v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-03-25 19:20:21    
"১৪ মার্চের" ঘটনায় অংশ গ্রহণকারী পাচ জন অগ্নিসংযোগকারী ধরা পড়েছে

cri
    ২৪ মার্চ পেইচিংএ আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংএ চীনের গণ নিরাপত্তা মন্ত্রণালয় সম্প্রতি তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের রাজধানী লাসায় দুটি অগ্নিসংযোগের ঘটনা সম্পর্কে সাংবাদিকদেরকে অবহিত করেছে । লাসার দুটি অগ্নিসংযোগের ঘটনায় অংশ গ্রহণকারী ৫ জন সন্দেহভাজন অপরাধীকে গ্রেফতার করা হয়েছে । গণ নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের তথ্য মুখপাত্র সেন হুয়ে মিন বলেছেন, বতর্মানে " ১৪ মার্চের" ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে । লাসা শহরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এসেছে । উগ্রবাদীদেরকে দমন করার জন্য চীন সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছে তিব্বতের বিভিন্ন জাতির জনগণ তা সমর্থন করেছে। আইন অনুযায়ী সহিংসতা মোকাবেলার প্রক্রিয়ায় গণ নিরাপত্তা পুলিশ ও সামরিক পুলিশ যথাসাধ্য সংযম বজায় রেখেছে । তারা কোনো মারনাস্ত্র্র ব্যবহার করেনি । এখন শুনুন এ সম্পর্কিত একটি রির্পোট ।

    গত ১৪ মার্চ লাসা শহরে লুটপাট, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগসহ নানা ধরনের নাশকতামূলক তত্পরতা ঘটে। সে দিন উগ্রবাদীরালাসা শহরের " ইজেন নামের একটি পোশাক দোকান" ও " ডাস জি নামের একটি মোটর সাইকেল" এর দোকানে আগুন লাগিয়ে দেয় । এ দুটি ঘটনায় বেশী কয়কজন নিরীহ মানুষ হতাহত হয় । মুখপাত্র সেন হুয়ে মিন প্রেস ব্রিফিংএ এ দু'জন সন্দেহভাজন অপরাধীকে গ্রেফতারের প্রক্রিয়া সম্পর্কে ব্যাখ্যা করে । বললেন,

    সম্প্রতি লাসা শহরের গণ নিরাপত্তা সংস্থা পর পর এ দুটি অগ্নিসংযোগের ঘটনায় অংশ গ্রহণকারী ৫জন সন্দেহভাজন অপরাধীকে গ্রেফতার করেছে । প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সন্দেহভাজন অপরাধীরা তাদের অপরাধ পুরোপুরি স্বীকার করেছে । জানা গেছে, ১৪ মার্চ দুপুর আড়াইটার দিকে ছিমেইলাসন , বিয়েজিসহ তিন জন সন্দেহভাজন অপরাধী লাসা শহরের পেইচিং সড়কে অবস্থিত "ইজেন নামের পোশাকের দোকানটিতে আসে। তখন এই দোকানের শার্টার দুবৃর্ত্তরা ভেংগে ফেলে । দোকানের বেশির ভাগ সম্পত্তি লুটপাট হয়ে যাওয়ার পর এ তিন জন সন্দেহভাজন অপরাধী লাইটার দিয়ে দোকানটিতে আগুণ লাগিয়ে দেয়। অল্প সময়ের মধ্যে এ দোকানটিতে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে থাকে । এই ঘটনায় ৫জন লোক মারা যায় যাদের মধ্যে ২ জন তিব্বতী নাগরিক ।

     ১৫ মার্চ রাত ১০টার দিকে আরেকটি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে । তখন সন্দেহভাজন অপরাধী লোয়া একটি দোকানে অগ্নিসংযোগের পর মোটর সাইকেল দোকানে আসে। সে আরেকজন সন্দেহভাজন অপরাধী গানজুর সঙ্গে এই দোকানের শার্টার ভেংগে ভেতরে ঢুকে পড়ে এবং আগুন লাগিয়ে দেয় । তারপর তারা দোকানে আগুন লাগিয়েছে । এ ঘটনায় ৫জন লোক নিহত হয় । তাদের মধ্যে রয়েছে এক দম্পতি ও তাদের আট মাস বয়সী পুত্রসন্তান।

    প্রেস ব্রিফিংএ গণ নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের প্রচার ব্যুরো অগ্নিসংযোগের ঘটনাস্থলের সংশ্লিষ্ট ভিডিও ফুটেজও দেখিয়েছে । মুখপাত্র সেন হুয়ে মিন বলেন,

    উল্লেখিত ৫ জন সন্দেহভাজন অপরাধীর কর্মকান্ড চীনের আইন লঙ্ঘন করেছে । এ দুটি অগ্নিসংযোগ থেকে আরেক বার প্রমাণিত হয়েছে যে, " ১৪ মার্চের" ঘটনা মোটেই " শান্তিপূর্ণ কিক্ষোভ" ও " শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ " ছিল না, বরং ভয়ংকর সহিংসতা পরিপূর্ণ ছিল ।

     মুখপাত্র সেন হুয়ে মিন বলেন, সহিংসতা দমনের জন্য তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে । তিনি বলেন, তিব্বতের বিভিন্ন জাতির জনগণ দৃঢ়ভাবে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ সমর্থন করে । তিনি বলেন,

)

    সামাজিক শৃংখলতা বজায় রাখা, বিভিন্ন জাতির জনগণের মৌলিক স্বার্থ রক্ষার জন্য গণ নিরাপত্তা সংস্থা অবিলম্বে এই সহিংসতা দমন করেছে যাতে জনসাধারনের জানমাল বাঁচানো হয়েছে । সহিংসতা দমনের প্রত্রিয়ায় কোনো মারনাস্ত্র ব্যবহার করা হয়নি ।

      জানা গেছে, এই হাংগামা দমনে মোট ২৪২জন গণ নিরাপত্তা পুলিশ ও সামরিক পুলিক আহত হয়েছে । তাদের মধ্যে ২৩ জনের অবস্থা আশঙ্কজনক। একজন পুলিশ নিহত হয়েছেন।