২৪ মার্চ পেইচিংএ আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংএ চীনের গণ নিরাপত্তা মন্ত্রণালয় সম্প্রতি তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের রাজধানী লাসায় দুটি অগ্নিসংযোগের ঘটনা সম্পর্কে সাংবাদিকদেরকে অবহিত করেছে । লাসার দুটি অগ্নিসংযোগের ঘটনায় অংশ গ্রহণকারী ৫ জন সন্দেহভাজন অপরাধীকে গ্রেফতার করা হয়েছে । গণ নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের তথ্য মুখপাত্র সেন হুয়ে মিন বলেছেন, বতর্মানে " ১৪ মার্চের" ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে । লাসা শহরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এসেছে । উগ্রবাদীদেরকে দমন করার জন্য চীন সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছে তিব্বতের বিভিন্ন জাতির জনগণ তা সমর্থন করেছে। আইন অনুযায়ী সহিংসতা মোকাবেলার প্রক্রিয়ায় গণ নিরাপত্তা পুলিশ ও সামরিক পুলিশ যথাসাধ্য সংযম বজায় রেখেছে । তারা কোনো মারনাস্ত্র্র ব্যবহার করেনি । এখন শুনুন এ সম্পর্কিত একটি রির্পোট ।
গত ১৪ মার্চ লাসা শহরে লুটপাট, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগসহ নানা ধরনের নাশকতামূলক তত্পরতা ঘটে। সে দিন উগ্রবাদীরালাসা শহরের " ইজেন নামের একটি পোশাক দোকান" ও " ডাস জি নামের একটি মোটর সাইকেল" এর দোকানে আগুন লাগিয়ে দেয় । এ দুটি ঘটনায় বেশী কয়কজন নিরীহ মানুষ হতাহত হয় । মুখপাত্র সেন হুয়ে মিন প্রেস ব্রিফিংএ এ দু'জন সন্দেহভাজন অপরাধীকে গ্রেফতারের প্রক্রিয়া সম্পর্কে ব্যাখ্যা করে । বললেন,
সম্প্রতি লাসা শহরের গণ নিরাপত্তা সংস্থা পর পর এ দুটি অগ্নিসংযোগের ঘটনায় অংশ গ্রহণকারী ৫জন সন্দেহভাজন অপরাধীকে গ্রেফতার করেছে । প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সন্দেহভাজন অপরাধীরা তাদের অপরাধ পুরোপুরি স্বীকার করেছে । জানা গেছে, ১৪ মার্চ দুপুর আড়াইটার দিকে ছিমেইলাসন , বিয়েজিসহ তিন জন সন্দেহভাজন অপরাধী লাসা শহরের পেইচিং সড়কে অবস্থিত "ইজেন নামের পোশাকের দোকানটিতে আসে। তখন এই দোকানের শার্টার দুবৃর্ত্তরা ভেংগে ফেলে । দোকানের বেশির ভাগ সম্পত্তি লুটপাট হয়ে যাওয়ার পর এ তিন জন সন্দেহভাজন অপরাধী লাইটার দিয়ে দোকানটিতে আগুণ লাগিয়ে দেয়। অল্প সময়ের মধ্যে এ দোকানটিতে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে থাকে । এই ঘটনায় ৫জন লোক মারা যায় যাদের মধ্যে ২ জন তিব্বতী নাগরিক ।
১৫ মার্চ রাত ১০টার দিকে আরেকটি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে । তখন সন্দেহভাজন অপরাধী লোয়া একটি দোকানে অগ্নিসংযোগের পর মোটর সাইকেল দোকানে আসে। সে আরেকজন সন্দেহভাজন অপরাধী গানজুর সঙ্গে এই দোকানের শার্টার ভেংগে ভেতরে ঢুকে পড়ে এবং আগুন লাগিয়ে দেয় । তারপর তারা দোকানে আগুন লাগিয়েছে । এ ঘটনায় ৫জন লোক নিহত হয় । তাদের মধ্যে রয়েছে এক দম্পতি ও তাদের আট মাস বয়সী পুত্রসন্তান।
প্রেস ব্রিফিংএ গণ নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের প্রচার ব্যুরো অগ্নিসংযোগের ঘটনাস্থলের সংশ্লিষ্ট ভিডিও ফুটেজও দেখিয়েছে । মুখপাত্র সেন হুয়ে মিন বলেন,
উল্লেখিত ৫ জন সন্দেহভাজন অপরাধীর কর্মকান্ড চীনের আইন লঙ্ঘন করেছে । এ দুটি অগ্নিসংযোগ থেকে আরেক বার প্রমাণিত হয়েছে যে, " ১৪ মার্চের" ঘটনা মোটেই " শান্তিপূর্ণ কিক্ষোভ" ও " শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ " ছিল না, বরং ভয়ংকর সহিংসতা পরিপূর্ণ ছিল ।
মুখপাত্র সেন হুয়ে মিন বলেন, সহিংসতা দমনের জন্য তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে । তিনি বলেন, তিব্বতের বিভিন্ন জাতির জনগণ দৃঢ়ভাবে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ সমর্থন করে । তিনি বলেন,
)
সামাজিক শৃংখলতা বজায় রাখা, বিভিন্ন জাতির জনগণের মৌলিক স্বার্থ রক্ষার জন্য গণ নিরাপত্তা সংস্থা অবিলম্বে এই সহিংসতা দমন করেছে যাতে জনসাধারনের জানমাল বাঁচানো হয়েছে । সহিংসতা দমনের প্রত্রিয়ায় কোনো মারনাস্ত্র ব্যবহার করা হয়নি ।
জানা গেছে, এই হাংগামা দমনে মোট ২৪২জন গণ নিরাপত্তা পুলিশ ও সামরিক পুলিক আহত হয়েছে । তাদের মধ্যে ২৩ জনের অবস্থা আশঙ্কজনক। একজন পুলিশ নিহত হয়েছেন।
|