v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-03-28 18:31:34    
প্রধানমন্ত্রী ওয়েন চিয়া পাও লাওস সফরে যাচ্ছেন

cri
    লাওসের প্রধানমন্ত্রী বোয়াসোন বোফাভানের আমন্ত্রণে চীনের প্রধানমন্ত্রী ওয়েন চিয়া পাও ২৯ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত লাওস সফর করবেন এবং ভিয়েনতিয়েনে অনুষ্ঠেয় মেকং নদীর অববাহিকা অঞ্চলের অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংস্থা জি এম এসের নেতৃবৃন্দের তৃতীয় অধিবেশনে অংশ নেবেন । প্রধানমন্ত্রীর সফরসংগী চীনের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হো ইয়া ফেই সাংবাদিককে বলেন , এটা হবে নতুন সরকার গঠনের পর প্রধানমন্ত্রী ওয়েন চিয়া পাওয়ের প্রথম বিদেশ সফর । এ সফর একটি গুরুত্বপূর্ণ কুটনৈতিক কর্মসূচী । তাঁর এই সফর চীন-লাওস সম্পর্কের সার্বিক উন্নয়ন , চীন ও মেকং নদী অঞ্চলের দেশগুলোর সুপ্রতিবেশীসুলভ মৈত্রী সম্পর্ক প্রসার এবং এ অঞ্চলের সহযোগিতা তরান্বিত করার জন্য তাত্পর্যপূর্ণ ।

     চীন ও লাওস পর্বত ও নদী সংলগ্ন সুপ্রতিবেশী বন্ধুদেশ । দুদেশের মধ্যে ঐতিহ্যিক মৈত্রীর ইতিহাস সুদীর্ঘ । সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক দ্রুত বিকশিত হচ্ছে । দুদেশের নেতৃবৃন্দের ঘণ ঘন সফর বিনিময় বজায় রয়েছে । বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুদেশের সহযোগিতা বাড়ছে। হো ইয়া ফেই বলেন , প্রধানমন্ত্রী ওয়েন চিয়া পাওয়ের আসন্ন লাওস সফর অবশ্যই দুদেশের ঐতিহ্যিক সম্পর্ক আরো সংহত করবে , দুদেশের সহযোগিতা বাড়াবে এবং দু দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে এক নতুন পর্যায়ে উন্নীত করবে । হো ইয়া ফেই বলেন , এ সফর হলো চার বছর আগে প্রথম সফরের পর প্রধানমন্ত্রী ওয়েন চিয়া পাওয়ের দ্বিতীয় লাওস সফর । এতে প্রমাণিত হয়েছে যে চীন লাওসের সঙ্গে সম্পর্ককে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে । বর্তমান সফরের উদ্দেশ্য হলো সুপ্রতিবেশীসুলভ সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ঠ করে তোলা , পারস্পরিক কল্যাণের ভিত্তিতে সহযোগিতা বাড়ানো এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুদেশের সম্পর্ক প্রসারিত করা।

    সফরকালে প্রধানমন্ত্রী ওয়েন চিয়া পাও লাওসের প্রেসিডেন্ট ছোমালি সায়াসোনের সঙ্গে সাক্ষাত্ করবেন এবং প্রধানমন্ত্রী বোয়াসোন বোফাভানের সঙ্গে বৈঠক করবেন । দু দেশের নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন ক্ষেত্রের সহযোগিতার সুফল পর্যালোচনা করবেন , সহযোগিতা আরো বাড়ানোর প্রস্তাব পেশ করবেন এবং অভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করবেন । এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী ওয়েন চিয়া পাও লাওসের প্রধানমন্ত্রী বোয়াসোন বোফাভানের সঙ্গে দুদেশের অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা চুক্তি ও প্রশাসন ওয়েবসাইট প্রতিষ্ঠা সংক্রান্ত চুক্তির স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন ।

    ওয়েন চিয়া পাওয়ের আসন্ন লাওস সফরের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচী হলো লাওসের রাজধানী ভিয়েনতিয়েনে অনুষ্ঠেয় মেকং নদী অববাহিকা অঞ্চলের দেশগুলোর অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংস্থা -জি এম এসের নেতৃবৃন্দের তৃতীয় অধিবেশনে অংশ নেয়া । জি এম এস ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় । সদস্য দেশগুলোর মধ্যে চীন ও লাওস ছাড়া আরো আছে কম্পুচিয়া , মায়ানমার , থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম । এ সংস্থার প্রধান লক্ষ্য হলো পারস্পরিক অর্থনৈতিক যোগাযোগ বাড়িয়ে দারিদ্র বিমোচন ও উন্নয়ন তরান্বিত করা । এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক জি এম এসের উদ্যোক্তা ও অর্থ সংগ্রহকারী । এ বছরের অধিবেশনের প্রতিপাদ্য হলো পারস্পরিক যোগাযোগ বাড়িয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতারশক্তি বাড়ানো । হো ইয়া ফেই বলেন , প্রধানমন্ত্রী ওয়েন চিয়া পাও রুদ্ধদ্বার অধিবেশনে জি এম এসের সহযোগিতা ও উন্নয়ন সম্পর্কে চীনের প্রস্তাব পেশ করবেন , অবকাঠামো নির্মাণ বাড়ানো সম্পর্কে ভাষণ দেবেন এবং অবকাঠানো , বাণিজ্য ,পরিবহন , স্বাস্থ্যরক্ষা ইত্যাদি বিষয়ে চীনের প্রস্তাব পেশ করবেন ।

    হো ইয়া ফেই বলেন , চীন সরকার বরাবরই জি এম এসের সঙ্গে সহযোগিতাকে গুরুত্ব দেয় এবং এ সংস্থার সহযোগিতা কর্মসূচীতে অংশ নেয় । বিশেষ করে যোগাযোগ , জ্বালানী ও টেলিযোগাযোগ ক্ষেত্রের সহযোগিতায় চীন গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে । চীন দক্ষিণ-উত্তর অর্থনৈতিক যোগাযোগ পথ নির্মাণ , জি এম এস তথ্য এক্সপ্রেসওয়ে প্রতিষ্ঠা ও মেকং নদীর নৌপথ সম্প্রসারণের অবকাঠামো প্রকল্পে অংশ নিয়েছে এবং আর্থিক সাহায্য দিয়েছে ।