংশ্লিষ্ট ব্যবস্থার কথা জানিয়েছেন ।
সিংগাপুর দূতাবাসের কাউন্সিলার ফু তেও লি বলেছেন :
এমন সহিংস তত্পরতা প্রতিরোধের জন্য আমার মনে হয় চীন সরকারকে কার্যকর ব্যবস্থা নিয়ে লাসার জনগণের নিরাপত্তা রক্ষা করতে হবে । আমরা তা সমর্থন করি ।
চীনে নিযুক্ত স্লোভেনিয়ার কাউন্সিলার বারনার্ড স্রাজনার বলেছেন :
আমার মনে হয় এখন লাসার পরিস্থিতি খুব স্থিতিশীল এবং স্বাভাবিক । তবে রাস্তায় ধ্বংসপ্রাপ্ত দোকান ও অবকাঠানোগুলো দেখা যায় । আমরা আশা করি লাসার পর্যটন শিল্প তাড়াতাড়ি আবার সমৃদ্ধ হবে। (শুয়েই ফেই ফেই)
|